The Ballpen
বাঘা মসজিদ কোথায়? - theballpen

বাঘা মসজিদ কোথায়?

10th Dec 2022 | নাটোর জেলা |

বাঘা মসজিদ রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ৪০ কি.মি. দক্ষিণ-পূর্বে বাঘাতে অবস্থিত। এটি বেশ ভালভাবে সংরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। ইটের দেওয়াল ঘেরা ৪৮.৭৭ মিটার বর্গাকার চত্বরের মধ্যে বেশ বড় আকারের একটি পুকুরের পশ্চিম পাড়ে মসজিদটি নির্মিত। মসজিদ চত্বরে প্রবেশের  জন্য দুটি পুরানো খিলানকৃত প্রবেশপথ ছিল। এর একটি ছিল উত্তরদিকে এবং অন্যটি দক্ষিণ দিকে। দক্ষিণ দিকের প্রধান প্রবেশপথটি ছিল সাধারণ আয়তাকারের বক্রাকৃতির একটি কাঠামো। এর উভয় পার্শ্বে ছিল একটি করে মিনার।

বাঘা মসজিদ, রাজশাহী

ইটের তৈরি মসজিদটি বর্তমানে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে একটি সংরক্ষিত ইমারত। এর কাঠামো আয়তাকার, যার বাইরের দিকের পরিমাপ প্রায় ২৩.১৬ মি. এবং ১২.৮০ মি.। মসজিদের বাইরের চারকোণার অষ্টাভুজাকৃতির বুরুজগুলি খুবই বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ছিল। এগুলি আলঙ্কারিক বন্ধনী দ্বারা বিভিন্ন অংশে বিভক্ত ছিল এবং এগুলির উপরে ছিল বহুভুজ নিরেট ছোট গম্বুজ। মসজিদের কার্নিস নমনীয়ভাবে বাংলারীতিতে বক্রাকারে তৈরি করা হয়েছিল। পূর্ব দিকে পাঁচটি এবং উত্তর ও দক্ষিণে দুটি করে খিলানপথ আছে। অভ্যন্তরভাগে দক্ষিণের তিনটি ‘বে’-র পশ্চিম প্রান্তে তিনটি মিহরাব, চতুর্থ ‘বে’-তে একটি খোপ (প্যানেল) নকশা এবং উত্তর-পশ্চিম কোণের একটু উঁচু গ্যালারিতে একটি ছোট মিহরাব আছে।

মসজিদের অভ্যন্তরভাগকে চারটি প্রস্তরস্তম্ভের একটি সারি দ্বারা দুটি লম্বালম্বি আইল ও পাঁচটি ‘বে’-তে বিভক্ত করা হয়েছে। এর ফলে মসজিদের অভ্যন্তরভাগ দশটি স্বতন্ত্র অংশে বিভক্ত হয়েছে। এর প্রত্যেক ভাগ উল্টানো পেয়ালা আকৃতির গম্বুজ দ্বারা আচ্ছাদিত ছিল। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে আদি ছাদ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ বর্তমানের গম্বুজটি পুনঃনির্মাণ করে। পাথরের স্তম্ভ এবং দেওয়াল সংলগ্ন পাথরের পোস্তাগুলি (pilaster) থেকে উত্থিত আড়াআড়িভাবে ছেদকৃত খিলানগুলি গম্বুজের ভার বহন করছিল। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, প্রবেশপথের খিলানের উৎপত্তিস্থলে স্থাপিত সরদল আকারে পাথরখন্ডগুলি মসজিদের চতুর্দিকে বসানো আছে। এর ফলে বাইরে থেকে মসজিদকে দ্বিতল বলে মনে হয়।

মসজিদটি অনবদ্য পোড়ামাটির অলঙ্করণের জন্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। অনেক অলঙ্করণ ইতোমধ্যে নষ্ট হয়ে গেলেও মসজিদের ভেতরে ও বাইরে এখনও প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান। সবকটি খিলানপথ ও মিহরাব অলঙ্কৃত আয়তাকার কাঠামোর মধ্যে স্থাপিত এবং সেগুলির চারদিকের স্থানসমূহ উঁচুমানের আয়তাকার খোপ নকশায় অলঙ্কৃত ছিল। এগুলি একটির উপর আর একটি বসানো ছিল। পূর্ব দিকের সম্মুখভাগে এরূপ একটি খোপ-নকশা স্প্যানড্রিলের ফ্রেমে পরিবেষ্টিত ছিল। এতে ছিল চমৎকার খাঁজবিশিষ্ট ও ফুলের নকশায় সজ্জিত একটি খিলান।

