পিরোজপুর জেলায় উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি কারা?
25th Dec 2022 | পিরোজপুর জেলা |
পিরোজপুর জেলায় উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি -
- মহিউদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক, ভাষা সৈনিক
- সাবেক সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত),বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।
- সাবেক বিরোধী দলীয় ডেপুটি লিডার, জাতীয় সংসদ।
- সাবেক বারবার নির্বাচিত সাংসদ, পিরোজপুর-০৪(মঠবাড়িয়া)
-
- দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, মোফাসসিরে কোরআন, সাবেক সংসদ সদস্য ও যুদ্ধাপরাধ মামলায় আমৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত।
- খান বাহাদুর হাশেম আলী খান (১৯৮৮-১৯৬২), নেছারাবাদ- বরিশাল জেলা মুসলিম লীগ এবং কৃষক প্রজা পারটির সভাপতি ছিলেন। শেরেবাংলা এ.কে. ফজলুল হকের মন্ত্রীসভায় সমবায় ও কৃষি খাতক মন্ত্রী (১৯৪১) ছিলেন।
- শহীদ নূর হোসেন (১৯৬১ - ১০ নভেম্বর ১৯৮৭)মঠবাড়িয়া - রাজনৈতিক কর্মী ও শহীদ;১০ নভেম্বরকে বলা হয় শহীদ নূর হোসেন দিবস।তার খালি গায়ে লেখা ছিল "স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক"। রাজধানীর জিরো পয়েন্টে তিনি গুলিতে শহীদ হন।
- খান সাহেব হাতেম আলী জমাদ্দার (১৮৭২-১৯৮২), মঠবাড়িয়া - বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইন সভার সদস্য (১৯৩৭, ১৯৪৬, ১৯৬২); কে,এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের প্রতিষ্ঠাতা।
- মেজর (অবঃ) মেহেদী আলী ইমাম (মৃত্যুঃ ১৯৯৬),মঠবাড়িয়া- স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর সেনানী, বীরবিক্রম।
- আনিস মোল্লা- মঠবাড়িয়া (দাউদখালী)- স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর সেনানী, বীরবিক্রম।
- করপোরাল আব্দুস সামাদ (মৃত্যু ২০১৮), মঠবাড়িয়া -আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ৮ নং আসামী ছিলেন।
- ডাঃ রুস্তুম আলী ফরাজী সংসদ সদশ্য-পিরোজপুর-৩ প্রতিষ্ঠাতা- ডাঃ রুস্তুম আলী ফরাজী কলেজ, মঠবাড়িয়া।
- সুবেদার তাজুল ইসলাম- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ৩২ নং আসামী ছিলেন।
- তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, ভান্ডারিয়া (১৯১১-১৯৬৯) (সাংবাদিকতা ও রাজনীতি)- পিটি আই-এর পরিচালক, ইত্তেফাক পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা।
- চঞ্চল কর্মকার চিত্রশিল্পি।
- মাওলানা নেছার উদ্দীন নেছারাবাদ (১৮৭২-১৯৫২)- বহু ইসলামী গ্রন্থ প্রণেতা ও ছারছীনা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা।
- আহসান হাবীব , (১৯১৭-১৯৮৫)- কবি ও সাংবাদিক।
- আবুল খান:সিনেট সদস্য নির্বাচিত,আমেরিকা।
- বেগম মতিয়া চৌধুরী ,নাজিরপুর রাজনীতি বর্তমান কৃষি মন্ত্রী, ‘দেয়াল দিয়ে ঘেরা’ বই রচনা করেন।
- নিরোদ বিহারী নাগ, নাজিরপুর (১৯৩২-১৯৯১)- রাজনৈতিক ও সামাজিক পুষ্প নিরোধ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা।
- এনায়েত হোসেন খান, (১৯৩৩-১৯৭৯) রাজনীতি সাবেক এমপি, ইউনিয়ন অফ ক্লারিক্যাল এ্যাসিট্যান্স অফ সেক্রেটারিয়েট ইন ইস্ট পাকিস্তান নামক এক শক্তিশালী সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন।
- মোয়াজ্জেম হোসেন (১৯৩২-১৯৭১)- লেঃ কমান্ডার, স্বাধীনতার অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষা দেয়ার জন্য সামরিক বাহিনীর অভ্যন্তরে তিনি একটি গুপ্ত বিপ্লবী সেল গঠন করেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ২ নং আসামী ছিলেন।
- মেজর জিয়াউদ্দিন আহমদ, পিরোজপুর, নবম সেক্টরের সাব- সেক্টর কমান্ডার সাবেক পৌর চেয়ারম্যান, আফতাব উদ্দিন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা।
- আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ভান্ডারিয়া- তিনি দশম জাতীয় সংসদ এর পানিসম্পদ মন্ত্রী ছিলেন। এর আগে তিনি বন ও পরিবেশ, যোগাযোগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। তিনি পিরোজপুর-২ আসন থেকে ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০১৪, ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য হন।
