The Ballpen
বাগাতিপাড়া উপজেলার পটভূমি - theballpen

বাগাতিপাড়া উপজেলার পটভূমি

10th Dec 2022 | নাটোর জেলা |

অষ্টাদশ শতকের অর্ধবঙ্গেশ্বরী রাণী ভবানীর স্মৃতি বিজড়িত বিদগ্ধ প্রকৃতি প্রেমী কবি জীবনান্দ দাশের কল্পলোকের প্রেয়সী বনলতা সেন, রসনাতৃপ্ত সু-স্বাদু অবাক সন্দেশ, কাঁচাগোল্লা আর দৃষ্টি নন্দন অপূর্ব কারুকার্য্য খচিত উত্তরা গণভবন খ্যাত ঐতিহ্যবাহী নাটোর জেলার ছোট একটি উপজেলা বাগাতিপাড়া। মালঞ্চি রেলওয়ে ষ্টেশনের ২ কিঃ মিঃ পশ্চিমে বড়াল নদীর পূর্ব তীরে বাগদী পাড়া নামক স্থানে নাটোর সদর থানার দক্ষিণে মাত্র ৫ টি ইউনিয়ন যথাক্রমে

পাঁকা,জামনগর,বাগাতিপাড়া,দয়ারামপুর ও ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়ন নিয়ে ১৯০৬ সালে বাগতিপাড়া পুলিশ ষ্টেশন স্থাপিত হয়। প্রথমে থানার নাম ছিল বাগদী পাড়া। কথিত আছে তৎকালিন রেনউইক কম্পানী এবং নীলকর সাহেবগণ স্থানীয় বাগদীদের দ্বারা প্রজাদের উপর অত্যাচার ও নীপিড়ন চালাত। যার ফলে তাদের প্রতি ঘৃণার নিদর্শন স্বরূপ বাগদীপাড়া পুলিশ ষ্টেশনের নাম করন করা হয় বাগাতিপাড়া। এর পর ১৯৬২ সালে মালঞ্চি রেলওয়ে ষ্টেশনের ০.৭ কিঃ মিঃ দক্ষিণে রেল লাইনের পশ্চিম পার্শ্বে বড়াল নদীর উত্তর তীরে ১৬ একর ৭৭ শতাংশ অপেক্ষাকৃত নিঁচু জমিতে থানা প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কেন্দ্র (টিটিডিসি) স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে ১৫ এপ্রিল প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের ধারাবাহিকতায় মান উন্নীত থানা বাগাতিপাড়া উপজেলায় রূপান্তরিত হয়।

            উপজেলা সদর থেকে ৬ কিঃ মিঃ পশ্চিমে নুরপুর মালঞ্চি গ্রামে হযরত শাহ মোকাররম দানেশমান্দ(রঃ) সহ তার কয়েকজন আওলিয়ার মাজার শরিফ অবস্থিত। উক্ত মাজার জিয়ারতের জন্য প্রতি বছর সেখানে হাজার হাজার ধর্মভীরু মানুষের সমাগম ঘটে। হযরত শাহ মোকাররম দানেশমান্দ(রঃ) এর মাজার পাশেই একটি অপেক্ষাকৃত ছোট কবর আছে যা তার সঙ্গী বাঘের কবর বলে জনশ্রুতি আছে। সম্ভবত এ জন্যই স্থানটির বর্তমান নাম বড়বাঘা বলে পরিচিত। ১৮৯৪ সালে দিঘাপতিয়া রাজ বংশের রাজা প্রমোথনাথ রায়ের একমাত্র কন্যা রাজকুমারী ইন্দ্র প্রভার বিয়ে হয় এই গ্রামেরই জমিদার মহিন্দ্র কুমার শাহ চৌধুরীর সঙ্গে। তাদের প্রাসাদের ধবংসাবশেষ এখনও পুরাতন ঐতিহ্যের সাক্ষ্য বহন করছে। ঊনুবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে বৃটিশ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রেনউইক কোম্পানী বর্তমান উপজেলা পরিষদের ১.৫ কিঃ মিঃ পশ্চিমে নওশেরা গ্রামে তাদের কারখানার একটি শাখা স্থাপন করেন। এখানে দেশীয় আখমাড়াই কল তৈরী করা হত। যা জনসাধারণের মধ্যে ভাড়ায় বিতরণ করে কোম্পানী বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করত। ১৯৬২ সালে কলকারখানা যন্ত্রপাতি কোম্পানী তাদের কুষ্টিয়া শাখায় স্থানান্তর করে নিয়ে যায়। বর্তমানে এইখানে একটি অট্রালিকা ও কারখানার ছাওনি বিদ্যমান আছে।