মিহরাবগুলির অভ্যন্তরে ছিল গভীর কুলুঙ্গি এবং সেগুলির সম্মুখে ছিল অলঙ্কৃত পলকাটা স্তম্ভের উপর স্থাপিত সুন্দর খাঁজবিশিষ্ট খিলান। গভীর কুলুঙ্গিগুলি উত্তোলিত আলঙ্কারিক বন্ধনীর মাধ্যমে কয়েকটি আয়তাকার ছোট খোপ-নকশার সারিতে বিভক্ত ছিল। এর প্রতিটি বিভিন্ন নকশাঙ্কিত খাঁজ খিলান দ্বারা সুশোভিত ছিল। মিহরাব খিলানের স্প্যানড্রিলগুলি ফুলদানী নকশায় সমৃদ্ধ ছিল এবং এর মধ্যে থেকে আঙ্গুর লতার ন্যায় প্যাঁচানো নকশা ও পত্ররাজি বের হয়েছে। এর সাথে আরও রয়েছে সুস্পষ্টভাবে প্যাঁচানো গোলাপ নকশা। সমস্ত গঠনটি একটি আয়তাকার ফ্রেমের মধ্যে সংযুক্ত ছিল যা ধারাবাহিকভাবে অলঙ্কৃত আয়তাকার খোপ নকশায় পূর্ণ ছিল।

মসজিদের একটি জানালার গ্রিলে আড়াআড়িভাবে ছেদকৃত বৃত্ত ও কোণ-এর পাশাপাশি অবস্থান দেখা যায়। পলকাটা কোণার বুরুজগুলি বিভিন্ন পোড়ামাটির নকশায় সমৃদ্ধ ছিল। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, মসজিদের ভেতরে উত্তর-পশ্চিম কোণে উঁচু ভিটিতে নির্মিত অতিরিক্ত নামাজ কক্ষটি শুধু সুলতানের প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত গভর্নরের জন্যই নির্দিষ্ট ছিল বলে মনে হয়।

এ ধরনের বিশেষ নামায কক্ষ বাংলার কোনো কোনো মসজিদেও লক্ষ্য করা যায়। এতে মনে হয় যে, এ ব্যবস্থা ‘মাকসুরা’র বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল। ইসলামের প্রাথমিক পর্যায়ের মসজিদ স্থাপত্যের এ বৈশিষ্ট্য খলিফার নিরাপত্তার জন্য প্রবর্তন করা হয়েছিল। বাঘা মসজিদের এ বিশেষ বৈশিষ্ট্যটি মসজিদটিকে জামে মসজিদের মর্যাদা প্রদান করেছে। আদিতে এ মসজিদের প্রধান প্রবেশদ্বারের উপরে লাগানো একটি শিলালিপির (বর্তমানে করাচিতে) বর্ণনা অনুযায়ী, সুলতাননুসরত শাহ ১৫২৩ খ্রিস্টাব্দে এটি নির্মাণ করেন।  [এম.এ বারি]





Related

নাটোর জেলা কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

নাটোর জেলা ১৯৮৪ সালে একটি জেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।



Related

নাটোরের বিখ্যাত খাবার কী?

নাটোরের খাবারের কথা বলতে গেলে প্রথমেই আসে কাঁচাগোল্লা। কাঁচাগোল্লা নাটোর জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি। দেশব্যাপী কাঁচাগোল্লা এর স্বাদের জন্য খুব বিখ্যাত । দুধ ও চিনি ব্যবহার করে কাঁচাগোল্লা তৈরি করা হয়।



Related

নাটোর জেলা কেন বিখ্যাত?

নাটোর জেলা কাঁচাগোল্লা(মিষ্টি জাতীয় খাবার) ও বনলতা সেন(জীবনানন্দের বিখ্যাত কবিতার(বনলতা সেন) চরিত্র নাটোরের বনলতা সেন) এর জন্য বিখ্যাত। নাটোর জেলার বিখ্যাত বা দর্শনীয় স্থান: শহীদ সাগর|