- শ ম রেজাউল করিম, নাজিরপুর - তিনি আইনজিবী ও বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ এবং ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি বর্তমানে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী।
- ক্ষিতীশ চন্দ্র মন্ডল (১৮৩৯) নাজিরপুর- রাজনীতি সাবেক এমপি, সাবেক কৃষি ও ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী(১৯৭৩) ছিলেন।
- শহীদুল আলম নিরু (১৯৪৬-২০০৫)- রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী। মাওলানা ভাসানীর ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
- মোস্তফা জামাল হায়দার, (নাজিরপুর)- রাজনীতিবিদ ও সাবেক মন্ত্রী, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য।
- জুয়েল আইচ, পিরোজপুর - যাদু শিল্পী অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার আন্তর্জাতিক যাদুশিল্পী।
- খালিদ হাসান মিলু , পিরোজপুর - কণ্ঠশিল্পী জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত রেডিও, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র কণ্ঠশিল্পী।
- দিলীপ বিশ্বাস, পিরোজপুর - জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক।
- মুহাম্মদ মিজানুর রহমান - সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও গবেষক।
- শাহরিয়ার নাফীস- জাতীয় দলের সাবেক উদ্বোধনী (ব্যাটসম্যান ) ক্রিকেটার
- ফজলে মাহমুদ রাব্বি, জাতীয় দলের ক্রিকেটার।
- জায়েদ খান- অভিনেতা, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
- জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী - বাংলাদেশের একজন মডেল এবং সুন্দরী প্রতিযোগিতা মিস বাংলাদেশ ২০১৮-এর মুকুটধারী।
Related
পিরোজপুর জেলা কি জন্য বিখ্যাত?
পিরোজপুর জেলা নারিকেল, সুপারি, পেয়ারা, আমড়া এর জন্য বিখ্যাত।
প্রবাদ প্রবচন ও বিয়ের গানের জন্য পিরোজপুর বিখ্যাত। বর্তমানে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, দিশারী শিল্পী গোষ্ঠী,সংগীতা, ধ্বনি শিল্পী গোষ্ঠী, রুপান্তর নাট্য গোষ্ঠী, পিরোজপুর থিয়েটার, কৃষ্ণচুড়া থিয়েটার, বলাকা নাট্যম্ প্রভৃতি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী আঞ্চলিক ঐতিহ্য লালন পালন ও প্রচারে একাগ্র প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
Related
পিরোজপুর কত নম্বর সেক্টরে ছিল?
মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুর ছিল মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টরের অধীন সুন্দরবন সাব-সেক্টর মেজর জিয়াউদ্দিন আহমেদ এর কমান্ডের আওতায়।
Related
পিরোজপুর জেলার ভৌগোলিক সীমানা
পিরোজপুরের উত্তরে বরিশাল জেলা ও গোপালগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে বরগুনা জেলা, পূর্বে ঝালকাঠি জেলা ও বরগুনা জেলা এবং পশ্চিমে বাগেরহাট জেলা ও সুন্দরবন অবস্থিত। পশ্চিমে বলেশ্বর নদী পিরোজপুরকে বাগেরহাটের থেকে আলাদা করেছে।
Related
পিরোজপুর জেলার জনসংখ্যা কত?
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী পিরোজপুর জেলার মোট জনসংখ্যা ১১,১৩,২৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫,৪৮,২২৮ জন এবং মহিলা ৫,৬৫,০২৯ জন। মোট পরিবার ২,৫৬,০০২টি।
Related
পিরোজপুর জেলার ভূ-ভাগের গঠন
পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক মতে, ঋগবেদের আমলেও বঙ্গের দক্ষিণভাগ ছিল অতল সমুদ্রে নিমজ্জিত। মৌর্যযুগে পলল সংযোগে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ গড়ে ওঠলে ভূ-তাত্ত্বিকভাবে ক্রমশ পিরোজপুর ভূ-ভাগের পলল উত্থান ঘটে। পৌরাণিক নদী গঙ্গার পূর্বগামী শাখা নলিনী, হলদিনী, পাবনী নামে পরিচিত ছিল। পৌরাণিক নদীর উত্তরসূরী আধুনিক গঙ্গা, পদ্মা, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র, সুগন্ধার পলিরেণু গাঙ্গেয় বদ্বীপে যে সব দ্বীপ তথা নব্য ভূ-ভাগ সৃষ্টি করে, পিরোজপুর জেলার জনপদ সে সব দ্বীপেরই অংশবিশেষ। তবে জনপদ হিসেবে গড়ে ওঠেছে আরও পরে। ঐতিহাসিকদের ধারণায় পাল ও সেন আমলে বিচ্ছিন্নভাবে জনবসতি গড়ে উঠতে শুরু করলেও মূলত মোগল ও সুলতানি আমলে এ অঞ্চলে ব্যাপক জনবসতি গড়ে ওঠে। তবে উনিশ শতক পর্যন্ত পিরোজপুর জেলার একটি অংশ ছিল জলাশয়। এর মধ্যে স্বরূপকাঠির সাতলা, নাজিরপুরের বিল ও ভান্ডারিয়া অঞ্চলে চেচরি-রামপুর বিল অন্যতম।