প্রাচীনকাল থেকেই বাগেরহাট সদর জনগাষ্ঠী ক্রীড়ামোদী। এখানে প্রতিবছরই বিভিন্ন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এখানকার জনপ্রিয় খেলার মধ্যে বর্তমানে ক্রিকেট ও ফুটবলের আধিপত্য দেখা গেলেও অন্যান্য খেলাও পিছিয়ে নেই। বাগেরহাট সদরে বেশ কয়েকটি খেলার মাঠ রয়েছে। এর মধ্যে বাগেরহাট জেলা স্টেডিয়াম শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। প্রতি বছর এ স্টেডিয়ামে নিম্নলিখিত ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ঃ
(ক) গোল্ডকাপ ফুটবল
(খ) প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ
(গ) ১ম বিভাগ ফুটবল লীগ
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের একটি উপকূলীয় জেলা বাগেরহাট। প্রাচীন সমতটের এই জনপদের সমৃদ্ধির ইতিহাস উপমহাদেশের বহু প্রাচীন জনপদের সমকালীন ও সমপর্যায়ের। বর্তমানে খুলনা বিভাগের অন্তর্গত বাগেরহাট শহরের পূর্ব নাম ছিল 'খলিফাতাবাদ'।
বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী খাবারের কথা আসলেই সবার প্রথমে আসে চুই ঝালের কথা। চুই ঝালে গরুর মাংস কিংবা খাসির মাংস, একনামে বিখ্যাত! খুলনা যাবেন আর চুই ঝালের তরকারি খাবেন না তা একদম হবে না। চুই বাংলাদেশের একটি অপ্রচলিত মশলা জাতীয় ফসল।
বিখ্যাত বাগেরহাট দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের এই ঐতিহাসিক জেলাটি মূলত উৎপাদনে এগিয়ে থাকা চিংড়ি ও সুপারির জন্য বিখ্যাত। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দর্শনীয় স্থান ষাট গম্বুজ মসজিদ এই জেলায় অবস্থিত। এছাড়া দেশে চিংড়ি এবং সুপারি উৎপাদনে সবার শীর্ষে এই জেলা।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাগেরহাট প্রথম প্রবেশ করে ২৪ এপ্রিল ১৯৭১ শনিবার। মুক্তিযুদ্বের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়।