The Ballpen
ফরিদগঞ্জ উপজেলায় আয়তন ও অবস্থান - theballpen

ফরিদগঞ্জ উপজেলায় আয়তন ও অবস্থান

30th Nov 2022 | চাঁদপুর জেলা |

ফরিদগঞ্জ উপজেলাটি চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলায় অবস্থিত। সমতল ভূমির এই উপজেলার মধ্য দিয়ে ডাকাতিয়া নদী প্রবাহিত হয়েছে। এ উপজেলার আয়তন ২৩১.৫৬ বর্গ কিলোমিটার (৫৭,২২০.৬০ একর) ফরিদগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমে হাইমচর উপজেলা ও চাঁদপুর সদর উপজেলা, উত্তরে চাঁদপুর সদর উপজেলা ও হাজীগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে হাজীগঞ্জ উপজেলা ও লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলা এবং দক্ষিণে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলা ও রায়পুর উপজেলা অবস্থিত।





Related

চাঁদপুর জেলা ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমানা

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে ২৩°০০´ থেকে ২৩°৩০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৩২´ থেকে ৯১°০২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে চাঁদপুর জেলার অবস্থান। রাজধানীঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ৯৬ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ২০৮ কিলোমিটার। এ জেলার দক্ষিণে লক্ষ্মীপুর জেলা ও নোয়াখালী জেলা; পূর্বে কুমিল্লা জেলা, উত্তরে কুমিল্লা জেলা, মেঘনা নদী ও মুন্সীগঞ্জ জেলা এবং পশ্চিমে মেঘনা নদী, মুন্সীগঞ্জ জেলা, শরীয়তপুর জেলা ও বরিশাল জেলা অবস্থিত। পদ্মা ও মেঘনা নদী দুটি চাঁদপুর শহরের কাছে এসে মিলেছে।



Related

চাঁদপুর জেলা জনসংখ্যার কত?

২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী চাঁদপুর জেলার মোট জনসংখ্যা ২৬,৩৫,৭৪৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২,২৮,৭৭৪ জন এবং মহিলা ১৪,০৫,৬৮২ জন। মোট পরিবার ৬,৩৫,৪৫৮টি।

চাঁদপুর জেলায় ধর্মবিশ্বাস-২০২২

  ইসলাম (৯৪.৩৭%)

হিন্দু ধর্ম (৫.৫৫%)

  অন্যান্য ধর্ম (০.০৮%)

ধর্মবিশ্বাস অনুসারে এ জেলার মোট জনসংখ্যার ৯৪.৩৭% মুসলিম, ৫.৫৫% হিন্দু, ০.০১% বৌদ্ধ এবং ০.০২% খ্রিষ্টান ও ০.০৫% অন্যান্য ধর্মের অনুসারী। এছাড়া কিছু সংখ্যক ত্রিপুরা উপজাতি জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে এ জেলায়।



Related

চাঁদপুর জেলা কিভাবে নামকরণ হয়?

বার ভূঁইয়াদের আমলে চাঁদপুর অঞ্চল বিক্রমপুরের জমিদার চাঁদরায়ের দখলে ছিল। এ অঞ্চলে তিনি একটি শাসনকেন্দ্র স্থাপন করেছিলেন। ঐতিহাসিক জে এম সেনগুপ্তের মতে, চাঁদরায়ের নাম অনুসারে এ অঞ্চলের নাম হয়েছে চাঁদপুর।

অন্যমতে, চাঁদপুর শহরের (কোড়ালিয়া) পুরিন্দপুর মহল্লার চাঁদ ফকিরের নাম অনুসারে এ অঞ্চলের নাম চাঁদপুর। কারো মতে, শাহ আহমেদ চাঁদ নামে একজন প্রশাসক দিল্লী থেকে পঞ্চদশ শতকে এখানে এসে একটি নদী বন্দর স্থাপন করেছিলেন। তার নামানুসারে নাম হয়েছে চাঁদপুর।



Related

মুক্তিযুদ্ধের সময় চাঁদপুর কত নং সেক্টরের অধীনে ছিল?

মুক্তিযুদ্ধের সময় চাঁদপুর ২নং সেক্টরের অধীনে ছিল। ১৯৭১ সালের ১২ মে পাকবাহিনী হাজীগঞ্জ উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের ৫০ জন লোককে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। এ গণহত্যার পর মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ চালালে পাকবাহিনীর ১৭ জন সৈন্য নিহত এবং ২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। শাহরাস্তি উপজেলার নাওড়া, সূচীপাড়া এবং উনকিলার পূর্বাংশে বেলপুরের কাছে মিত্র বাহিনীর সাথে পাকবাহিনীর সংঘর্ষে মিত্র বাহিনীর ১৩ জন সৈন্য এবং পাকবাহিনীর ৩৫ জন সৈন্য নিহত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় মতলব উত্তর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়।



Related

চাঁদপুর জেলায় উপজেলা কয়টি ও কী কী?

চাঁদপুর জেলায় মোট ৮টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল:

  • কচুয়া 
  • চাঁদপুর সদর 
  • ফরিদগঞ্জ 
  • মতলব উত্তর 
  • মতলব দক্ষিণ
  •   শাহরাস্তি  
  •    হাইমচর 
  • হাজীগঞ্জ