The Ballpen
বাগেরহাট জেলায় ভাষা ও সংস্কৃতি - theballpen

বাগেরহাট জেলায় ভাষা ও সংস্কৃতি

23rd Dec 2022 | বাগেরহাট জেলা |

ভাষাঃ

বাগেরহাট জেলার অধিকাংশ অঞ্চলে বন সরিয়ে জনপদ গড়ে উঠেছিল।পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা হতে আগত ব্যক্তিবর্গের আঞ্চলিক ভাষার প্রভাবে এ অঞ্চলের বিভিন্ন জনপদের আঞ্চলিক ভাষার মধ্যে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা উপজেলার অধিবাসীদের মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষার প্রভাব দেখা যায়। রামপাল , মোংলা ও ফকিরহাট উপজেলায় খুলনার আঞ্চলিক ভাষার প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। মোল্লাহাট, চিতলমারী অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষার সাখে গোপালগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষার সামঞ্জস্য রয়েছে। মূলতঃ এ অঞ্চলের অধিবাসীদের একটি সাধারণ আঞ্চলিক ভাষায় চিহ্নিত করা কঠিন।

সংস্কৃতিঃ

এ জেলার গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি পরিবার আর্দশ পরিবারের দৃষ্টান্ত। কৃষি তাদের প্রধান পেশা। প্রাক্বৈদিক, বৈদিক, আর্য, বৌদ্ধ , মুসলমান সব যুগের প্রভাবে এজেলায় মিশ্র সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। মোরগ ডাকা ভোরে আড়মোড় ভেঙ্গে এখানে শুরু হয় দিনের নিত্য কার্যক্রম। পুরুষহাল, বৈঠা,জাল নিয়ে নিত্য কর্মে বেড়িয়ে পড়ে।নারী মন দেয় গৃহ কাজে। মাঝে মাঝে নারী পুরুষ একসাথে মাঠে কাজ করে। শিক্ষায় পুরুষের পাশাপাশি মহিলারাও এগিয়ে রয়েছে। সহ-শিক্ষা কার্যক্রমও র্দীঘ দিনের। পরিবারের প্রধান পুরুষ। নারী রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। এখানে মা অত্যন্ত সন্তান বৎসল। পুত্র সন্তানের প্রতি বাৎসল্যের আধিক্য রয়েছে।যুক্ত পরিবার দিন দিন লোপ পাচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে মহিলারা শাড়ি পড়ে।কনেকে লাল শাড়ি পরানোর রেওয়াজ রয়েছে। মেয়েরা দুহাত ভরে কাঁকন পরে। মেয়েদের পর্দাকরতে দেখা যায়। স্বামী নিজ হাতে সিঁদুর পরালে মঙ্গল বেশী হয় বিবেচনায় বিবাহিত হিন্দু নারীরা স্বামীর হাতে সিঁদুর পরতে পছন্দ করে। গ্রামাঞ্চলের পুরুষরা লুঙ্গিপরে। পুরুষরা সর্বত্র শার্ট পরে। ঘর গুলোতে সচরাচর চৌচালা, গোল পাতার ছাউনি, বাঁশবা কাঠের বেড়া এবং মাটির ভিত দেখা যায়।

ইঁদুর বা অন্য প্রাণীর উপদ্রব হতে রক্ষাপেতে হাড়ি শিকায় ঝুলাতে দেখা যায়।শারদীয় দুর্গা উৎসব ও ঈদে উভয় সম্প্রদায়কে বর্ণাঢ্য পোষাক পরে আনন্দ করতে দেখা যায়।এলাকাবাসী নাটক , যাত্রা, মেলা, ষাঁড়ের লড়াই , নৌকা বাইচ ইত্যাদি দেখতে খুব পছন্দকরে। খেলাধুলাও তাদের খুব প্রিয়। সন্তান জন্মের পর হিন্দুর ঘরে অন্ন প্রাশন আরমুসলমানের ঘরে আক্কিকা হয়। উভয় সম্প্রদায় দরগাহ ও পবিত্র স্থান পরিদর্শনকরে। ভুত-পেত্নী, জ্বীন-পরীর অস্তিত্ব সম্পর্কে এখানে কিছু কুসংস্কার রয়েছে। ভাত ওমাছ এ জেলার প্রধান খাদ্য।জেলার সর্বত্র রন্ধন প্রনালী প্রায় একই রকম। ভাটি অঞ্চলেরঅধিবাসীদের সঙ্গীত বিশেষ করে ভাটিয়ালী গান অত্যন্ত প্রিয়।





Related

বাগেরহাট কত সালে জেলা হয়?

১৯৮৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাট মহকুমা জেলায় উন্নীত হয়



Related

বাগেরহাট জেলা কোন জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল?

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের একটি উপকূলীয় জেলা বাগেরহাট। প্রাচীন সমতটের এই জনপদের সমৃদ্ধির ইতিহাস উপমহাদেশের বহু প্রাচীন জনপদের সমকালীন ও সমপর্যায়ের। বর্তমানে খুলনা বিভাগের অন্তর্গত বাগেরহাট শহরের পূর্ব নাম ছিল 'খলিফাতাবাদ'।



Related

বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার

বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী খাবারের কথা আসলেই সবার প্রথমে আসে চুই ঝালের কথা। চুই ঝালে গরুর মাংস কিংবা খাসির মাংস, একনামে বিখ্যাত! খুলনা যাবেন আর চুই ঝালের তরকারি খাবেন না তা একদম হবে না। চুই বাংলাদেশের একটি অপ্রচলিত মশলা জাতীয় ফসল।



Related

বাগেরহাট কিসের জন্য বিখ্যাত

বিখ্যাত বাগেরহাট দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের এই ঐতিহাসিক জেলাটি মূলত উৎপাদনে এগিয়ে থাকা চিংড়ি ও সুপারির জন্য বিখ্যাত। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দর্শনীয় স্থান ষাট গম্বুজ মসজিদ এই জেলায় অবস্থিত। এছাড়া দেশে চিংড়ি এবং সুপারি উৎপাদনে সবার শীর্ষে এই জেলা।



Related

বাগেরহাট জেলার সেক্টর কমান্ডার কে ছিলেন?

পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাগেরহাট প্রথম প্রবেশ করে ২৪ এপ্রিল ১৯৭১ শনিবার। মুক্তিযুদ্বের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়।