সেক্টর | ৯ নম্বর | |
সেক্টর কমান্ডার | মেজর এম.এ জলিল | |
সাব-সেক্টর কমান্ডার | মেজর (অব:) জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ | |
স্মৃতিস্তম্ভের সংখ্যা | ৯ টি | |
মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা | ২৬৬০ জন প্রায় | |
শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা | ৬১ জন (জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার) | |
উল্লেখযোগ্য শহীদ মুক্তিযোদ্ধা | আঃ রাজ্জাক (এস.ডি.ও), ফয়জুর রহমান আহমেদ (এস.ডি.পি.ও), হীরেন্দ্র মহাজন, ফজলুল হক খোকন, সাইফ মিজানুর রহমান (ম্যাজিস্ট্রেট), ওমর ফারুক (সভাপতি মহকুমা ছাত্রলীগ), ভাগিরথী সাহা, সামছুল হক, ড. আবুল খায়ের, গণপতি হালদার, শ্রী ললীত কুমার বল, ড. জোতির্ময় গুহঠাকুরতা, জহিরুদ্দিন বাহাদুর প্রমুখ। | |
বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা (জীবিত) | এ,কে,এম,এ আউয়াল, মেজর (অব:) জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ (মৃত) , এ্যাড: এম,এ মান্নান, গৌতম রায় চৌধুরী, এম,এ রববানী ফিরোজ প্রমুখ। | |
মুক্তিফৌজ গঠন | ২৭ মার্চ ১৯৭১ বিকাল ৪ টা, পিরোজপুর সরকারি হাইস্কুল মাঠ। | |
পিরোজপুর অস্ত্রাগার লুণ্ঠন | ১৯ মে ১৯৭১। | |
পিরোজপুর শত্রুমুক্ত দিবস | ৮ ডিসেম্বর ১৯৭১। |
পিরোজপুর জেলা নারিকেল, সুপারি, পেয়ারা, আমড়া এর জন্য বিখ্যাত।
প্রবাদ প্রবচন ও বিয়ের গানের জন্য পিরোজপুর বিখ্যাত। বর্তমানে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, দিশারী শিল্পী গোষ্ঠী,সংগীতা, ধ্বনি শিল্পী গোষ্ঠী, রুপান্তর নাট্য গোষ্ঠী, পিরোজপুর থিয়েটার, কৃষ্ণচুড়া থিয়েটার, বলাকা নাট্যম্ প্রভৃতি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী আঞ্চলিক ঐতিহ্য লালন পালন ও প্রচারে একাগ্র প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুর ছিল মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টরের অধীন সুন্দরবন সাব-সেক্টর মেজর জিয়াউদ্দিন আহমেদ এর কমান্ডের আওতায়।
পিরোজপুরের উত্তরে বরিশাল জেলা ও গোপালগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে বরগুনা জেলা, পূর্বে ঝালকাঠি জেলা ও বরগুনা জেলা এবং পশ্চিমে বাগেরহাট জেলা ও সুন্দরবন অবস্থিত। পশ্চিমে বলেশ্বর নদী পিরোজপুরকে বাগেরহাটের থেকে আলাদা করেছে।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী পিরোজপুর জেলার মোট জনসংখ্যা ১১,১৩,২৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫,৪৮,২২৮ জন এবং মহিলা ৫,৬৫,০২৯ জন। মোট পরিবার ২,৫৬,০০২টি।
পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক মতে, ঋগবেদের আমলেও বঙ্গের দক্ষিণভাগ ছিল অতল সমুদ্রে নিমজ্জিত। মৌর্যযুগে পলল সংযোগে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ গড়ে ওঠলে ভূ-তাত্ত্বিকভাবে ক্রমশ পিরোজপুর ভূ-ভাগের পলল উত্থান ঘটে। পৌরাণিক নদী গঙ্গার পূর্বগামী শাখা নলিনী, হলদিনী, পাবনী নামে পরিচিত ছিল। পৌরাণিক নদীর উত্তরসূরী আধুনিক গঙ্গা, পদ্মা, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র, সুগন্ধার পলিরেণু গাঙ্গেয় বদ্বীপে যে সব দ্বীপ তথা নব্য ভূ-ভাগ সৃষ্টি করে, পিরোজপুর জেলার জনপদ সে সব দ্বীপেরই অংশবিশেষ। তবে জনপদ হিসেবে গড়ে ওঠেছে আরও পরে। ঐতিহাসিকদের ধারণায় পাল ও সেন আমলে বিচ্ছিন্নভাবে জনবসতি গড়ে উঠতে শুরু করলেও মূলত মোগল ও সুলতানি আমলে এ অঞ্চলে ব্যাপক জনবসতি গড়ে ওঠে। তবে উনিশ শতক পর্যন্ত পিরোজপুর জেলার একটি অংশ ছিল জলাশয়। এর মধ্যে স্বরূপকাঠির সাতলা, নাজিরপুরের বিল ও ভান্ডারিয়া অঞ্চলে চেচরি-রামপুর বিল অন্যতম।