এই অঞ্চলের মানুষ মূলত কৃষিজীবী। এছাড়া রয়েছেন ব্যবসায়ী ও সীমিত পর্যায়ে চাকরিজীবী। তবে স্থানীয়রা অধিকাংশই স্বাধীন পেশাজীবি। এই উপজেলার প্রধান রপ্তানীদ্রবের মধ্যে রয়েছে চা, আগর-আতর, আগরবাতি ইত্যাদি। এছাড়া হাওরাঞ্চলের লোকজন মৌসুমে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও মাছ বিক্রী করে থাকেন। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স হচ্ছে এতদ অঞ্চলের অর্থনীতির ভিত। তাছাড়া পূর্বাঞ্চলের মানুষের প্রধান অর্থনীতির উৎস হচ্ছে পাহাড় থেকে পাথর সংরক্ষণও বিক্রয়, পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ বিশেষ করে মাছ ধরে, নদী থেকে বালু সংগ্রহ ও বিক্রয় করে, মধ্য নিম্নাঞ্চলের মানুষও বাজার সংলগ্ন জনগোষ্ঠি কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন ও বিক্রয় করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে।
জৈন্তাপুর উপজেলায় ইউনিয়ন ৬টি ,
ইউনিয়নসমূহ:
পাহাড়-টিলায় বেস্টিত জৈন্তাপুর উপজেলা সারী নদী এবং বরগাং উল্লেখযোগ্য দুটি নদী। এছাড়াও জৈন্তাপুর উপজেলাধীন হরিপুর এ কাপনা নদী অবস্থিত। সারী নদীর অপার সৈন্দর্য্য দেখতে প্রতিদিন হাজারও দর্শক সারীঘাট নামক এলাকায় ভীড় জমান।
চা শিল্পের জন্য শ্রীমঙ্গলের সুনাম ও পরিচিতি বিশ্বব্যাপী। ৪২৫ দশমিক ১৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ জনপদের সাথে রেল ও সড়কপথে যোগাযোগ রয়েছে সারাদেশের। চা, রাবার, লেবু, পান, আনারস ও মূল্যবান কাঠের জন্য শ্রীমঙ্গলের খ্যাতি ব্যাপক। দেশি-বিদেশি পর্যটকের পদভারে সারাবছর মুখরিত থাকে।
কুলাউড়া, চা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। মৌলভীবাজার জেলায় চা বাগানের সংখ্যা অনুপাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পরে কুলাউড়ার অবস্থান। কুলাউড়ায় রাবার, কমলা, আনারস, আম, কাঁঠাল এবং বাঁশ উৎপাদিত হয়।
কুলাউড়ায় পাক বাহিনীর প্রবেশ ও নির্মম গণহত্যা: সারা বাংলায় পাকিস্তানি সামরিক জান্তারা অত্যাচার নিপীড়ন শুরু করলেও কুলাউড়া থানায় তারা প্রথম আসে ৭ মে ১৯৭১ সালে। পাকিস্তানি সৈন্যেরা মৌলভীবাজার থেকে কুলাউড়া প্রবেশ পথে কাপুয়া ব্রিজের কাছাকাছি আসলে তাদের গতিরোধ করতে অকুতোভয় বীর সৈনিক জয়চন্ডী