মৃৎশিল্প
হাওড় সংলগ্ন অঞ্চলের বন্যার পলিবিধৌত এঁটেল মাটি এতদ অঞ্চলের মৃৎশিল্পকে করেছে গতিশীল। তাছাড়া সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অধিকাংশ সময় নিজেদের আচার-অনুষ্ঠানে মাটির বাসন আঁকড়ে রাখেন বলে মৃৎশিল্প এ অঞ্চলে মূলত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়।
তাঁত শিল্প
মণিপুরী তাঁত এতদ অঞ্চলের তাঁত শিল্পের মূল যোগানদাতা।
আগর-আতর শিল্
উপজেলার প্রায় সর্বত্র আগর গাছ থেকে সুগন্ধী আতর উৎপাদনের প্লান্ট থাকলেও ব্রিটিশ আমল থেকেই মূলত এই শিল্পকে পৃষ্ঠপোষকতা ও লালন করে আসছে উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এ অঞ্চলের আগর-আতর শিল্প মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানী হয় এবং দেশ তা থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। সরকারি অর্থায়ন ও পৃষ্ঠপোষকতায় তাই এতদ অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন কর্মশালা এবং আগর বৃক্ষায়ন (আগর বাগান) কর্মসূচীও।
বাঁশ-বেত শিল্প
শীতল পাটি শিল্প সিলেট অঞ্চলের অন্যান্য স্থানের মতো এই উপজেলায়ও অন্যতম একটি কুটির শিল্প।[২] কেউ কেউ একে পেশা হিসেবেও নিয়ে থাকেন এবং উৎপাদিত পাটি বিভিন্ন হাট-বাজারে ও শহরে বিক্রীর জন্য প্রেরণ করে থাকেন। বিশেষ করে বড়লেখা তালিমপুর ইউনিয়নের গলগজা ও হরিণবদি গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক এ পেশার সাথে বেশি জড়িত। দাসের বাজার এক সময় পাটির জন্য বিখ্যাত ছিল। কালের স্বাক্ষী হয়ে এখনো বাজারে পাটি বিক্রি হয়। গোবিন্দপুর,শংকরপুর,লঘাটি,পানিসাওয়া,গুলুয়া,মহারাণি,টুকা,উজিরপুর,মিহারী,কান্দিগ্রাম ছাড়াও সানেশ্বর,উলুউরী,নছিরপুরের লোকেরা পাটি ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল।
উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলের ঢালু জমিতে চা বাগান রয়েছে, যা বাংলাদেশের চা শিল্পে অবদান রাখছে। উপজেলায় চা বাগান রয়েছে ১৮টি (২০০৮), যার সম্মিলিত আয়তন ৬৪.৩৯ বর্গ কিলোমিটার। প্রায় প্রত্যেক বাগানেই চা উৎপাদন কারখানা রয়েছে।
জৈন্তাপুর উপজেলায় ইউনিয়ন ৬টি ,
ইউনিয়নসমূহ:
পাহাড়-টিলায় বেস্টিত জৈন্তাপুর উপজেলা সারী নদী এবং বরগাং উল্লেখযোগ্য দুটি নদী। এছাড়াও জৈন্তাপুর উপজেলাধীন হরিপুর এ কাপনা নদী অবস্থিত। সারী নদীর অপার সৈন্দর্য্য দেখতে প্রতিদিন হাজারও দর্শক সারীঘাট নামক এলাকায় ভীড় জমান।
চা শিল্পের জন্য শ্রীমঙ্গলের সুনাম ও পরিচিতি বিশ্বব্যাপী। ৪২৫ দশমিক ১৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ জনপদের সাথে রেল ও সড়কপথে যোগাযোগ রয়েছে সারাদেশের। চা, রাবার, লেবু, পান, আনারস ও মূল্যবান কাঠের জন্য শ্রীমঙ্গলের খ্যাতি ব্যাপক। দেশি-বিদেশি পর্যটকের পদভারে সারাবছর মুখরিত থাকে।
কুলাউড়া, চা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। মৌলভীবাজার জেলায় চা বাগানের সংখ্যা অনুপাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পরে কুলাউড়ার অবস্থান। কুলাউড়ায় রাবার, কমলা, আনারস, আম, কাঁঠাল এবং বাঁশ উৎপাদিত হয়।
কুলাউড়ায় পাক বাহিনীর প্রবেশ ও নির্মম গণহত্যা: সারা বাংলায় পাকিস্তানি সামরিক জান্তারা অত্যাচার নিপীড়ন শুরু করলেও কুলাউড়া থানায় তারা প্রথম আসে ৭ মে ১৯৭১ সালে। পাকিস্তানি সৈন্যেরা মৌলভীবাজার থেকে কুলাউড়া প্রবেশ পথে কাপুয়া ব্রিজের কাছাকাছি আসলে তাদের গতিরোধ করতে অকুতোভয় বীর সৈনিক জয়চন্ডী