            এককালে বাংলার জনসাধারণের মধ্যে নীল চাষের জন্য নীলকর সাহেবদের অত্যাচার নীপিড়ন থেকে এ এলাকাও বাদ যায়নি। উপজেলা পরিষদ থেকে ২ কিঃ মিঃ পশ্চিমে বড়াল নদীর অপর পার্শ্বে বর্তমান রায় পরিবারের আম্রকাননের মনোরম পরিবেশে নীল কুঠির অবস্থান ছিল।

            ১৮৯৪ সালে দিঘাপতিয়া রাজস্টেটের রাজা প্রমথ নাথ রায় তার কনিষ্ঠ তিন পুত্রের জন্য অত্র উপজেলার নন্দীকহজা মৌজায় একটি প্রাসাদ নির্মাণ করেন। নন্দীকহজা মৌজার এ রাজস্টেট গড়ে ওঠে দিঘাপতিয়া রাজ বংশের প্রতিষ্ঠাতা রাজা দয়ারামের নামে। তাঁর নাম অনুসারেই ইউনিয়নের নামকরণ করা হয় দয়ারামপুর । প্রাসাদ সংলগ্ন এলাকায় বর্তমানে কাদিরাবাদ সেনানিবাস নির্মাণ করা হয়েছে এবং দয়ারামপুর ইউনিয়ন ভেঙ্গে ফাগুয়াড়দিয়াড় নামে আরো একটি নতুন ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

            উপজেলা সদরের প্রায় ১৬ কিঃ মিঃ পশ্চিমে জামনগর ইউনিয়নের শাখারী পাড়া গ্রামটি সুপ্রাচীন কাল হতে শঙ্খ শিল্পের জন্য বিখ্যাত। সুদুর শ্রীলংকা থেকে শংঙ্খ আমদানী করা হয় এবং প্রক্রিয়াজাত করে এখানে বিভিন্ন  রকমের শাঁখার অলংকার তৈরী করে সারাদেশে সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে প্রায় দু‌শো পরিবার এই শিল্পের মাধ্যমে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে। ১৯৪৬ সালে অত্র উপজেলার জামনগর ইউনিয়নে সর্বপ্রথম একটি দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপিত হয় এবং এর প্রায দু‌বছর পর ১৯৪৮ সালের ৮ই আগস্ট জেলা কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে লক্ষণহাটি দাতব্য চিকিৎসালয় নামে বিহারকোর মোড়ে আরো একটি দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপিত হয় যা পরবর্তীকালে সত্তোর দশকের শেষের দিকে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নামে ৩১ শয্যার হাসপাতালে রুপান্তরিত হয়ে এলাকার বিপুল জন গোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করছে। বর্তমানে এই স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নামে পরিচিত।





Related

নাটোর জেলা কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

নাটোর জেলা ১৯৮৪ সালে একটি জেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।



Related

নাটোরের বিখ্যাত খাবার কী?

নাটোরের খাবারের কথা বলতে গেলে প্রথমেই আসে কাঁচাগোল্লা। কাঁচাগোল্লা নাটোর জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি। দেশব্যাপী কাঁচাগোল্লা এর স্বাদের জন্য খুব বিখ্যাত । দুধ ও চিনি ব্যবহার করে কাঁচাগোল্লা তৈরি করা হয়।



Related

নাটোর জেলা কেন বিখ্যাত?

নাটোর জেলা কাঁচাগোল্লা(মিষ্টি জাতীয় খাবার) ও বনলতা সেন(জীবনানন্দের বিখ্যাত কবিতার(বনলতা সেন) চরিত্র নাটোরের বনলতা সেন) এর জন্য বিখ্যাত। নাটোর জেলার বিখ্যাত বা দর্শনীয় স্থান: শহীদ সাগর|



