বরিশাল সদর উপজেলা বরিশাল জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা । বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ডের ৫১ নং সাগরদী মৌজায় ১০.৬৭ একর জমির উপর অবস্থিত । যা ১৪/১৯৬৫-৬৬ নং এল.এ. কেইসের মাধ্যমে অধিগ্রহণকৃত । এ উপজেলার উত্তরে বাবুগঞ্জ, মূলাদী ও মেহেন্দীগঞ্জ, পূর্বে মেহেন্দীগঞ্জ ও ভোলা জেলার ভোলা সদর উপজেলা, দক্ষিণে বাকেরগঞ্জ ও ঝালকাঠী জেলার নলছিটি উপজেলা এবং পশ্চিমে নলছিটি ও ঝালকাঠী সদর উপজেলা অবস্থিত । বরিশাল সদর উপজেলার আয়তন ২৫৬.৫১ বর্গ কিলোমিটার ( বরিশাল সি
টি কর্পোরেশনের ৩০ টি ওয়ার্ড বাদে)। বরিশাল সদর উপজেলায় ১০ টি ইউনিয়ন ,১৪২টি মৌজা ,২৪৭ টি গ্রাম ও ৩৯,৪২৭ টি খানা রয়েছে । মোট লোকসংখ্যা ২,০১,২৫৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,০৩,৩৫০ জন এবং মহিলা ৯৭,৯০৫ জন । শিক্ষিতের হার ৬৪.৮০% । জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অত্র উপজেলাটি ১২৩-বরিশাল-৫ নির্বাচনী এলাকা নামে পরিচিত । এ উপজেলার পূর্ব প্রান্তে প্রায় ৭ কিঃমিঃ দীর্ঘ সীমানা জুড়ে তেঁতুলিয়া নদী, পশ্চিম প্রান্তে প্রায় ১২ কিঃমিঃ দীর্ঘ সীমানায় কালিজিরা নদী এবং দক্ষিণ দিকে প্রায় ১৫ কিঃমিঃ দীর্ঘ সীমানা বরাবর চরামদ্দী ও নেহালগঞ্জ নদী রয়েছে । এ সমস্ত নদী সারা বছর নাব্য থাকে এবং বড় বড় নৌকা ও লঞ্চ চলাচল করে । সদর উপজেলার দশটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটি ইউনিয়নের বেশ কিছু অংশ নব গঠিত বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে । উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সাথে দশটি ইউনিয়নের পাঁকা সড়ক যোগাযোগ বিদ্যমান । তবে, তিনটি ইউনিয়নের (সায়েস্তাবাদ, চরমোনাই ও চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন ) সড়ক যোগাযোগের পরিবর্তে নদী পথে যোগাযোগ করা সহজ ।
তৎকালীন সময়ের প্রভাবশালী জমিদার আগা বাকের খানের নামানুসারে এ জেলার নামকরণ হয়। ১৮০১ সালের ১লা মে স্যার জন শ্যোর এ জেলার সদর দপ্তর বর্তমানে বরিশাল শহরে স্থানান্তরিত করেন। পরবর্তীতে বরিশাল নামেই এ জেলা পরিচিতি পায়। ১৮১৭ সালে এই জেলা একটি কালেক্টরেটে পরিণত হয়।
পাকিস্তান আমলেই পটুয়াখালী মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৮৪ সালে বাকি চারটি মহকুমা জেলায় রূপান্তরিত হয় এবং বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা ও ঝালকাঠী এই ছয়টি জেলা নিয়ে ১৯৯৩ সালের ১লা জানুয়ারি বরিশাল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়।
সাক্ষরতার হারের এ চিত্র উঠে এসেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জনশুমারি ও গৃহগণনা, ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে। জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাক্ষরতার হারে সবচেয়ে এগিয়ে ঢাকা বিভাগ, হার প্রায় ৭৯। এর পরে রয়েছে বরিশাল, ৭৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বরিশাল জেলা আমড়া এর জন্য বিখ্যাত। তাছাড়া বরিশালকে বাংলার ভেনিস বলা হয়।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৮৪ সালে বাকি চারটি মহকুমা জেলায় রূপান্তরিত হয় এবং বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা ও ঝালকাঠী এই ছয়টি জেলা নিয়ে ১৯৯৩ সালের ১লা জানুয়ারি বরিশাল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়।