বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ভাষাবাংলা এ অঞ্চলের ভাষা হলেও মূলত বড়লেখা উপজেলার ভাষা হলো সিলেটি ভাষা বা সিলেটি উপভাষা। তবে কেউ কেউ সিলেটি ভাষার মধ্যেও এই অঞ্চলের ভাষাকে বড়লেখী ভাষা বলে স্বতন্ত্র পরিচয় দিতে পছন্দ করেন। বাংলাদেশের সাধারণ ভাষার মতোও এই ভাষায় ধর্মীয় প্রভাব লক্ষ্যণীয়, যেমন: মুসলমানরা 'পানি' বললেও হিন্দুরা বলেন 'জল', মুসলমানরা 'নাস্তা' বললেও হিন্দুরা বলেন 'জলখাবার', মুসলমানরা 'গোসল' বললেও হিন্দুরা বলেন 'নিহান' ইত্যাদি। যদিও আধুনিক প্রজন্মে এর অনেকটাই বিলুপ্তির পথে।
নিচে বাংলা ভাষার সাথে সিলেটি ও অন্যান্য উপজাতীয় ভাষার পারস্পরিক তুলনা উদ্ধৃত হলো:
বাংলা ভাষা | সিলেটি ভাষা/বড়লেখী ভাষা | মণিপুরী ভাষা | খাসিয়া ভাষা | সাঁওতালদের ভাষা |
---|---|---|---|---|
আমার বাড়ি বড়লেখা থানায় | আমার বাড়ি বড়্লেখা থানাত্ | ঐগী ইুযুম বড়লেখা থানাদনি | কা দুনং জঙ্গা বড়লেখা | ইয়াঁ ওরা বড়লেখা থানারে |
আমি বাংলাদেশের নাগরিক | আমি বাংলাদেশোর নাগরিক | ঐহাক বাংলাদেশগী লৈপাকমী অমণি | ঙাসং আপ বাংলাদেশ | ইনদো বাংলাদিশ মরেন হড় |
বাংলা আমার জন্মভূমি | বাংলা অইলো গিয়া আমার যন্মভূমি | ঐহাক্কী পোকচফম বাংলাদেশনি | বাংলা ঙামি ঙাহাপ বাংলা | ইয়াঁ বাংলাদিশমরে জন্ম |
এদেশকে আমি খুব ভালোবাসি | ই দেশরে আমি খুব ভালা 'পাই | লৈপাক অসিবু ঐহাক্ন য়াম্ন ন্মুংশীজৈ | ঙা ইচ ইয়াকা বংলাদেশ | ইনদো নয়া দিশমকে খুবই বেশাকানা |
জৈন্তাপুর উপজেলায় ইউনিয়ন ৬টি ,
ইউনিয়নসমূহ:
পাহাড়-টিলায় বেস্টিত জৈন্তাপুর উপজেলা সারী নদী এবং বরগাং উল্লেখযোগ্য দুটি নদী। এছাড়াও জৈন্তাপুর উপজেলাধীন হরিপুর এ কাপনা নদী অবস্থিত। সারী নদীর অপার সৈন্দর্য্য দেখতে প্রতিদিন হাজারও দর্শক সারীঘাট নামক এলাকায় ভীড় জমান।
চা শিল্পের জন্য শ্রীমঙ্গলের সুনাম ও পরিচিতি বিশ্বব্যাপী। ৪২৫ দশমিক ১৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ জনপদের সাথে রেল ও সড়কপথে যোগাযোগ রয়েছে সারাদেশের। চা, রাবার, লেবু, পান, আনারস ও মূল্যবান কাঠের জন্য শ্রীমঙ্গলের খ্যাতি ব্যাপক। দেশি-বিদেশি পর্যটকের পদভারে সারাবছর মুখরিত থাকে।
কুলাউড়া, চা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। মৌলভীবাজার জেলায় চা বাগানের সংখ্যা অনুপাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পরে কুলাউড়ার অবস্থান। কুলাউড়ায় রাবার, কমলা, আনারস, আম, কাঁঠাল এবং বাঁশ উৎপাদিত হয়।
কুলাউড়ায় পাক বাহিনীর প্রবেশ ও নির্মম গণহত্যা: সারা বাংলায় পাকিস্তানি সামরিক জান্তারা অত্যাচার নিপীড়ন শুরু করলেও কুলাউড়া থানায় তারা প্রথম আসে ৭ মে ১৯৭১ সালে। পাকিস্তানি সৈন্যেরা মৌলভীবাজার থেকে কুলাউড়া প্রবেশ পথে কাপুয়া ব্রিজের কাছাকাছি আসলে তাদের গতিরোধ করতে অকুতোভয় বীর সৈনিক জয়চন্ডী