ফেঞ্চুগঞ্জে দুটি সরকারী সার কারখানা অবস্থিত। সেগুলো হলো- ১. ন্যাচারাল গ্যাস ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিঃ (ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা) এটি এশিয়ার প্রথম সার কারখানা। ২. শাহজালাল ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিঃ। এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সার কারখানা। তাছাড়াও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশের মডেল হিসেবেও পরিচিত। ফেঞ্চুগঞ্জে ৫ টি সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলো হলো- ১. ৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র (ফেঞ্চুগঞ্জ কম্বাইন্ড সাইকল গ্যাস) এটি বর্তমানে ১৮০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়েছে ২. বারাকাতুল্লাহ ইলেক্ট্র ডায়নামিক লিঃ ৫১ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন। ৩.এনার্জি প্রিমা লিঃ যা ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন। ৪. লিভার্টি পাওয়ার ইউ.এস (নির্মাণাধীন) ৫.কুশিয়ারা পাওয়ার প্লান্ট লিঃ (নির্মাণাধীন) ৬. বিল্ড আপ অপরা লিঃ (নির্মাণাধীন)। এছাড়া, এখানে ২ টি চা বাগান আছে।
সিলেট জেলা কমলালেবু, চাপাতা, সাতকড়ার আচার এবং সাত রঙের চা এর জন্য বিখ্যাত। সিলেট জেলাটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত।
মৌলভীবাজার এর অর্থনীতির প্রধান ভীত হলো চা শিল্প ও রাবার শিল্প । এ জেলায় প্রচুর পরিমানে চা ও রাবার উৎপাদিত হয় । এ ছাড়াও এ জেলার অর্থনীতিতে এই জেলার পর্যটন শিল্পও বিশেষ ভাবে উল্ল্যেখযোগ্য, তা ছাড়াও এখানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় শিল্প যা মৌলভীবাজার জেলার অর্থনীতিকে করছে সমৃদ্ধশালী ।
ইতিহাস গবেষক দেওয়ান নুরুল আনওয়ার জালালাবাদের কথা গ্রন্থে লিখেছেন খ্রিস্টিয় সপ্তম শতক পর্যন্ত সিলেট কামরুপ রাজ্যের অন্তর্গত ছিল।
সবচেয়ে প্রচলিত ধারণাটি হলো, শিলা মানে পাথর। আর পাথরের প্রাচুর্যের কারণেই এ এলাকার নাম সিলেট। এ ধারণার পালে আর একটু হাওয়া দিয়ে বলা হয়ে থাকে, সিলেট শব্দের অনুসর্গ সিল মানে শীল বা পাথর আর উপসর্গ হেট মানে হাট বা বাজার। প্রাচীনকাল থেকে এ জেলায় পাথর ও হাটের আধিক্য থাকায় শব্দ দু'টি মিলে সিলেট নামের উৎপত্তি।
সিলেট জেলার ভৌগোলিক অবস্থান ২৪° ৪০’ থেকে ২৫° ১১’’ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১° ৩’’ থেকে ৯২° ৩’’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সিলেট জেলার উত্তরে ভারতের মেঘালয় ও খাশিয়া-জৈন্তিয়া পাহাড়, পূ্র্বে ভারতের আসাম, দক্ষিণে মৌলভীবাজার জেলা ও পশ্চিমে সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলা অবস্থিত। এই জেলার আয়তন ৩,৪৯০.৪০ বর্গ কিমি। বাৎসরিক সর্বচ্চো তাপমাত্রা ৩৩.২° সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৬° সেলসিয়াস। বাৎসরিক বৃষ্টিপাত ৩৩৩৪ মিলিমিটার। প্রধান নদী সুরমা ও কুশিয়ারা। হাওড় সংখ্যা ৮২ টি। সংরক্ষিত বনাঞ্চল ২৩৬.৪২ বর্গ কিলোমিটার। ভারতের খাশিয়া-জয়ান্তা পাহারের কিছু অংশ এই জেলায় পরেছে। এছাড়াও কিছু ছোট পাহাড় ও টিলা রয়েছে এখানে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে জৈন্তাপুর (৫৪ মাইল), সারি টিলা (৯২ মাইল), লালখান টিলা (১৩৫ মাইল), ঢাকা দক্ষিণ টিলাসমূহ (৭৭.৭ মাইল)।