অসংখ্য নদী-নালা বরিশাল সদর উপজেলায় জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে । বরিশাল সদর উপজেলার অর্থনীতিতে এ নদীগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম । বরিশাল সদর উপজেলার প্রধান নদী হল - কীর্তনখোলা, কালিজিরা, আড়িয়াল খাঁ, তেঁতুলিয়া, বুখাইনগর ও কালাবদর।
কীর্তনখোলা : কীর্তনখোলা নদী বরিশাল শহরের পশ্চিম পাশ দিয়ে দক্ষিণ পশ্চিম নলছিটি পর্যন্ত কীর্তনখোলা নামে প্রবাহিত হয়েছে । কীর্তনখোলার পশ্চিম তীরে আভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় অবস্থিত । এর পানি সমতলের বিপদসীমা ২.৫ মিটার এবং সমগ্র বরিশাল জেলার পানি এ নদী দিয়ে অতি অল্প সময়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়ে, যা বরিশাল জেলাকে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করে আসছে যুগ যুগ ধরে ।
কালিজিরা :কীর্তনখোলা থেকে শাখা নদী কালিজিরার উৎপত্তি । কীর্তনখোলার গতিপথে উভয় তীরে বর্তমানে দুটি করে শাখা রয়েছে । পূর্ব তীরে বুখাই নগর ও পটুয়াখালী বাকেরগঞ্জ খাল এবং পশ্চিমতীরে মীরগঞ্জ বা মাধব নদী এবং কালিজিরা শাখা নদীর অবস্থান । কালিজিরা বর্তমানে প্রায় স্রোতহীন ।
তৎকালীন সময়ের প্রভাবশালী জমিদার আগা বাকের খানের নামানুসারে এ জেলার নামকরণ হয়। ১৮০১ সালের ১লা মে স্যার জন শ্যোর এ জেলার সদর দপ্তর বর্তমানে বরিশাল শহরে স্থানান্তরিত করেন। পরবর্তীতে বরিশাল নামেই এ জেলা পরিচিতি পায়। ১৮১৭ সালে এই জেলা একটি কালেক্টরেটে পরিণত হয়।
পাকিস্তান আমলেই পটুয়াখালী মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৮৪ সালে বাকি চারটি মহকুমা জেলায় রূপান্তরিত হয় এবং বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা ও ঝালকাঠী এই ছয়টি জেলা নিয়ে ১৯৯৩ সালের ১লা জানুয়ারি বরিশাল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়।
সাক্ষরতার হারের এ চিত্র উঠে এসেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জনশুমারি ও গৃহগণনা, ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে। জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাক্ষরতার হারে সবচেয়ে এগিয়ে ঢাকা বিভাগ, হার প্রায় ৭৯। এর পরে রয়েছে বরিশাল, ৭৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বরিশাল জেলা আমড়া এর জন্য বিখ্যাত। তাছাড়া বরিশালকে বাংলার ভেনিস বলা হয়।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৮৪ সালে বাকি চারটি মহকুমা জেলায় রূপান্তরিত হয় এবং বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা ও ঝালকাঠী এই ছয়টি জেলা নিয়ে ১৯৯৩ সালের ১লা জানুয়ারি বরিশাল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়।