বানিয়াচং উপজেলা এশিয়া মহাদেশের সবচয়ে বড় গ্রাম হওয়ায় এই উপজেলায় গ্রামীণ খেলার প্রচলন বেশি রয়েছে; যেমন- সাতছাড়া, লাটিম, হা-ডু-ডু, ফুটবল, ইসিং বিসিং, মারবেল, ছোয়াছোয়ি, ক্রিকেট, লাঠি খেলা, রাখাল খেলা ইত্যাদি। বানিয়াচং এর প্রাচীন স্পোর্টিং ক্লাবদের মধ্যে এ পর্যন্ত যেসকল স্পোর্টিং ক্লাবের নাম উল্লেখযোগ্য সেগুলি হল: আমবাগান স্পোর্টিং ক্লাব (১৯২৯), নওজোয়ান স্পোর্টিং ক্লাব (১৯৩৪), জুয়েল স্পোর্টিং ক্লাব, গ্রীনগার্ডস স্পোর্টিং ক্লাব, ইলাভেন সোলজার্স (১৯৮৮), সূর্যসেনা ক্রীড়া চক্র (১৯৭৬), প্রগতি ক্রীড়া চক্র (১৯৭৪) প্রভৃতি। এছাড়াও অনেক ক্রীড়া সংগঠনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
এককালে বানিয়াচং ছিল বৃহত্তর সিলেট তথা আসাম ও বঙ্গদেশের খেলাধুলার এক উল্লেখযোগ্য পীঠস্থান। উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় বি রায় চৌধুরী (ভূপেন্দ্র চৌধুরী, ১৯১৩-১৯৯২), এসকে চৌধুরী (১৯১৫-১৯৭৮) এই গ্রামের সন্তান। উল্লেখ্য বি রায় চৌধুরী ছিলেন ঢাকা একাদশের সেরা খেলোয়াড়, মোহনবাগান স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও উপমহাদেশের সেরা লেফট আউট। আগরতলা স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, আসাম প্রদেশ স্পোর্টস এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, গৌহাটি মহারানা স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
মৌলভীবাজার এর অর্থনীতির প্রধান ভীত হলো চা শিল্প ও রাবার শিল্প । এ জেলায় প্রচুর পরিমানে চা ও রাবার উৎপাদিত হয় । এ ছাড়াও এ জেলার অর্থনীতিতে এই জেলার পর্যটন শিল্পও বিশেষ ভাবে উল্ল্যেখযোগ্য, তা ছাড়াও এখানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় শিল্প যা মৌলভীবাজার জেলার অর্থনীতিকে করছে সমৃদ্ধশালী ।
হবিগঞ্জ জেলার আর দশটি সাধারণ মানুষ ভাত মাছ খেলে এখানকার একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী মূলত প্রধান খাবার হিসেবে "ছিকর" নামের একটি খাবার গ্রহণ করে থাকে। অবাক করার বিষয় হল এটি এটেল মাটি দ্বারা নির্মিত একটি খাবার। প্রথমে স্বচ্ছ মিহি এটেল মাটি রোদে শুকোতে হয়।
বাহুবল উপজেলা প্রাকৃতিক বৈচিত্রে ভরপুর উপজেলা। এই উপজেলায় একই সাথে পাহাড়ী টিলা সমতল ভহমি এবং হাওড় অঞ্চল নিয়ে গঠিত। এই উপজেলায় ৭টি চা-বাগান উপজেলাকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয় করে তোলেছে। তা ছাড়া এইখানে নির্মাণাধীন ৫ তারকা বিশিষ্ট দি প্যালেস আকর্ষনের বিষয় বসত্মত্মুতে পরিণত হয়েছে।
নবীগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম গ্যাস ফিল্ড বিবিয়ানা । এটি কে পি আই শ্রেণীর স্থাপনা যা ৪ নং দীঘলবাক ইউনিয়ন ও ৩ নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নে অবস্থিত। ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জের সৈয়দপুর বাজার হতে মাত্র ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে পাকা সড়কে ধরে গেলেই বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড দেখতে পাওয়া যায় ।
১৯৪৭ সালের ১৩ই আগস্ট পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পূর্বদিন পর্যন্ত সিলেট আসামের একটি জেলা হিসেবে গণ্য ছিল। অর্থাৎ এই সময়ে নবীগঞ্জ আসাম প্রদেশের একটি জেলা হিসেবে সিলেটের অন্তর্ভুক্ত ছিল।