বামনা উপজেলার ইতিহাস খুঁজে জানা যায় ১৮৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত পিরোজপুর মহকুমার আওতায় সুবৃহৎ থানা ছিল মঠবাড়ীয়া। মঠবাড়ীয়া ছিল বাকেরগঞ্জ জেলার অমত্মর্গত। ১৯১৩ সালের কোন এক সুন্দর সকালে মঠবাড়ীয়া থানার একাংশের চারটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয় বামনা থানা। থানার কার্যক্রম ১৯৬১ সাল পর্যমত্ম চলতে থাকে একটি জাহাজের উপর অবস্থিত জল থানায় । সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে বামনা পূর্ণাঙ্গ থানার রূপপ্রাপ্ত হয়। ১৯৬৯ সালের ১লা জানুয়ারী বরগুনা মহকুমা সৃষ্টির পর বামনা পিরোজপুর মহকুমা থেকে বরগুনা মহকুমায় অন্তর্ভূক্ত হয়। ১৯৮৩ সালে বামনা উন্নীত থানা থেকে উপজেলার মর্যাদা লাভ করে। ১৯৮৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী বরগুনা জেলার জন্ম হলে বামনা বরগুনা জেলার অন্তর্গত থেকে যায়। উত্তরে ঝালকাঠী জেলার কাঠালিয়া উপজেলা, পশ্চিমে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া উপজেলা, পূর্বে বরগুনা জেলার বেতাগী ও বরগুনা উপজেলা এবং দক্ষিণে পাথরঘাটা উপজেলা ঘিরে রেখেছে বামনা উপজেলাকে। পশ্চিমে হলতা নদী ও পূর্বে বিষখালী নদীর উপকূলে সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে বামনা। প্রকৃতির উজাড় করা সম্পদ-সম্ভ্রারে সমৃদ্ধ হবার অপরিমেয় সম্ভাবনা নিয়ে বামনার দীর্ঘ প্রতীক্ষা প্রত্যাখিত হচ্ছে উপর্যুপরি প্রাকৃতিক দুর্যোগে। ১৯৬১, ১৯৬৫, ১৯৭০, ১৯৯১ এর ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস এবং ২০০৭ এর সিডর ও ২০০৯-এর আইলার আঘাত বার বার দুমড়ে-মুচড়ে দিয়েছে বামনাকে।
বিষখালী নদীর করাল গ্রাসে মূল বামনা মৌজাটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেলে বামনার বর্তমান থানা সদর ১৯৬৪ সালে সফিপুর গ্রামে স্থানান্তরিত হয়। বামনার অতীত ইতিহাস আর ঐতিহ্য নিমজ্জিত হয়েছে বিষখালীতে । বিষখালীর ভাঙ্গনে বামনা থানা, হাসপাতাল, তহসীল অফিস, হাইস্কুলসহ বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী স্থাপনার পূর্বতন অবস্থান নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে । এখন যে সকল স্থাপনা দেখা যায় তা হল ১৯৬৪ সালের পর নির্মিত।
বামনার নামকরণ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। কারও মতে শফি মাহমুদ চৌধুরী কর্তৃক নির্মিত কালী মন্দিরের ব্রাহ্মণ পুরোহিত কীর্তি চরণ মুখপাধ্যায়কে স্থানীয় লোকজন ব্রাহ্মণ শব্দের অপভ্রংশ বামনা হিসেবে ডাকত। তার ডাক নামানুসারেই বামনা নামের উৎপত্তি হয়। কারও মতে তৎকালীন সুন্দর বন এলাকার আওতাভুক্ত বিষখালী নদী দিয়ে বাওয়ালীরা নৌকায় যাতায়াত করত । এক সময় বামন নামক কোন এক বাওয়ালী নৌকা থেকে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হলে তার নামানুসারে বামনা নাম করণ হয়। কারও মতে একদল মৌলবাদী পর্যটক ধর্ম প্রচারের জন্য এখানে আসেন এবং ধর্ম প্রচার শুরু করেন। কিন্তু বেশীর ভাগ লোকই বামপন্থী মনা হওয়ায় তাদেরকে ধর্মের দিকে আকৃষ্ট করতে পর্যটক দল ব্যর্থ হয়ে এলাকার মানুষকে বাম মনা উপাধি দেয়। এই বাম+মনা থেকেই বামনা শব্দের উদ্ভব