ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ঐতিহাসিক ও দর্শণীয় স্থানগুলো কী কী?

পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্ত সংলগ্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৮৬০ ইং সালে মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে ত্রিপুরা জেলার অর্ন্তভূক্ত ছিল। ভারত বিভাগের পর কুমিল্লা জেলার একটি মহকুমা হিসেবে থাকে। ১৯৮৪ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উপজেলা ০৯ টি 

• ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা
• কসবা উপজেলা
•  নাসিরনগর উপজেলা
•  সরাইল উপজেলা
• আশুগঞ্জ উপজেলা 
• আখাউড়া উপজেলা
• নবীনগর উপজেলা
• বাঞ্ছারামপুর উপজেলা
• বিজয়নগর উপজেলা

১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে ব্রিটিশ সৈন্যরা ফেনী কলেজে অবস্থান নেয়। তখন কয়েক বছরের জন্য অস্থায়ীভাবে ফেনী কলেজকে ফেনী থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্থানান্তর করা হয়। যুদ্ধ শেষে উক্ত কলেজটি আবার ফেনীতে ফিরে যায়। পরবর্তীতে সেখানে ওই অবকাঠামোর ওপরই ১৯৪৮ সালে এলাকার গুণীব্যক্তিদের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ বেসরকারিভাবে স্থাপিত হয় এবং ১৯৭৯ সালে কলেজটি জাতীয়করণ হয় । প্রাথমিক পর্যায়ে কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পাস কোর্স চালু হয় । ১৯৯৩-৯৪ শিক্ষাবর্ষ হতে গণিত ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স কোর্স শুরু হয় । ধীরে ধীরে কলেজটিতে আরো ১২ টির অধিক বিষয়ে অনার্স , মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয় ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নদ-নদী গুলো :

• তিতাস,
• মেঘনা,
• আউলিয়াজুরী,
• কালাছড়ি,
• খাস্তি,
• ছিনাইহানি,
• ডোলভাঙ্গা
• , পাগলা,
• পুটিয়া
• , বলভদ্র
• , বলাক
• , বালিয়াজুড়ি,
• বালুয়া, বিজনা,
• বুড়ি,
• বেমালিয়া,
• মধ্যগঙ্গা,
• রোপা,
• লংঘুন,
• লাহুর,
• সোনাই,
• হাওড়া,
• হুরুল প্রভৃতি ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ঐতিহ্য :সরাইলের হাসলি মোরগ লড়াই, নৌকা বাইচ, ভাদুঘরের বান্নী(মেলা)

খড়মপুর কেল্লাশাহ (র) মাজার শরীফ এর বার্ষিক ওরশ, নবীনগরের বৈশাখী মেলা ইত্যাদি।