Related

নাটোর জেলা

নাটোর জেলা বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত একটি জেলা। জেলার উত্তরে নওগাঁ জেলা ও বগুড়া জেলা, দক্ষিণে পাবনা জেলা ও কুষ্টিয়া জেলা, পূর্বে পাবনা জেলা ও সিরাজগঞ্জ জেলা এবং পশ্চিমে রাজশাহী জেলা অবস্থিত। জেলাটি ১৯০৫.০৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তন।এই জেলাটি মূলত বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমের আটটি জেলার মধ্য একটি জেলা।আয়তনের দিক দিয়ে নাটোর বাংলাদেশের ৩৫ তম জেলা। নাটোর জেলা দূর্যোগপ্রবণ এলাকা না হলেও সিংড়া উপজেলা ও লালপুর উপজেলায় আত্রাই নদী এবং পদ্মা নদীতে মাঝে মাঝে বন্যা দেখা দেয়। সদর ও নাটোরের সকল উপজেলার আবহাওয়া একই হলেও লালপুরে গড় তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশি। পুরোনো নিদর্শনের মধ্য এই জেলার এক সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। নাটোর শহর, নাটোর জেলার ও উত্তরবঙ্গের সদরদপ্তর। বাংলাদেশ সরকারের দ্বিতীয় বাসভবন উত্তরা গণভবন নাটোর জেলায় অবস্থিত। এছাড়া পুরাতন বৃহত্তর রাজশাহী জেলার সাবেক সদরদপ্তর (১৭৬৯-১৮২৫).



Related

নাটোর জেলার পটভূমি

নাটোর মুঘল শাসনামলের শেষ সময় থেকে বাংলার ক্ষমতার অন্যতম প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়। বিশেষ করে নবাবী আমলে নাটোরের ব্যাপক ব্যাপ্তি ঘটে। বাংলার সুবেদার মুর্শিদ কুলী খানের (১৭০১-১৭২৭ শাসনকাল) প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বরেন্দ্রী ব্রাহ্মণ রঘুনন্দন তার ছোটভাই রামজীবনের নামে এতদ অঞ্চলে জমিদারী প্রতিষ্ঠা করেন। রাজা রামজীবন রায় নাটোর রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। কথিত আছে লস্কর খাঁতার সৈন্য-সামন্তদের জন্য যে স্থান হতে রসদ সংগ্রহ করতেন, কালক্রমে তার নাম হয় লস্করপুর পরগনা। এই পরগনার একটি নিচু চলাভূমির নাম ছিল ছাইভাংগা বিল। ১৭১০ সনে রাজা রামজীবন রায় এই স্থানে মাটি ভরাট করে তার রাজধানী স্থাপন করেন। কালক্রমে মন্দির, প্রাসাদ, দীঘি, উদ্যান ও মনোরম অট্টালিকা দ্বারা সুসজ্জিত নাটোর রাজবাড়ী প্রস্তুত হয়। পরে আস্তে আস্তে পাশের এলাকায় ঊন্নয়নের ধারাবাহিকতায় একসময় নগরী পরিণত হয়। সুবেদার মুর্শিদ কুলী খানের সুপারিশে মুঘল সম্রাট আলমগীরের নিকট হতে রামজীবন ২২ খানা খেলাত এবং রাজা বাহাদুর উপাধি লাভ করেন। নাটোর রাজ্য উন্নতির চরম শিখরে পৌছে রাজা রামজীবনের দত্তক পুত্র রামকান্তের স্ত্রী রাণী ভবানীর রাজত্বকালে । ১৭৮২ সালে ক্যাপ্টেন রেনেল এর ম্যাপ অনুযায়ী রাণী ভবানীর জমিদারীর পরিমাণ ছিল ১২৯৯৯ বর্গমাইল । শাসন ব্যবস্থার সুবিধার জন্য সুবেদার মুর্শিদ কুলী খান বাংলাকে ১৩ টি চাকলায় বিভক্ত করেন। এর মধ্যে রাণী ভবানীর জমিদারী ছিল ৮ চাকলা বিস্তৃত। এই বিশাল জমিদারীর বাৎসরিক আয় ছিল দেড় কোটি টাকার অধিক। বর্তমান বাংলাদেশের রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, যশোর এবং পশ্চিমবঙ্গের মালদা, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলাব্যাপী বিস্তৃত ছিল তার রাজত্ব। এছাড়া ময়মনসিংহ জেলার পুখুরিয়া পরগণা এবং ঢাকা জেলার রাণীবাড়ী অঞ্চলটিও তার জমিদারীর অন্তর্গত ছিল। এ বিশাল জমিদারীর অধিশ্বরী হওয়ার জন্যই তাকে মহারাণী উপাধী দেয়া হয় এবং তাকে অর্ধ-বঙ্গেশ্বরী হিসাবে অভিহিত করা হতো।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] একে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ সামন্তরাজ এবং এক মহিয়ষী নারীর রাজ্যশাসন ও জনকল্যাণ ব্যবস্থা।