হয়। আরও প্রসিদ্ধ প্রচলন রয়েছে যে, চীন দেশ থেকে চেং ইয়াং নামে এক নাবিক পাঁচটি সম্প্রদায়ের লোক এবং কিছু যন্ত্রপাতি ও পশু -পাখি নিয়ে জাহাজ চালিয়ে এখানে এসে বর্তমান চেঁচানে নামেন । চেঁচান নামটি প্রধান নাবিক চেং ইয়াং-এর নামানুসারে হয়েছে। এই পাঁচটি সম্প্রদায়ের মধ্যে এক দল ছিলেন ব্যবসায়ী যারা বাণিজ্যের লক্ষ্যে এসেছিলেন, এক দল ছিলেন কৃষিজীবী যারা কৃষি কাজ করতেন, এক দল ছিলেন নাবিক যারা জাহাজ বা নৌকায় পারাপার ও পরিবহনের কাজ করতেন, এক দল ছিলেন রাখাল যারা পশু পালন ও চারন করতেন এবং এক দল ছিলেন ব্যায়ামবিদ যারা নিরাপত্তা ও যুদ্ধ-বিগ্রহের দায়িত্ব পালন করতেন। ইংরেজীতে এ পাঁচ সম্প্রদায়ের নাম হল ব্যবসায়ী = Businessman যা থেকে B, কৃষিজীবী= Agriculturist যা থেকে A, নাবিক = Mariner যা থেকেM, রাখাল= Nomad যা থেকে N এবং ব্যায়ামবিদ= Acrobat যা থেকে A । এই সম্প্রদায়গুলোর নামের পাঁচটি আদ্যাক্ষর দিয়ে B+A+M+N+A= BAMNA যা বাংলায় বামনা নামকরণ করা হয়।
ঐতিহ্যগতভাবে বামনার যথেষ্ট সুনাম ও সুখ্যাতি রয়েছে। বাকেরগঞ্জের ভূগোলে লেখা হয়েছে, ‘‘বামনা ভদ্র লোকের বাসস্থান’’। বামনায় অনেক বর্ধিষ্ণু পরিবারের বাস ছিল । যতদূর জানা যায় সফি মাহমুদ চৌধুরী ছিলেন প্রথম জমিদার। আর একজন জমিদার ছিলেন রাশ মোহন সাহা। সফি মাহমুদ চৌধুরীর দুই ছেলে হোসেন উদ্দিন চৌধুরী ও নায়েব উদ্দিন চৌধুরী। সফি মাহমুদ চৌধুরীর ভাইয়ের নাম ছিল সিদাম মিয়া চৌধুরী । সফি মাহমুদ চৌধুরীর বংশের সর্বশেষ পুরুষ ছিলেন ফখর উদ্দিন চৌধুরী; যিনি নাবালক সাহেব নামে পরিচিত ছিলেন। চৌধুরী বংশের জমিদারদের মধ্যে হোসেন উদ্দিন চৌধুরী ও সিদাম মিয়া চৌধুরী অত্যমত্ম জুলুমবাজ ও অত্যাচারী ছিলেন। সফি মাহমুদ চৌধুরী, নায়েব উদ্দিন চৌধুরী ও ফখর উদ্দিন চৌধুরীর প্রজা বাৎসল্য প্রসংশনীয়। ফখর উদ্দিন চৌধুরী অত্যমত্ম দানশীল ছিলেন এবং তিনি সাধারণ মানুষের সাথে সহজভাবেই মেলামেশা করতেন। বর্তমান সাহেব বাড়ী বাজার নামে পরিচিত এলাকাটি চৌধুরী পরিবারের বসতবাড়ী ছিল। চৌধুরী পরিবারের এক সমত্মান গোলাম ওয়াহেদ চৌধুরী পাকিসত্মান কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।
চৌধুরী পরিবারের কাছ থেকে জমিদারী পেয়ে বামনার জমিদার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সৈয়দ পরিবার। এ পরিবারের প্রথম পুরুষ সৈয়দ সারওয়ারজান। তাঁর ভাই ছিলেন সৈয়দ সাবদারজান । সৈয়দ সারওয়ারজানের পর তাঁর একমাত্র পুত্র সৈয়দ আবী মুহাম্মদ আহসান জমিদার ছিলেন। সৈয়দ আবী মুহাম্মদ আহসান তাঁর স্ত্রীর নামানুসারে ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে হাসিনা মঞ্জিল নির্মাণ করেন। সৈয়দ আবী মুহাম্মদ আহসানের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র সৈয়দ নাজমূল আহসান বামনার জমিদারীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর আমলেই জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হয়। বামনার সৈয়দ পরিবার থেকে সৈয়দ কামরুল আহসান পাকিসত্মান জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং সৈয়দ আবু নাসর জিয়াউল আহসান পূর্ব পাকিসত্মান পরিষদের ডেপুটি স্পীকার নির্বাচিত হয়েছিলেন। একই পরিবারের সৈয়দ রাহমাতুর রব ইরতিজা আহসান বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই পরিবারের সমত্মান সৈয়দ শামীম আহসান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সচিব ছিলেন।