Related

নাটোর জেলা

নাটোর জেলা বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত একটি জেলা। জেলার উত্তরে নওগাঁ জেলা ও বগুড়া জেলা, দক্ষিণে পাবনা জেলা ও কুষ্টিয়া জেলা, পূর্বে পাবনা জেলা ও সিরাজগঞ্জ জেলা এবং পশ্চিমে রাজশাহী জেলা অবস্থিত। জেলাটি ১৯০৫.০৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তন।এই জেলাটি মূলত বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমের আটটি জেলার মধ্য একটি জেলা।আয়তনের দিক দিয়ে নাটোর বাংলাদেশের ৩৫ তম জেলা। নাটোর জেলা দূর্যোগপ্রবণ এলাকা না হলেও সিংড়া উপজেলা ও লালপুর উপজেলায় আত্রাই নদী এবং পদ্মা নদীতে মাঝে মাঝে বন্যা দেখা দেয়। সদর ও নাটোরের সকল উপজেলার আবহাওয়া একই হলেও লালপুরে গড় তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশি। পুরোনো নিদর্শনের মধ্য এই জেলার এক সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। নাটোর শহর, নাটোর জেলার ও উত্তরবঙ্গের সদরদপ্তর। বাংলাদেশ সরকারের দ্বিতীয় বাসভবন উত্তরা গণভবন নাটোর জেলায় অবস্থিত। এছাড়া পুরাতন বৃহত্তর রাজশাহী জেলার সাবেক সদরদপ্তর (১৭৬৯-১৮২৫).



Related

নাটোর জেলার পটভূমি

নাটোর মুঘল শাসনামলের শেষ সময় থেকে বাংলার ক্ষমতার অন্যতম প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়। বিশেষ করে নবাবী আমলে নাটোরের ব্যাপক ব্যাপ্তি ঘটে। বাংলার সুবেদার মুর্শিদ কুলী খানের (১৭০১-১৭২৭ শাসনকাল) প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বরেন্দ্রী ব্রাহ্মণ রঘুনন্দন তার ছোটভাই রামজীবনের নামে এতদ অঞ্চলে জমিদারী প্রতিষ্ঠা করেন। রাজা রামজীবন রায় নাটোর রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। কথিত আছে লস্কর খাঁতার সৈন্য-সামন্তদের জন্য যে স্থান হতে রসদ সংগ্রহ করতেন, কালক্রমে তার নাম হয় লস্করপুর পরগনা। এই পরগনার একটি নিচু চলাভূমির নাম ছিল ছাইভাংগা বিল। ১৭১০ সনে রাজা রামজীবন রায় এই স্থানে মাটি ভরাট করে তার রাজধানী স্থাপন করেন। কালক্রমে মন্দির, প্রাসাদ, দীঘি, উদ্যান ও মনোরম অট্টালিকা দ্বারা সুসজ্জিত নাটোর রাজবাড়ী প্রস্তুত হয়। পরে আস্তে আস্তে পাশের এলাকায় ঊন্নয়নের ধারাবাহিকতায় একসময় নগরী পরিণত হয়। সুবেদার মুর্শিদ কুলী খানের সুপারিশে মুঘল সম্রাট আলমগীরের নিকট হতে রামজীবন ২২ খানা খেলাত এবং রাজা বাহাদুর উপাধি লাভ করেন। নাটোর রাজ্য উন্নতির চরম শিখরে পৌছে রাজা রামজীবনের দত্তক পুত্র রামকান্তের স্ত্রী রাণী ভবানীর রাজত্বকালে । ১৭৮২ সালে ক্যাপ্টেন রেনেল এর ম্যাপ অনুযায়ী রাণী ভবানীর জমিদারীর পরিমাণ ছিল ১২৯৯৯ বর্গমাইল । শাসন ব্যবস্থার সুবিধার জন্য সুবেদার মুর্শিদ কুলী খান বাংলাকে ১৩ টি চাকলায় বিভক্ত করেন। এর মধ্যে রাণী ভবানীর জমিদারী ছিল ৮ চাকলা বিস্তৃত। এই বিশাল জমিদারীর বাৎসরিক আয় ছিল দেড় কোটি টাকার অধিক। বর্তমান বাংলাদেশের রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, যশোর এবং পশ্চিমবঙ্গের মালদা, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলাব্যাপী বিস্তৃত ছিল তার রাজত্ব। এছাড়া ময়মনসিংহ জেলার পুখুরিয়া পরগণা এবং ঢাকা জেলার রাণীবাড়ী অঞ্চলটিও তার জমিদারীর অন্তর্গত ছিল। এ বিশাল জমিদারীর অধিশ্বরী হওয়ার জন্যই তাকে মহারাণী উপাধী দেয়া হয় এবং তাকে অর্ধ-বঙ্গেশ্বরী হিসাবে অভিহিত করা হতো।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] একে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ সামন্তরাজ এবং এক মহিয়ষী নারীর রাজ্যশাসন ও জনকল্যাণ ব্যবস্থা।

