জনশ্রুতি এবং প্রাচীন লোকদের নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত পত্র-পত্রিকা হতে জানা যায় প্রাচীনকালে কুদরত মাল নামক জনৈক পালোয়ান বাহুবল এলাকায় বাস করতেন। মৌলভীবাজার জেলার দক্ষিণ বাগ থেকে পলোয়ান এসে ছিলেন কুদরত মালের সংগে মল্ল যুদ্ধ করতে। দুই পালোয়ানের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ মলল যুদ্ধের পর কুদরত মাল বিজয়ী হয়ে বীর দর্পে বলেছিলেন ‘‘বাহুকা বল দেখ বেটা’’ এ ঘটনাটি একটি প্রবাদ প্রবচনে প্রকাশ করা হয়েছে। ‘‘দক্ষিণ বাগ থেকে আইলো মাল মিরমিরাইয়া চায়, কুদরত মালের ঘুষি খাইয়া গড়াগড়ি বায়’’। কিংবদন্তীর মল্ল যুদ্ধে ‘‘দেখ বাহুকাবল’’ থেকে বাহুবল নাম হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।
আবার শত বর্ষের প্রাচীন লোকদের মুখ থেকে শুনা যায় এক কালে অত্র এলাকার লোকজন ছিল খুবই শক্তিশালী ও বীরযোদ্ধা। তখনকার কেউ কোনরূপ ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করত না বা ধারালো অস্ত্রের ব্যবহার ছিল না। মারামারিতে ৩/৪ হাত লম্বা বড় একটি বাঁশের টুকরাই লাঠি হিসাবে ব্যবহার করা হতো। সে বাঁশের লাঠি যার হাত থেকে পরে যেত বা ভেঙে যেত সে হত পরাজিত। তার উপর আর কেউ আঘাত করত না। এছাড়া পাহাড়ের হিংস্র বাঘের সঙ্গে অনেক সময় মানুষের হাতাহাতি যুদ্ধ হত। বাঘের হাত থেকে হরিণ ছিনিয়ে আনতেও লোকজন মোটেও ভয় পেত না। তাই এলাকার নির্ভীক মানুষের সাহসিকতা ও বীরত্বের পরিচয় হিসাবে ‘‘বাহুবল’’ নামের উদ্ভব হয়েছে বলেও ধারণা করা হয়।
মৌলভীবাজার এর অর্থনীতির প্রধান ভীত হলো চা শিল্প ও রাবার শিল্প । এ জেলায় প্রচুর পরিমানে চা ও রাবার উৎপাদিত হয় । এ ছাড়াও এ জেলার অর্থনীতিতে এই জেলার পর্যটন শিল্পও বিশেষ ভাবে উল্ল্যেখযোগ্য, তা ছাড়াও এখানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় শিল্প যা মৌলভীবাজার জেলার অর্থনীতিকে করছে সমৃদ্ধশালী ।
হবিগঞ্জ জেলার আর দশটি সাধারণ মানুষ ভাত মাছ খেলে এখানকার একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী মূলত প্রধান খাবার হিসেবে "ছিকর" নামের একটি খাবার গ্রহণ করে থাকে। অবাক করার বিষয় হল এটি এটেল মাটি দ্বারা নির্মিত একটি খাবার। প্রথমে স্বচ্ছ মিহি এটেল মাটি রোদে শুকোতে হয়।
বাহুবল উপজেলা প্রাকৃতিক বৈচিত্রে ভরপুর উপজেলা। এই উপজেলায় একই সাথে পাহাড়ী টিলা সমতল ভহমি এবং হাওড় অঞ্চল নিয়ে গঠিত। এই উপজেলায় ৭টি চা-বাগান উপজেলাকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয় করে তোলেছে। তা ছাড়া এইখানে নির্মাণাধীন ৫ তারকা বিশিষ্ট দি প্যালেস আকর্ষনের বিষয় বসত্মত্মুতে পরিণত হয়েছে।
নবীগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম গ্যাস ফিল্ড বিবিয়ানা । এটি কে পি আই শ্রেণীর স্থাপনা যা ৪ নং দীঘলবাক ইউনিয়ন ও ৩ নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নে অবস্থিত। ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জের সৈয়দপুর বাজার হতে মাত্র ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে পাকা সড়কে ধরে গেলেই বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড দেখতে পাওয়া যায় ।
১৯৪৭ সালের ১৩ই আগস্ট পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পূর্বদিন পর্যন্ত সিলেট আসামের একটি জেলা হিসেবে গণ্য ছিল। অর্থাৎ এই সময়ে নবীগঞ্জ আসাম প্রদেশের একটি জেলা হিসেবে সিলেটের অন্তর্ভুক্ত ছিল।