নাটোরের রাজারা এই বিশাল জমিদারী পরিচালনা করতো নিজস্ব প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় । নবাবী আমলে তাদের নিজস্ব দেওয়ানী ও ফৌজদারী বিচারের ক্ষমতা ছিল। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য তাদের নিজস্ব পুলিশবাহিনী এবং জেলখানা ছিল। ১৮৭৩ সালে ইংরেজ সরকারের এক ঘোষণাবলে রাণী ভবানীর দত্তকপুত্র রামকৃষ্ণ এর হাত থেকে কোম্পানী পুলিশ ও জেলখানা নিজ হাতে তুলে নেয়। কোম্পানী নিজহাতে জেলখানার দায়িত্ব নিয়ে প্রতি জেলায় জেলখানা স্থাপন করে। ইংরেজদের কর্তৃক পরিচালিত প্রথম জেলখানা নাটোরে প্রতিষ্ঠিত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

রাণী ভবানীর শাসনামল পর্যন্ত নাটোর শহরের দক্ষিণ পাশ দিয়ে প্রবাহিত হতো স্রোতস্বিনী নারদ নদ । পরবর্তীকালে নদের গতিমুখ বন্ধ হয়ে গেলে সমগ্র শহর এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে নিপতিত হয়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা, বদ্ধজল এবং পয়ঃনিষ্কাশনের একমাত্র সংযোগস্থল ছিল নারদ নদ। সেই নদ অচল হয়ে পড়ায় শহরের পরিবেশ ক্রমাগত দূষিত হয়ে পড়ে। ইংরেজ শাসকরা সেজন্য জেলাসদর নাটোর হতে অন্যত্র স্থানান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ করে। মি. প্রিংগল ১৮২২ সালে ২৩ শে এপ্রিল জেলাসদর হিসাবে পদ্মানদীর তীরবর্তী রামপুর-বোয়ালিয়ার নাম ঊল্লেখ করে প্রস্তাবনা পেশ করেন। ১৮২৫ সালে নাটোর থেকে জেলা সদর রামপুর-বোয়ালিয়াতে স্থানান্তরিত হয়। জেলা সদর স্থানান্তরের পর ইংরেজ সরকার মহকুমা প্রশাসনের পরিকাঠামো তৈরি করে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী মহকুমা হিসাবে নাটোরের পদাবনতি ঘটে। তারপর দীর্ঘ ১৬৫ বছর অর্থাৎ ইংরেজ, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের চৌদ্দ বছরের প্রশাসনিক ইতিহাসে নাটোর মহকুমা সদর হিসাবে পরিচিত ছিল। ১৯৮৪ সালে বৃহত্তর রাজশাহী জেলা ভেঙ্গে নাটোর পুনরায় জেলাসদরের মর্যাদা লাভ করে।

দিঘাপতিয়ার জমিদার বাড়ি (বর্তমানে উত্তরা গণভবন)

রাজা রামজীবন রায় ১৭৩০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি রাজা রামকান্ত রায় কে রাজা এবং দেওয়ান দয়ারাম রায়কে তার অভিভাবক নিযুক্ত করেন। রামকান্ত রাজা হলেও প্রকৃত পক্ষে সম্পূর্ণ রাজকার্যাদি পরিচালনা করতেন দয়ারাম রায়। তার দক্ষতার কারণে নাটোর রাজবংশের ঊত্তোরত্তর সমবৃদ্ধি ঘটে। ১৭৪৮ সালে রামকান্ত পরলোক গমন করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর রাণী ভবানীকে নবাব আলীবর্দী খাঁ বিস্তৃত জমিদারী পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেন। নাটোরের ইতিহাসে জনহিতৈষী রাণী ভবানী হিসেবে অভিহিত এবং আজও তার স্মৃতি অম্লান। বাংলার স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলার সাথে রাণী ভবানীর আন্তরিক সুসম্পর্ক ছিল।  পলাশীর যুদ্ধে রাণী ভবানী নবাবের পক্ষ অবলম্বন করেন।

পরবর্তীতে রাণী ভবানীর নায়েব দয়ারামের উপরে সন্তুষ্ট হয়ে তিনি দিঘাপতিয়া পরগনা তাকে উপহার দেন। দিঘাপতিয়ায় প্রতিষ্ঠিত বর্তমান উত্তরা গণভবনটি দয়ারামের পরবর্তী বংশধর রাজা প্রমদানাথের সময় গ্রিক স্থাপত্য কলার অনুসরনে রূপকথার রাজ প্রাসাদে উন্নীত হয়। কালক্রমে এই রাজপ্রাসাদটি প্রথমত গভর্নর হাউস, পরবর্তীতে বাংলাদেশ অভ্যূদয়ের পরে উত্তরা গণভবনে পরিণত হয়।