বাংলাদেশের সবচেয়ে নদীবহুল উপজেলা বাকেরগঞ্জ। ১০ টি নদী যথা-
এ উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীগুলো ছাড়াও অসংখ্য খাল ও নালা এ উপজেলায় জালের মত ছড়িয়ে আছে। এক সময় এ নদীই ছিল এ উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। বর্তমানেও এ নদীগুলোর মাধ্যমে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাতায়াত ও মালামাল আনা-নেয়া করা হয়। প্রতিনিয়ত জোয়ার ভাটা হয় এসব নদীতে। তবে এসব নদী ভাংগনে অনেক পরিবার আজ ভিটে-মাটিহীন। এত নদী থাকার সুফলও অনেক। নদী বিধৌত পলি জমে মাটি উর্বর বিধায় এ উপজেলায় প্রচুর ধান জন্মে। এককালে এ উপজেলাকে বাংলাদেশের শস্য ভান্ডার বলা হত। বর্তমানে এসব নদী ও খালের পানি দ্বারা কৃষিকাজ করা হয়। অধিকন্তু অনেক মাছ পাওয়া যায়। কথিত আছে- ধান, নদী, খাল---- এই তিনে বরিশাল। বাকেরগঞ্জ উপজেলার জন্যই এ প্রবাদ।
তৎকালীন সময়ের প্রভাবশালী জমিদার আগা বাকের খানের নামানুসারে এ জেলার নামকরণ হয়। ১৮০১ সালের ১লা মে স্যার জন শ্যোর এ জেলার সদর দপ্তর বর্তমানে বরিশাল শহরে স্থানান্তরিত করেন। পরবর্তীতে বরিশাল নামেই এ জেলা পরিচিতি পায়। ১৮১৭ সালে এই জেলা একটি কালেক্টরেটে পরিণত হয়।
পাকিস্তান আমলেই পটুয়াখালী মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৮৪ সালে বাকি চারটি মহকুমা জেলায় রূপান্তরিত হয় এবং বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা ও ঝালকাঠী এই ছয়টি জেলা নিয়ে ১৯৯৩ সালের ১লা জানুয়ারি বরিশাল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়।
সাক্ষরতার হারের এ চিত্র উঠে এসেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জনশুমারি ও গৃহগণনা, ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে। জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাক্ষরতার হারে সবচেয়ে এগিয়ে ঢাকা বিভাগ, হার প্রায় ৭৯। এর পরে রয়েছে বরিশাল, ৭৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বরিশাল জেলা আমড়া এর জন্য বিখ্যাত। তাছাড়া বরিশালকে বাংলার ভেনিস বলা হয়।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৮৪ সালে বাকি চারটি মহকুমা জেলায় রূপান্তরিত হয় এবং বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা ও ঝালকাঠী এই ছয়টি জেলা নিয়ে ১৯৯৩ সালের ১লা জানুয়ারি বরিশাল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়।