এই জনপদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এ অঞ্চলে অসংখ্য অলি বুজুর্গগণের পবিত্র রওজা শরীফ অবস্থিত এবং জগদ্বিখ্যাত ছুফীগণের পদচারণায় ধন্য এ অঞ্চল। বিখ্যাত দরবেশ ও ইসলাম প্রচারক বু-আলী কালান্দর শাহ'র নামে এই থানার নাম হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। বোয়ালখালী উপজেলা ও চট্টগ্রাম শহরের সংযোগ সেতু কালুরঘাট ব্রিজের নাম স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বোয়ালখালী উপজেলার একেবারে পূর্ব সীমান্তে কানুনগোপাড়া গ্রামের এক মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে এলাকার বিখ্যাত দত্ত পরিবার কর্তৃক ১৯৩৯ সালে প্রায় ১৯.৩৪ একরের এক বিরাট বিস্তীর্ণ ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ, সেটি ১৯৮৬ সালে সরকারিকরণ করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলার মোট আয়তন ৫,২৮২.৯২ বর্গ কিলোমিটার (১,৩০৫,৪৩৮ একর)। আয়তনের দিক থেকে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা।
চট্টগ্রাম জেলার মোট জনসংখ্যা ৯১,৬৩,৭৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৫,৬৬,০৩৯ জন এবং মহিলা ৪৫,৯৭,০৭৬ জন এবং বাকি ৬৪৫ জন হিজড়া । জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১৭০০ জন।(২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী)
চট্টগ্রামের ধর্মবিশ্বাস-২০২২
ইসলাম (৮৭.৪৭%)
হিন্দু ধর্ম (১০.৭০%)
বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্ম (১.৮৩%)
ধর্মবিশ্বাস অনুসারে এ জেলার মোট জনসংখ্যার ৮৭.৪৭% মুসলিম, ১০.৭০% হিন্দু এবং ১.৮৩% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে ২১°৫৪´ থেকে ২২°৫৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°১৭´ থেকে ৯২°১৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে চট্টগ্রাম জেলার অবস্থান। রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ২৫৯ কিলোমিটার। এ জেলার দক্ষিণে কক্সবাজার জেলা; পূর্বে বান্দরবান জেলা, রাঙ্গামাটি জেলা ও খাগড়াছড়ি জেলা; উত্তরে ফেনী জেলা এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য এবং পশ্চিমে নোয়াখালী জেলা ও বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। এছাড়া দ্বীপাঞ্চল সন্দ্বীপ চট্টগ্রামের অংশ।
১৬৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলা গঠিত হয়। তিন পার্বত্য জেলা এ জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৬০ সালে পার্বত্য এলাকা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা গঠন করা হয়। পরবর্তীতে এ জেলা ভেঙ্গে কক্সবাজার জেলা গঠিত হয়।
১৬৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলা গঠিত হয়। তিন পার্বত্য জেলা এ জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৬০ সালে পার্বত্য এলাকা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা গঠন করা হয়।