এখানে থানা সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯০৬ সালে। বাবুগঞ্জ নামকরণ সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য ইতিহাস পাওয়া না গেলেও ইতিহাস বর্ণনায় জানা যায়, আজ থেকে ৪০০ বছর আগে এই অঞ্চলে বসবাসরত বেশ ক’জন হিন্দু জমিদার তাদের প্রয়োজনে বাবুগঞ্জ উপজেলা সদরের বর্তমান বাজারটি মেলায়। ঐ সময়ে অত্র অঞ্চলের লোকজন জমিদারদের বাবু বলে সম্বোধন করত। আর বাজারটিকে তারা অভিহিত করত গঞ্জ বলে। ফলে জমিদার বাবুদের মেলানো গঞ্জ থেকে এই এলাকার নাম হয় বাবুগঞ্জ। অন্য এক তথ্যানুসারে বলা হয় যে, যশোর পরগনার জমিদার ‘বাবু বিরাজ রায় চৌধুরী’ এই অঞ্চল প্রাপ্ত হয়ে এখানে একটি বাণিজ্য কেন্দ্র (গঞ্জ) প্রতিষ্ঠা করেন। বাবু বিরাজ রায় চৌধুরীর নামানুসারে এলাকার নাম হয় বাবুগঞ্জ।
তৎকালীন সময়ের প্রভাবশালী জমিদার আগা বাকের খানের নামানুসারে এ জেলার নামকরণ হয়। ১৮০১ সালের ১লা মে স্যার জন শ্যোর এ জেলার সদর দপ্তর বর্তমানে বরিশাল শহরে স্থানান্তরিত করেন। পরবর্তীতে বরিশাল নামেই এ জেলা পরিচিতি পায়। ১৮১৭ সালে এই জেলা একটি কালেক্টরেটে পরিণত হয়।
পাকিস্তান আমলেই পটুয়াখালী মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৮৪ সালে বাকি চারটি মহকুমা জেলায় রূপান্তরিত হয় এবং বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা ও ঝালকাঠী এই ছয়টি জেলা নিয়ে ১৯৯৩ সালের ১লা জানুয়ারি বরিশাল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়।
সাক্ষরতার হারের এ চিত্র উঠে এসেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জনশুমারি ও গৃহগণনা, ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে। জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাক্ষরতার হারে সবচেয়ে এগিয়ে ঢাকা বিভাগ, হার প্রায় ৭৯। এর পরে রয়েছে বরিশাল, ৭৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বরিশাল জেলা আমড়া এর জন্য বিখ্যাত। তাছাড়া বরিশালকে বাংলার ভেনিস বলা হয়।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৮৪ সালে বাকি চারটি মহকুমা জেলায় রূপান্তরিত হয় এবং বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা ও ঝালকাঠী এই ছয়টি জেলা নিয়ে ১৯৯৩ সালের ১লা জানুয়ারি বরিশাল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়।