বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট পাখির নাম সিঁদুরে ফুলঝুরি।
বিশ্বে প্রায় ৭শ’ প্রজাতির পাখি দেখা যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে ছোট পাখি হামিং বার্ড। কয়েক প্রজাতির হামিং বার্ডের মধ্যে সবচেয়ে ছোট কিউবান হামিং বার্ড।
তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট পাখির নাম অনেকের অজানা। এর নাম সিঁদুরে ফুলঝুরি। এরা লম্বার প্রায় সাড়ে ৮ থেকে ৯ সেন্টিমিটার।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ভগীরথপাড়া এলাকায় একজোড়া ফুলঝুরি দেখা যায়। সকালবেলা এদিক-ওদিক উড়ছিল পাখি দুটি। এরা ফুলের মধু বা ফল খেয়ে থাকে। শক্ত ঠোঁটের সাহায্যে এরা সব ধরনের ফল খেতে অভ্যস্ত। ফুলের মধুর খোঁজে এরা এদিক-ওদিক উড়ে বেড়ায়।
পিঠজুড়ে সিঁদুর রাঙার কারণে এটিকে কেউ কেউ সিঁদুরে পিঠ ফুলঝুরি বা লালচে ফুলঝুরিও বলে। ফুলঝুরির কালচে ছোট ঠোঁট। এদের ঠোঁট বাঁকা এবং শক্ত। এদের বুকে হলুদ রঙের আভা। অনেক সময় এদের বুক সাদা ধূসর মনে হয়। লেজ অব্দিও এদের ওপর লাল রং ছড়ানো। পালকের গোড়ায় নীলাভ বর্ণ রয়েছে। এদের চোখ বেশ মায়াময়। তবে শরীরজুড়ে লাল রঙের কারণে ফুলঝুরি দেখতে বেশ সুন্দর।
সাধারণত পাহাড় বা গ্রামীণ এলাকার ঝোপ বা গাছের আড়ালে এদের দেখা যায়। ছোট হলেও সিঁদুরে রঙের কারণে সহজেই নজরে পড়ে।
ফুলঝুরি দ্রুত বেগে এদিক-ওদিক উড়ে বেড়ায়। এরা এক জায়গায় বেশি সময় স্থির থাকতে পারে না। দ্রুত বেগে ওড়াউড়ির কারণে এদের দেখা মেলা ভার।
সিঁদুরে পিঠ ফুলঝুরি ইংরেজি নাম Scarletbacked- Flowerpecker। এদের বৈজ্ঞানিক নাম Dicaeum Erythrorynchos ।
এরা খুব ছোট বাসা বাঁধে। দেখতে অনেকটা মৌটুসি পাখির বাসার মতো। এদের বাসা বাঁধতে সময় লাগে প্রায় এক সপ্তাহ। কেবল স্ত্রী ফুলঝুরি ডিমে তা দেয়। প্রজননকালে এরা কেবল দুটি ডিম দেয়। ডিম দেখতে অনেকটা টিকটিকির ডিমের মতো। ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। সিঁদুরবুক ফুলঝুরি ছাড়াও বাংলাদেশে আগুনবুক ফুলঝুরি, হলুদ ফুলঝুরি ও কমলাবুক ফুলঝুরি দেখা যায়।
সূত্রঃ যুগান্তর সাইট।
বিশ্বের বৃহত্তম সংবিধান ভারতের ও ক্ষুদ্রতম সংবিধান যুক্তরাষ্ট্রের।
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট পাখির নাম হামিং বার্ড ও সবচেয়ে বড় পাখির নাম উটপাখি।
পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট মহাসাগরের নাম উত্তর বা আর্কটিক মহাসাগর।
আয়তনে পৃথিবীর সবচেয়ে কম গভীর মহাসাগরের নাম উত্তর বা আর্কটিক মহাসাগর।