বাউফল উপজেলায় একটি পাবলিক খেলার মাঠ আছে। উপজেলার যাবতীয় খেলাধুলা এ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এ উপজেলায় জনপ্রিয় খেলাগুলো হচ্ছে-ফুটবল, ক্রিকেট, হ্যান্ডবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন ও কাবাডি ইত্যাদি। এ উপজেলার ক্রীড়া সংস্থার সাথে প্রায় ৪০টি ক্লাব জড়িত। এসব ক্লাব উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশ গ্রহণ করে থাকে। বাউফল উপজেলায় খেলাধুলার মান উন্নয়নের জন্য বাউফল উপজেলা পরিষদ ক্রীড়া একাডেমি গঠন করা হয়েছে ।
মুক্তিযুদ্ধকালীন ৯নং সেক্টরের অধীন তৎকালীন পটুয়াখালী জেলা একটি সাব-সেক্টর। পটুয়াখালী-বরগুনার ১০টি থানা নিয়ে গঠিত এই পটুয়াখালী সাব-সেক্টর।
১৮৬৭ সালের ২৭ মার্চ কলিকাতা গেজেটে পটুয়াখালী মহকুমা সৃষ্টির ঘোষণা প্রকাশিত হয়। ১৮৭১ সালে পটুয়াখালী মহকুমায় রূপান্তরিত হয়
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য সম্পদে সমৃদ্ধ। নদী বিধৌত পটুয়াখালী জেলার খাল-বিল, পুকুর, নালা, নিম্নভূমি গুলো মৎস্য সম্পদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জেলার নদী মোহনাগুলো ইলিশ মাছের জন্য বিখ্যাত। পটুয়াখালী জেলার বনাঞ্চলের পরিমাণ খুবই কম।
পটুয়াখালী জেলার বিখ্যাত খাবার মহিষের দই, বাপ্পি এবং কুয়াকাটা জন্য বিখ্যাত। পটুয়াখালী জেলাটি বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল, এটি আমাদের দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত। আয়তনে এ জেলাটি প্রায় ৩২২০.১৫ বর্গ কিমি।
দীর্ঘ ৮ মাস পাক-হানাদারদের হাতে অবরুদ্ধ থাকার পর একাত্তরের ৮ ডিসেম্বর পাকিস্তানী হানাদার মুক্ত হয় এই জেলা। এইদিনে একদিকে স্বজন হারানোর বিয়োগ ব্যাথার দীর্ঘশ্বাস, অন্যদিকে মুক্তির আনন্দে উদ্বেল, আর সৃষ্টি সুখের উল্লাস । হৃদয় উজাড় করে বরণ করে নেয় পটুয়াখালীবাসী হানাদার মুক্ত এই দিনটিকে।