বামনার আর একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবার হচ্ছে খন্দকার পরিবার । এই পরিবারের বংশধর আমত্মর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং তাঁর ভাই বিশিষ্ট সাংবাদিক ও দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার খন্দকার শাহাদত হোসেন ।
বামনা বাংলাদেশের একটি ছোট্ট উপজেলা হলেও এখানে অনেক প্রতিভাবান ব্যক্তিত্বের জন্ম হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সাবেক সদস্য মরহুম সৈয়দ ফখরুল আহসান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিষয়ের অধ্যাপক মরহুম সৈয়দ মাইনুল আহসান, বাংলাদেশ নিজাম-ই-ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় প্রধান মরহুম সৈয়দ মাঞ্জুরুল আহসান, এককালীন সংগ্রামী ছাত্রনেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আসমত আলী সিকদার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মরহুম হাসান আলী মোল্লা, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য মরহুম ব্রিগেডিয়ার (অবঃ) খন্দকার মাহবুবুর রহমান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অর্থপেডিক বিভাগের অধ্যাপক মরহুম ডাঃ মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ ফিসারীজ ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব আবদুল কাদির মোল্লা, ঢাকা মেডিকেল কলেজের কিডনী বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ হাবিবুর রহমান সিকদার, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের নিউরোলজী মেডিসিনের অধ্যাপক ডাঃ আবদুল হাই, বাংলাদেশ বিমানের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার জনাব আনোয়ার হোসেন খান মজনু, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়র মুহাম্মদ আবদুস শহীদ প্রমুখ বিশেষভাবে উল্লেখ্য ও স্মরণীয়।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বামনার বুকাবুনিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত ছিল ৯নং পটুয়াখালী সেক্টরের একটি সাব-সেক্টরের সদর দপ্তর । বুকাবুনিয়া এবং বামনা থেকেই মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। ১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় লাভ করলেও বামনা উপজেলা শত্রুমুক্ত হয় ১৯৭১ সালের ২৪শে নভেম্বর।
সর্বশেষ হিসেবে বামনার জনসংখ্যা ৮২,১০৫ জন; এর মধ্যে পুরুষ ৪০৯২১ জন এবং মহিলা ৪১,১৮৪জন। শিক্ষা ক্ষেত্রে বামনা সমেত্মাষজনক অবস্থানে রয়েছে। বামনা উপজেলায় শিক্ষিতের হার ৭২%; যার মধ্যে পুরুষ শিক্ষার হার ৭৪.১১% এবং নারী শিক্ষার হার ৬৯.