ফরিদগঞ্জ উপজেলায় চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান গুলো :
১. ১২নং চরদুঃখিয়া(পঃ) [দিঘিরপাড়] উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
২. ১৫নং রূপসা (উঃ) রূপসা,উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
৩. ৮নং পাইকপাড়া (দঃ) কড়ৈতলীউপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
৪. ৫নং গুপ্টি (পূঃ) আষ্টা, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
পৌরসভা- ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
১. সরখাল, ইউঃ ০২, ওয়ার্ড-১।
২. শোশাইরচর, ইউঃ ০২, ওয়ার্ড-০২।
৩. দেইচর, ইউঃ ০২, ওয়ার্ড-০৩।
৪. কৃষ্ণপুর, ইউঃ০২, ওয়ার্ড-০৩।
৫. ষোলদানা, ইউঃ ০৬, ওয়ার্ড-০১।
৬. আদসা, ইউঃ ০৬, ওয়ার্ড-০১।
৭. কেরোয়া, ইউঃ ১৩, ওয়ার্ড-০১।
৮. নোয়াগাঁ, ইউঃ ১৩, ওয়ার্ড-০২।
৯. সাফুয়া, ইউঃ ১৩, ওয়ার্ড-০৩।
১০. পোঁয়া, ইউঃ১৪, ওয়ার্ড-০১।
১১. ভাটেরহদ, ইউঃ১৫, ওয়ার্ড- ০৬
১২. চরবড়ালী, ইউঃ ১৪, ওয়ার্ড-০২।
১. ফরিদগঞ্জ ডায়বেটিক সেন্টার এন্ড জেনারেল হাসপাতাল (আয়েশা ফিল্ডিং স্টেশন সংলগ্ন, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর)
২. সেন্ট্রাল হাসপাতাল, ফরিদগঞ্জ (ফরিদগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ড)
৩. ইসলামিয়া হাসপাতাল, ফরিদগঞ্জ (ফরিদগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ড)
৪. আল-মদিনা হাসপাতাল, ফরিদগঞ্জ (ফরিদগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ড রোড)
৫. লাইফ জেনারেল হাসপাতাল (কালির বাজার চৌরাস্তার সন্নীকটে - ফরিদগঞ্জ)
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে ২৩°০০´ থেকে ২৩°৩০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৩২´ থেকে ৯১°০২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে চাঁদপুর জেলার অবস্থান। রাজধানীঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ৯৬ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ২০৮ কিলোমিটার। এ জেলার দক্ষিণে লক্ষ্মীপুর জেলা ও নোয়াখালী জেলা; পূর্বে কুমিল্লা জেলা, উত্তরে কুমিল্লা জেলা, মেঘনা নদী ও মুন্সীগঞ্জ জেলা এবং পশ্চিমে মেঘনা নদী, মুন্সীগঞ্জ জেলা, শরীয়তপুর জেলা ও বরিশাল জেলা অবস্থিত। পদ্মা ও মেঘনা নদী দুটি চাঁদপুর শহরের কাছে এসে মিলেছে।
২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী চাঁদপুর জেলার মোট জনসংখ্যা ২৬,৩৫,৭৪৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২,২৮,৭৭৪ জন এবং মহিলা ১৪,০৫,৬৮২ জন। মোট পরিবার ৬,৩৫,৪৫৮টি।
চাঁদপুর জেলায় ধর্মবিশ্বাস-২০২২
ইসলাম (৯৪.৩৭%)
হিন্দু ধর্ম (৫.৫৫%)
অন্যান্য ধর্ম (০.০৮%)
ধর্মবিশ্বাস অনুসারে এ জেলার মোট জনসংখ্যার ৯৪.৩৭% মুসলিম, ৫.৫৫% হিন্দু, ০.০১% বৌদ্ধ এবং ০.০২% খ্রিষ্টান ও ০.০৫% অন্যান্য ধর্মের অনুসারী। এছাড়া কিছু সংখ্যক ত্রিপুরা উপজাতি জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে এ জেলায়।
বার ভূঁইয়াদের আমলে চাঁদপুর অঞ্চল বিক্রমপুরের জমিদার চাঁদরায়ের দখলে ছিল। এ অঞ্চলে তিনি একটি শাসনকেন্দ্র স্থাপন করেছিলেন। ঐতিহাসিক জে এম সেনগুপ্তের মতে, চাঁদরায়ের নাম অনুসারে এ অঞ্চলের নাম হয়েছে চাঁদপুর।
অন্যমতে, চাঁদপুর শহরের (কোড়ালিয়া) পুরিন্দপুর মহল্লার চাঁদ ফকিরের নাম অনুসারে এ অঞ্চলের নাম চাঁদপুর। কারো মতে, শাহ আহমেদ চাঁদ নামে একজন প্রশাসক দিল্লী থেকে পঞ্চদশ শতকে এখানে এসে একটি নদী বন্দর স্থাপন করেছিলেন। তার নামানুসারে নাম হয়েছে চাঁদপুর।
মুক্তিযুদ্ধের সময় চাঁদপুর ২নং সেক্টরের অধীনে ছিল। ১৯৭১ সালের ১২ মে পাকবাহিনী হাজীগঞ্জ উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের ৫০ জন লোককে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। এ গণহত্যার পর মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ চালালে পাকবাহিনীর ১৭ জন সৈন্য নিহত এবং ২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। শাহরাস্তি উপজেলার নাওড়া, সূচীপাড়া এবং উনকিলার পূর্বাংশে বেলপুরের কাছে মিত্র বাহিনীর সাথে পাকবাহিনীর সংঘর্ষে মিত্র বাহিনীর ১৩ জন সৈন্য এবং পাকবাহিনীর ৩৫ জন সৈন্য নিহত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় মতলব উত্তর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়।
চাঁদপুর জেলায় মোট ৮টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল: