The Ballpen
বেড়া উপজেলায় খেলাধূলা ও বিনোদন - theballpen

বেড়া উপজেলায় খেলাধূলা ও বিনোদন

6th Dec 2022 | পাবনা জেলা |

বেড়া উপজেলার বিশেষ উল্লেখযোগ্য খেলার মধ্যে ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, কাবাডি, হ্যান্ডবল, দাবা, সাঁতার ও এ্যাথলেটিক্স অন্যতম। খেলাধুলার জন্য পাবনা সদরে ১টি, বেড়া ও ঈশ্বরদী উপজেলায় একটি করে মোট ৩টি, এ ছাড়া পাবনা সদরে আর, এম, একাডেমীতে ১ টি, জি.সি. আই- এ ১টি, পাবনা জেলা স্কুলে ১টি, দোগাছি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি,  পাবনা মুনছুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, বেড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, বেড়া বি.বি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, নাকালিয়া বেড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, বোনয়ারী নগর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, ফরিদপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, সাঁথিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, ধুলাউড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, কাশিনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, বনগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, আতাইকুলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, দুলাই উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ টি সনহ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, ভাঙ্গুরা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, পাটুলি পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, উদয়ন একাডেমীতে ১টি, অষ্ট মুনিষা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, সুজানগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি নাজির গঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, চিনাখড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, সাড়া মারোয়ারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, এয়ারপোর্ট একাডেমীতে ১টি, বাঁশের বাধা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, বাংলাদেশ রেল ওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, রূপপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, বাঘাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, আটঘড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, দেবোত্তর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, রামচন্দ্র পুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, মূল গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি। হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, দূর্গাদাস উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, বোয়ালমারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ টি, বিলচলন উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, ছাইকোলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, হান্ডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি সর্বমোট ৪৪ টি মাঠ রয়েছে।





Related

পাবনা জেলার ভৌগোলিক সীমানা

বাংলাদেশে অবস্থিত পাবনা জেলা রাজশাহী বিভাগের দক্ষিণ-পূর্ব কোণ সৃষ্টি করেছে। এটি ২৩°৪৮′ হতে ২৪°৪৭′ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°০২′ হতে ৮৯°৫০′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এর উত্তর দিক ঘিরে আছে সিরাজগঞ্জ জেলা আর দক্ষিণে পদ্মা নদী একে রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়া জেলা হতে পৃথক করেছে। এর পূর্ব প্রান্তদিয়ে যমুনা নদী বয়ে গেছে এবং পশ্চিমে নাটোর জেলা। পাবনার আমিনপুর থানার দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে এসে পদ্মা ও যমুনা নদী পরস্পর মিলিত হয়েছে।



Related

পাবনা জেলার নামকরণের ইতিহাস

নামকরণের ইতিহাস নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ আছে। প্রত্নতাত্ত্বিক কানিংহাম অনুমান করেন যে, প্রাচীন রাজ্য পুন্ড্র বা পুন্ড্রবর্ধনের নাম থেকে পাবনা নামের উদ্ভব হয়েছে। পৌন্ড্রবর্ধনের জনপদ গঙ্গার উত্তর দিকে অবস্থিত ছিল। চলতি ভাষায় পুন্ড্রুবর্ধন বা পৌন্ড্রবর্ধন, পোনবর্ধন বা পোবাবর্ধনরূপে উচ্চারিত হতে হতে ‘পাবনা’ হয়েছে।

কিছু ইতিহাসবিদের মতে, ‘পাবনা’ নামটি ‘পদুম্বা’ থেকে এসেছে। কালক্রমে পদুম্বা শব্দটির স্বরসঙ্গতি হয়ে ‘পাবনা’ হয়েছে। ‘পদুম্বা’ জনপদের প্রথম ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায় খ্রিস্টীয় একাদশ শতকে পাল নৃপতি রামপালের শাসনকাল থেকে। ইতিহাসে উল্লিখিত, রামপাল তার হৃতসাম্রাজ্য বরেন্দ্র কৈবর্ত শাসকদের থেকে পুনরুদ্ধারের করার জন্য ১৪ জন সাহায্যকারীর শরণাপন্ন হয়েছিলেন। তাদেরই একজন ছিলেন জনৈক সামন্তরাজা পদুম্বার সোম। অন্য একটি সূত্রে জানা যায়, পৌন্ড্রবর্ধন থেকে ‘পাবনা’ নামের উৎপত্তি হয়েছে।

এছাড়া পাবনা নামকরণ নিয়ে কারও মতে, ‘পাবন’ বা ‘পাবনা’ নামে একজন দস্যুর আড্ডাস্থল থেকেই একসময় ‘পাবনা’ নামের উদ্ভব হয়। এছাড়াও গঙ্গার পাবনী নামের একটি নদীর মিলিত স্রোতধারার নামানুসারে ‘পাবনা’ নামের উৎপত্তি হয়েছে বলেও অনেকে মনে করেন।



Related

পাবনা জেলা গঠনের ইতিহাস

১৮২৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ অক্টোবর স্বতন্ত্র জেলা হিসেবে পাবনা স্বীকৃতি লাভ করে। ১৭৯০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে জেলার বেশির ভাগ অংশ রাজশাহী জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। তখনকার দিনে এসব এলাকায় সরকারের দায়িত্বপূর্ণ কর্মচারীদের খুব অভাব ছিল। পুলিশের অযোগ্যতা এবং জমিদারদের পক্ষ থেকে ডাকাতি ঘটনার তথ্য গোপন রাখা বা এড়িয়ে যাওয়া হতো। গ্রামাঞ্চলে ডাকাতেরা দলে দলে ঘুরে বেড়াত। চলনবিল এলাকায় জলদস্যুদের উপদ্রব চলছিল দীর্ঘ দিন ধরে। এদের প্রতিরোধ করতে ও শাসনতান্ত্রিক সুবন্দোবস্তের জন্যে কোম্পানি সরকারের মন্তব্য অনুসারে পাবনায় সামগ্রিক ভাবে ১৮২৮ খ্রিষ্টাব্দে জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। ১৮৩২ খ্রিষ্টাব্দে তা স্থায়ী রূপ লাভ করে এবং তাকে স্বতন্ত্র ডিপুটি কালেক্টর রুপে নিয়োগ করা হয়।

রাজশাহী জেলার ৫টি থানা ও যশোর জেলার ৩টি থানা নিয়ে সর্ব প্রথম পাবনা জেলা গঠিত হয়। সময় সময় এর এলাকা ও সীমানার পরিবর্তন ঘটেছে। ১৮২৮ খ্রিষ্টাব্দের ২১ নভেম্বর যশোরের খোকসা থানা পাবনা ভুক্ত করা হয়। অন্যান্য থানা গুলোর মধ্যে ছিল রাজশাহীর খেতুপাড়া, মথুরা, শাহজাদপুর, রায়গঞ্জ ও পাবনা। ‘যশোরের চারটি থানা ধরমপুর, মধুপুর, কুস্টিয়া ও পাংশা’। তখন পশ্চিম বাংলার মালদহ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ ডব্লিউ মিলস জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিযুক্ত হন পাবনায়। ১৮৩৭ খ্রিষ্টাব্দে সেশন জজের পদ সৃষ্টি হলে এ জেলা রাজশাহীর দায়রা জজের অধীনে যায়। ১৮৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ অক্টোবর জেলার পূর্ব সীমা নির্দিস্ট করা হয় যমুনা নদী। ১২ জানুয়ারি ১৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে সিরাজগঞ্জ থানাকে মোমেনশাহী জেলা থেকে কেটে নিয়ে ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দে মহকুমায় উন্নীত করে পাবনা ভুক্ত করা হয়। নিযুক্ত করা হয় ডিপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। এর ২০ বছর পর রায়গঞ্জ থানা এ জেলায় সামিল হয়।

নীল বিদ্রোহ চলাকালে শান্তি শৃংখলার অবনতি হলে লর্ড ক্যানিং ১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে জেলায় একজন কালেক্টর নিযুক্ত করেন। এর আগে ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে জেলা প্রশাসক হয়ে আসেন টি.ই. রেভেন্স। ১৮৬৯ খ্রিষ্টাব্দে সিরাজগঞ্জ ও ১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দে পাবনায় মিউনিসিপ্যালিটি গঠিত হয়। ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রবর্তিত হয় জেলা বোর্ড। যখন কোম্পানি শাসনের অবসান ঘটে তখন স্বভাবতই এ জেলা ১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সম্রাজ্ঞী মহারাণী ডিক্টোরিয়ার শাসনাধীনে চলে যায়। ১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে পাংশা, খোকসা ও বালিয়াকান্দি এই তিনটি থানা নিয়ে পাবনার অধীনে কুমারখালী মহকুমা গঠন করা হয়। ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দে কুষ্টিয়া থানা এ জেলা হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে নদীয়া জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৮৭১ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে পাংশা থানা ফরিদপুর জেলার গোয়ালন্দ মহকুমায় এবং কুমারখালী থানা কুষ্টিয়া মহকুমার সাথে সংযুক্ত করা হয়। এ ভাবে এ জেলার দক্ষিণ সীমানা হয় পদ্মা নদী। ১৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে কুমারখালী থানা সৃষ্টি হলে তা ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে পাবনার একটি মহকুমা হয়। ১৮৭১ খ্রিষ্টাব্দে মহকুমা অবলুপ্ত করে কুষ্টিয়া মহকুমার অংশ করা হয়। ১৮৭৯ তে জজ আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আগে কয়েকটি থানা বদলে যায়।



Related

পাবনা জেলার জনসংখ্যা কত?

 পাবনা জেলার মোট জনসংখ্যা ২৬,২৪,৬৮৪ জন । 

  • পুরুষ ১৩,১৩,৭৭১,
  • মহিলা ১৩,১০,৯১৩,
  • মুসলিম ৯৫.১২%,
  • হিন্দু ৪.৫০%,
  • খ্রীষ্টান ০.২২%,
  • অন্যান্য ০.১৬%


Related

পাবনা জেলার নির্বাচনী এলাকা গুলো কী কী?

পাবনা জেলার নির্বাচনী এলাকা  গুলো : 

  • (৬৮) পাবনা-১ (সাঁথিয়া উপজেলা-বেড়া উপজেলা আংশিক)
  • (৬৯) পাবনা-২ (আমিনপুর থানা-সুজানগর উপজেলা)
  • (৭০) পাবনা-৩ (চাটমোহর উপজেলা-ফরিদপুর উপজেলা-ভাঙ্গুড়া উপজেলা)
  • (৭১) পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী উপজেলা-আটঘরিয়া উপজেলা)
  • (৭২) পাবনা-৫ (পাবনা সদর উপজেলা)