নাটোরের রাজারা এই বিশাল জমিদারী পরিচালনা করতো নিজস্ব প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় । নবাবী আমলে তাদের নিজস্ব দেওয়ানী ও ফৌজদারী বিচারের ক্ষমতা ছিল। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য তাদের নিজস্ব পুলিশবাহিনী এবং জেলখানা ছিল। ১৮৭৩ সালে ইংরেজ সরকারের এক ঘোষণাবলে রাণী ভবানীর দত্তকপুত্র রামকৃষ্ণ এর হাত থেকে কোম্পানী পুলিশ ও জেলখানা নিজ হাতে তুলে নেয়। কোম্পানী নিজহাতে জেলখানার দায়িত্ব নিয়ে প্রতি জেলায় জেলখানা স্থাপন করে। ইংরেজদের কর্তৃক পরিচালিত প্রথম জেলখানা নাটোরে প্রতিষ্ঠিত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

রাণী ভবানীর শাসনামল পর্যন্ত নাটোর শহরের দক্ষিণ পাশ দিয়ে প্রবাহিত হতো স্রোতস্বিনী নারদ নদ । পরবর্তীকালে নদের গতিমুখ বন্ধ হয়ে গেলে সমগ্র শহর এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে নিপতিত হয়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা, বদ্ধজল এবং পয়ঃনিষ্কাশনের একমাত্র সংযোগস্থল ছিল নারদ নদ। সেই নদ অচল হয়ে পড়ায় শহরের পরিবেশ ক্রমাগত দূষিত হয়ে পড়ে। ইংরেজ শাসকরা সেজন্য জেলাসদর নাটোর হতে অন্যত্র স্থানান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ করে। মি. প্রিংগল ১৮২২ সালে ২৩ শে এপ্রিল জেলাসদর হিসাবে পদ্মানদীর তীরবর্তী রামপুর-বোয়ালিয়ার নাম ঊল্লেখ করে প্রস্তাবনা পেশ করেন। ১৮২৫ সালে নাটোর থেকে জেলা সদর রামপুর-বোয়ালিয়াতে স্থানান্তরিত হয়। জেলা সদর স্থানান্তরের পর ইংরেজ সরকার মহকুমা প্রশাসনের পরিকাঠামো তৈরি করে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী মহকুমা হিসাবে নাটোরের পদাবনতি ঘটে। তারপর দীর্ঘ ১৬৫ বছর অর্থাৎ ইংরেজ, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের চৌদ্দ বছরের প্রশাসনিক ইতিহাসে নাটোর মহকুমা সদর হিসাবে পরিচিত ছিল। ১৯৮৪ সালে বৃহত্তর রাজশাহী জেলা ভেঙ্গে নাটোর পুনরায় জেলাসদরের মর্যাদা লাভ করে।

দিঘাপতিয়ার জমিদার বাড়ি (বর্তমানে উত্তরা গণভবন)

রাজা রামজীবন রায় ১৭৩০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি রাজা রামকান্ত রায় কে রাজা এবং দেওয়ান দয়ারাম রায়কে তার অভিভাবক নিযুক্ত করেন। রামকান্ত রাজা হলেও প্রকৃত পক্ষে সম্পূর্ণ রাজকার্যাদি পরিচালনা করতেন দয়ারাম রায়। তার দক্ষতার কারণে নাটোর রাজবংশের ঊত্তোরত্তর সমবৃদ্ধি ঘটে। ১৭৪৮ সালে রামকান্ত পরলোক গমন করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর রাণী ভবানীকে নবাব আলীবর্দী খাঁ বিস্তৃত জমিদারী পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেন। নাটোরের ইতিহাসে জনহিতৈষী রাণী ভবানী হিসেবে অভিহিত এবং আজও তার স্মৃতি অম্লান। বাংলার স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলার সাথে রাণী ভবানীর আন্তরিক সুসম্পর্ক ছিল।  পলাশীর যুদ্ধে রাণী ভবানী নবাবের পক্ষ অবলম্বন করেন।

পরবর্তীতে রাণী ভবানীর নায়েব দয়ারামের উপরে সন্তুষ্ট হয়ে তিনি দিঘাপতিয়া পরগনা তাকে উপহার দেন। দিঘাপতিয়ায় প্রতিষ্ঠিত বর্তমান উত্তরা গণভবনটি দয়ারামের পরবর্তী বংশধর রাজা প্রমদানাথের সময় গ্রিক স্থাপত্য কলার অনুসরনে রূপকথার রাজ প্রাসাদে উন্নীত হয়। কালক্রমে এই রাজপ্রাসাদটি প্রথমত গভর্নর হাউস, পরবর্তীতে বাংলাদেশ অভ্যূদয়ের পরে উত্তরা গণভবনে পরিণত হয়।