বড়লেখা উপজেলা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর বৈচিত্র্যময় এক ভূখণ্ড। নয়নাভিরাম সবুজের সমারোহ শাহবাজপুর, বোবারতল, সমনভাগ, সুজানগর, মাধবকুণ্ড, দক্ষিণ শাহবাজপুর, উত্তর শাহবাজপুর, দক্ষিণভাগ দক্ষিনসহ ১১ টি চা বাগানের চা সম্পদ ; হাকালুকি হাওড়ের জলমহাল থেকে উৎপাদিত মাছ ও ফসল;সুজানগরের আগর গাছ থেকে উৎপাদিত আগর আতর শিল্প প্রভৃতি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে।
১৯৫১ সালে কাঁঠালতলীর বিওসি তৈল কূপ ড্রিলিংএর সময় তেলের অত্যধিক চাপের ফলে সিমেন্ট প্লাগ দিয়ে এটি সীল করে দেয়া হয়। এছাড়া উপজেলার পাথারিয়া পাহাড় ও দুর্গম বোবারতল এলাকায় কয়লা সম্পদ মজুদ আছে। এ উপজেলার বনাঞ্চল ৯১৮৭.৫৫ হেক্টর এলাকা জুড়ে অবস্থিত।
জৈন্তাপুর উপজেলায় ইউনিয়ন ৬টি ,
ইউনিয়নসমূহ:
পাহাড়-টিলায় বেস্টিত জৈন্তাপুর উপজেলা সারী নদী এবং বরগাং উল্লেখযোগ্য দুটি নদী। এছাড়াও জৈন্তাপুর উপজেলাধীন হরিপুর এ কাপনা নদী অবস্থিত। সারী নদীর অপার সৈন্দর্য্য দেখতে প্রতিদিন হাজারও দর্শক সারীঘাট নামক এলাকায় ভীড় জমান।
চা শিল্পের জন্য শ্রীমঙ্গলের সুনাম ও পরিচিতি বিশ্বব্যাপী। ৪২৫ দশমিক ১৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ জনপদের সাথে রেল ও সড়কপথে যোগাযোগ রয়েছে সারাদেশের। চা, রাবার, লেবু, পান, আনারস ও মূল্যবান কাঠের জন্য শ্রীমঙ্গলের খ্যাতি ব্যাপক। দেশি-বিদেশি পর্যটকের পদভারে সারাবছর মুখরিত থাকে।
কুলাউড়া, চা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। মৌলভীবাজার জেলায় চা বাগানের সংখ্যা অনুপাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পরে কুলাউড়ার অবস্থান। কুলাউড়ায় রাবার, কমলা, আনারস, আম, কাঁঠাল এবং বাঁশ উৎপাদিত হয়।
কুলাউড়ায় পাক বাহিনীর প্রবেশ ও নির্মম গণহত্যা: সারা বাংলায় পাকিস্তানি সামরিক জান্তারা অত্যাচার নিপীড়ন শুরু করলেও কুলাউড়া থানায় তারা প্রথম আসে ৭ মে ১৯৭১ সালে। পাকিস্তানি সৈন্যেরা মৌলভীবাজার থেকে কুলাউড়া প্রবেশ পথে কাপুয়া ব্রিজের কাছাকাছি আসলে তাদের গতিরোধ করতে অকুতোভয় বীর সৈনিক জয়চন্ডী