The Ballpen
পাথরঘাটা উপজেলার ভাষা সংস্কৃতি - theballpen

পাথরঘাটা উপজেলার ভাষা সংস্কৃতি

28th Dec 2022 | বরগুনা জেলা |

উপজেলার ভূ-প্রকৃতি ও ভৌগোলিক অবস্থান এই উপজেলার মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে। ‍ঋতুভিত্তিক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নৌকা বাইচ, বৈশাখী মেলা, পৌষ সংক্রান্তি, মহরমের মেলা ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে বিভিন্নভাবে পাথরঘাটা উপজেলায় সংস্কৃতির প্রসার ঘটে।

পাথরঘাটা উপজেলার মানুষ বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে থাকে। এ উপজেলায় প্রধানত হিন্দু ও মুসলিম এই দুই ধর্মের লোক বাস করেন। তবে কিছু রাখাইন (বৌদ্ধ) সম্প্রদায়ের মানুষও দেখতে পাওয়া যায়। রাখাইন সম্প্রদায়ের জনসাধারণ তাদের নিজেদের মাঝে নিজস্ব আরাকাইন ভাষায় কথা বলে ।

উপকূলীয় এ উপজেলায় সাধারণত: দুই ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড প্রচলিত রয়েছে।

লোক সংস্কৃতিঃ

এক সময়ে সমৃদ্ধ উপকূলীয় অঞ্চলে ছিল মাঠ ভরা ধান, নদী-সাগরে মাছ, গরু-মহিষের দুধ, তাঁতের শাড়ি, ঘানির তৈল, মাড়াই কলে আখের গুড়সহ বিচিত্র প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যে ভরপুর ছিল এই অঞ্চল। তবে অভাব অভিযোগ না থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারী ছিল নিত্যসঙ্গী। অধিকাংশ মানুষের মধ্যে ছিল লোক সংস্কৃতিরচর্চা। আর এই লোক সংস্কৃতির বিষয়বস্ত্ত ছিল সুখ-সমৃদ্ধি আর প্রাকৃতিক দুর্যোগকে কেন্দ্র করে। লোক সংগীতে এলাকার মানুষের সহজ-সরল প্রকৃতি এবং আদর আপ্যায়নের চিত্রও ফুটে ওঠে। যার প্রমাণ এই লোকগানে পাওয়া যায়

“       মোগো মেজাজ নাহি গরম, ব্যাবাক্কে মিল্লা কয়,

মোগো মেজাজ নাহি করা, হগলড্ডি মিল্লা কয় আদর আস্তিক ভালই জানি, কতা হেইডা মিত্যা নয়।

শাস্ত্রীয় সংস্কৃতিঃ

এ উপজেলার মানুষ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে নাট্য ও সাংস্কৃতিক চর্চাও করে থাকে। নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য রয়েছে : উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, গ্রাম থিয়েটার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ইত্যাদি।





Related

বরগুনা জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত

বরগুনা জেলা নারিকেল ও সুপারির জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও বরগুনার বিখ্যাত খাবার -চুইয়া পিঠা, চ্যাবা পিঠা, মুইট্টা পিঠা, আল্লান, বিসকি, তালের মোরব্বা, শিরনি, নাড়িকেলের সুরুয়া, চালের রুটি, ইলিশ মাছ, মিষ্টি।



Related

মুক্তিযুদ্ধকালে বরগুনা কততম সেক্টরের অধীনে ছিল?

প্রেক্ষাপট মুক্তিযুদ্ধে বরগুনা ছিল নবম সেক্টরের বুকাবুনিয়া উপ-সেক্টরের অধীন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পরে বরগুনার মুক্তিকামী সহস্রাধিক তরুণ বাঁশের লাঠি, গুটি কয়েক রাইফেল, বন্দুক নিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করে। এরই মধ্যে পাকবাহিনী দুর্বল প্রতিরোধকে উপেক্ষা করে পার্শ্ববর্তী পটুয়াখালী জেলা দখল করে ফেলে।



Related

তালতলী উপজেলা কে কবে ঘোষণা করেন?

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুসারে ০৬/০৫/২০১০ তারিখে আমতলী উপজেলা ভেঙ্গে তালতলীকে উপজেলা হিসাবে ঘোষণা করা হয়।



Related

বরগুনা জেলার এমপি কে?

বরগুনা-৩ বাংলাদেশের একটি বিলুপ্ত সংসদীয় আসন। বাংলাদেশের বরগুনা জেলার আমতলী ও তালতলী উপজেলা নিয়ে এ সংসদীয় আসন গঠিত হয়েছিল। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচনী গেজেটে এই আসনটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। এই আসনের সর্বশেষ সাংসদ ছিলেন শেখ হাসিনা।



Related

বরগুনা জেলার ভৌগোলিক সীমানা

বরগুনা দক্ষিণাঞ্চলের জেলা। এর দক্ষিণে পটুয়াখালী ও বঙ্গোপসাগর, উত্তরে ঝালকাঠি, বরিশাল, পিরোজপুর ও পটুয়াখালী; পূর্বে পটুয়াখালী এবং পশ্চিমে পিরোজপুর ও বাগেরহাট।

জেলা সদরে বরগুনা শহর। একটি পৌরসভা। ৯ ওয়ার্ড ও ১৮ মহল্লা।