৮৯ %। এখানে ১টি মহিলা ডিগ্রী কলেজ, সহ শিক্ষা পরিচালিত ১টি ডিগ্রী কলেজ এবং ১টি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ , ৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (সহ শিক্ষা), ১টি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় , ২টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (সহ শিক্ষা), ৩৭টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৪টি বেসরকারী রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪টি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৪টি কিন্ডার গার্টেন (কেজি স্কুল) রয়েছে। ধর্মীয় শিক্ষার ক্ষেত্রে ১টি ফাযিল, ৫টি আলীম, ৭টি দাখিল (সহ শিক্ষা), ২টি দাখিল (বালিকা) এবং ৮টি ইবতেদায়ী মাদরাসা রয়েছে। বামনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সত্মরে কোন সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাই।
বামনায় প্রধান দু’টি দরবার শরীফ রয়েছে- চলাভাঙ্গা ও চালিতাবুনিয়া। চলাভাঙ্গা দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা ওয়ালি-ই-কামিল হযরত মাওলানা সৈয়দ আবদুর রশীদ চিশ্তী (রাঃ), মরহুম পীর সাহেব চলাভাঙ্গা। বর্তমানে উক্ত দরবারে আসীন আছেন পীর সাহেব হযরত মাওলানা সৈয়দ সায়াদ হোসাইন।
চালিতাবুনিয়া দরবারশরীফটি প্রধানত চিশতিয়া তরীকার। উক্ত দরবারের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মহিউদ্দিন হাসান চিশতী। বর্তমানে উক্ত দরবারে গদিনশীন রয়েছেন জনাব আলানূর আলাউদ্দিন দয়াল।
বামনার ইতিহাসের কলেবর এতই বেশী যে দুই/এক পাতায় লিপিবদ্ধ করা সম্ভব নয়। বামনার আছে সুন্দর ইতিহাস, নিন্দিত ঐতিহ্য, সুললিত গৌরব গাঁথা, নিজস্ব সংস্কৃতি, মনমাতান আতিথিয়তা আর অসাম্প্রদায়িক চেতনা। এ সকল কিছুই বাংলাদেশের ছোট্ট উপজেলা বামনাকে ইতিহাসের পাতায় রাখবে চির অম্লান ও চিরমত্মন।
বরগুনা জেলা নারিকেল ও সুপারির জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও বরগুনার বিখ্যাত খাবার -চুইয়া পিঠা, চ্যাবা পিঠা, মুইট্টা পিঠা, আল্লান, বিসকি, তালের মোরব্বা, শিরনি, নাড়িকেলের সুরুয়া, চালের রুটি, ইলিশ মাছ, মিষ্টি।
প্রেক্ষাপট মুক্তিযুদ্ধে বরগুনা ছিল নবম সেক্টরের বুকাবুনিয়া উপ-সেক্টরের অধীন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পরে বরগুনার মুক্তিকামী সহস্রাধিক তরুণ বাঁশের লাঠি, গুটি কয়েক রাইফেল, বন্দুক নিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করে। এরই মধ্যে পাকবাহিনী দুর্বল প্রতিরোধকে উপেক্ষা করে পার্শ্ববর্তী পটুয়াখালী জেলা দখল করে ফেলে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুসারে ০৬/০৫/২০১০ তারিখে আমতলী উপজেলা ভেঙ্গে তালতলীকে উপজেলা হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
বরগুনা-৩ বাংলাদেশের একটি বিলুপ্ত সংসদীয় আসন। বাংলাদেশের বরগুনা জেলার আমতলী ও তালতলী উপজেলা নিয়ে এ সংসদীয় আসন গঠিত হয়েছিল। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচনী গেজেটে এই আসনটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। এই আসনের সর্বশেষ সাংসদ ছিলেন শেখ হাসিনা।
বরগুনা দক্ষিণাঞ্চলের জেলা। এর দক্ষিণে পটুয়াখালী ও বঙ্গোপসাগর, উত্তরে ঝালকাঠি, বরিশাল, পিরোজপুর ও পটুয়াখালী; পূর্বে পটুয়াখালী এবং পশ্চিমে পিরোজপুর ও বাগেরহাট।
জেলা সদরে বরগুনা শহর। একটি পৌরসভা। ৯ ওয়ার্ড ও ১৮ মহল্লা।