বাঘা উপজেলার মানুষ খেলাধুলা এবং বিনোদন প্রিয়। এই উপজেলার মানুষ দেশী খেলার পাশাপাশি বিদেশী খেলা খেলে থাকেন। উপজেলায় নিয়মিত ক্রিকেট, ফুটবল, হকি খেলার চর্চা হয়ে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে উপজেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতামূলক খেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে।
এই উপজেলায় খেলাধুলার দুইটি ক্লাব আছে। ১) বাঘা বি,কে,এস,পি এবং ২) বাঘা রেনেসা ক্লাব।
বিনোদন
বাঘা উপজেলার প্রায়ই নাকট, গান, সার্কাসসহ বিভিন্ন শিক্ষামূলক বিনোদন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়ে থাকে। এছাড়া বছরের বিশেষ সময় বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হয়। যেমন: বৈশাখী মেলা, বানিজ্য মেলা, বই মেলা,কৃষি মেলা, বৃক্ষ মেলা ইত্যাদি। এই উপজেলার মানুষ খেলাধুলার পাশাপাশী সংগীতটাকেও খুব ভালোবাসে। তাই সংগীত প্রিয় মানুষ এবং সংগীত শিল্পীদের জন্য উপজেলা চত্তরে আছে একটি সংগীত একাডেমী।
রজশাহী জেলা আম, রাজশাহী সিল্ক শাড়ি, খেজুরের গুড় এবং শংকরের ক্ষীরের চমচম এর জন্য বিখ্যাত।
রাজশাহীর অন্যতম ঐতিহ্যবাহী খাবার কলাইয়ের রুটি। দেশ স্বাধীনের পর সত্তর দশকেই রাজশাহী শহরে ও বাংলেদেশে কলাইয়ের রুটি বিক্রির সূচনা হয়। পূর্বে নিম্ন আয়ের শ্রমিক শ্রেণির মানুষ কলাইয়ের রুটি কিনে খেলেও এখন সব পেশার মানুষের কাছেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মহানগরীর সব এলাকাতেই ফুটপাতে খুপড়ি মত অথবা ছোট কলাইয়ের রুটির দোকান আছে। বর্তমানে রেস্টুরেন্টের মতো উন্নত আয়োজনে কলাইয়ের রুটির দোকানের সংখ্যার ক্রম বৃদ্ধি ঘটছে।
রাজশাহী শহরকে কেন্দ্র করে ১৭৭২ সালে জেলা গঠন করা হয়। ১৮৭৬ সালে গঠিত হয় রাজশাহী পৌরসভা। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হয়।
বাংলাদেশের সর্বপ্রাচীন জনপদ হলাে পুণ্ড্র। বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অবস্থানভূমিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে পুণ্ড্র জনপদ। প্রাচীন পুণ্ড রাজ্যের রাজধানী ছিল পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর।