The Ballpen
পিরোজপুর জেলার নামকরণ - theballpen

পিরোজপুর জেলার নামকরণ

25th Dec 2022 | পিরোজপুর জেলা |

সুলতানি আমলে মুসলিম শাসক ফিরোজশাহের নামানুসারে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের এ অঞ্চল পরিচিতি পায় ফিরোজপুর নামে। বর্তমান পিরোজপুর নামটি এ ফিরোজপুর নামেরই অপভ্রংশ বলে গবেষকরা মনে করেন। অন্যমতে, মোগল সম্রাট শাহসূজার অকাল প্রয়াত পুত্র ফিরোজশাহের নামে 'ফিরোজপুর' এবং পরে অপভ্রংশ হিসেবে 'পিরোজপুর' নামকরণ হয়েছে। মোগল আমলে জঙ্গল আবাদ করে সুন্দরবন অঞ্চলে ব্যাপক জনবসতি শুরু হলে পিরোজপুর অঞ্চলেও জনবিন্যাস ঘটে। সম্রাট আকবরের আমলে লবণ কর রহিত করা হলে সুন্দরবন অঞ্চলে লবণ উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং গড়ে ওঠে মোগলদের রাজস্ব পরগণা নিমকমহল

পূর্বে এ অঞ্চল সরকার খলিফাবাদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে এসে টোডরমলের রাজস্ব তালিকার নিমকমহলটি তার নামে নতুনভাবে পরিচিতি পায় সেলিমাবাদ পরগণা হিসেবে। তৎকালীন বাখরগঞ্জ জেলায় দ্বিতীয় বৃহত্তম পরগণা ছিল সেলিমাবাদ পরগণা। সে সময় ঝালকাঠি, বাউফল, স্বরূপকাঠি, নেছারাবাদ, রাজাপুর, ভান্ডারিয়া, পিরোজপুর, তৎকালীন যশোর জেলার কচুয়া প্রভৃতি উপজেলার অধিকাংশ এলাকা নিয়ে গঠিত ছিল সেলিমাবাদ পরগণা। ১৬১১ সাল পর্যন্ত সেলিমাবাদ ছিল চন্দ্রদ্বীপ রাজাদের অধীনে। ১৬১১ সালে চন্দ্রদ্বীপ মোগল অধিকারে গেলে চন্দ্রদ্বীপ ভেঙ্গে কয়েকটি পরগণায় বিভক্ত করা হয়। সেলিমাবাদ ছিল তার মধ্যে একটি। ১৭২২ সালে রাজস্ব জরিপকালে সেলিমাবাদ পরগণা বিভক্ত করে আরও ১০টি ছোট পরগণা, তালুক ও হাওলা সৃষ্টি করা হয়।





Related

পিরোজপুর জেলা কি জন্য বিখ্যাত?

 পিরোজপুর জেলা নারিকেল, সুপারি, পেয়ারা, আমড়া এর জন্য বিখ্যাত।

প্রবাদ প্রবচন ও বিয়ের গানের জন্য পিরোজপুর বিখ্যাত। বর্তমানে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, দিশারী শিল্পী গোষ্ঠী,সংগীতা, ধ্বনি শিল্পী গোষ্ঠী, রুপান্তর নাট্য গোষ্ঠী, পিরোজপুর থিয়েটার, কৃষ্ণচুড়া থিয়েটার, বলাকা নাট্যম্ প্রভৃতি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী আঞ্চলিক ঐতিহ্য লালন পালন ও প্রচারে একাগ্র প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।



Related

পিরোজপুর কত নম্বর সেক্টরে ছিল?

মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুর ছিল মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টরের অধীন সুন্দরবন সাব-সেক্টর মেজর জিয়াউদ্দিন আহমেদ এর কমান্ডের আওতায়।



Related

পিরোজপুর জেলার ভৌগোলিক সীমানা

পিরোজপুরের উত্তরে বরিশাল জেলা ও গোপালগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে বরগুনা জেলা, পূর্বে ঝালকাঠি জেলা ও বরগুনা জেলা এবং পশ্চিমে বাগেরহাট জেলা ও সুন্দরবন অবস্থিত। পশ্চিমে বলেশ্বর নদী পিরোজপুরকে বাগেরহাটের থেকে আলাদা করেছে।



Related

পিরোজপুর জেলার জনসংখ্যা কত?

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী পিরোজপুর জেলার মোট জনসংখ্যা ১১,১৩,২৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫,৪৮,২২৮ জন এবং মহিলা ৫,৬৫,০২৯ জন। মোট পরিবার ২,৫৬,০০২টি।



Related

পিরোজপুর জেলার ভূ-ভাগের গঠন

পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক মতে, ঋগবেদের আমলেও বঙ্গের দক্ষিণভাগ ছিল অতল সমুদ্রে নিমজ্জিত। মৌর্যযুগে পলল সংযোগে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ গড়ে ওঠলে ভূ-তাত্ত্বিকভাবে ক্রমশ পিরোজপুর ভূ-ভাগের পলল উত্থান ঘটে। পৌরাণিক নদী গঙ্গার পূর্বগামী শাখা নলিনী, হলদিনী, পাবনী নামে পরিচিত ছিল। পৌরাণিক নদীর উত্তরসূরী আধুনিক গঙ্গা, পদ্মা, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র, সুগন্ধার পলিরেণু গাঙ্গেয় বদ্বীপে যে সব দ্বীপ তথা নব্য ভূ-ভাগ সৃষ্টি করে, পিরোজপুর জেলার জনপদ সে সব দ্বীপেরই অংশবিশেষ। তবে জনপদ হিসেবে গড়ে ওঠেছে আরও পরে। ঐতিহাসিকদের ধারণায় পাল ও সেন আমলে বিচ্ছিন্নভাবে জনবসতি গড়ে উঠতে শুরু করলেও মূলত মোগল ও সুলতানি আমলে এ অঞ্চলে ব্যাপক জনবসতি গড়ে ওঠে। তবে উনিশ শতক পর্যন্ত পিরোজপুর জেলার একটি অংশ ছিল জলাশয়। এর মধ্যে স্বরূপকাঠির সাতলা, নাজিরপুরের বিল ও ভান্ডারিয়া অঞ্চলে চেচরি-রামপুর বিল অন্যতম।