এই উপজেলাই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছ।
১. গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প (জিকে প্রজেক্ট): পাকিস্থানি আমলে এই প্রকল্পটি চালু হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বৃহত্তম যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার খরিপ মৌসুমে অর্থাৎ রোপা আমন মৌসুমে সেচ প্রদান করা হয়ে থাকে।
২. হার্ডেজ ব্রীজঃ দেশের বৃহত্তর রেল সেতু। ইহা ব্রিটিশ আমলে ১৯১১ সালে চালু হয়।
৩. ভেড়ামারা বিদ্যুৎ কেন্দ্রঃ বিদ্যুৎ উপাদনের ক্ষমতা ৬০ মেগাওয়াট।
৪. লালন শাহ্ সেতুঃ ইহা একটি সড়ক সেতু, যার দৈর্ঘ ১.৮ কিলোমিটার। এই সেতুর মাধ্যমে দেশের উত্তর ও দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনা হয়। ২০০৪ সালে সেতুটি উদ্ভোধন করা হয়।
কুষ্টিয়া, যশোর, দৌলতপুর সাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত খুলনা জেলা ও ফরিদপুরের কিছু অংশ ছিল 'সেক্টর নং ৮' এর অন্তর্ভুক্ত। এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী ও আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর এম এ মঞ্জুর। এই সেক্টরে ছিল ৭টি সাব-সেক্টর।
কুষ্টিয়া জেলা তিলের খাজা, কুলফি আইসক্রিম এর জন্য বিখ্যাত। এ জেলাটিকে আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়। এ জেলার মানুষ শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে।
পাটকে স্থানীয় ভাষায় 'কোষ্টা' বা 'কুষ্টি' বলতো, যার থেকে কুষ্টিয়া নামটি এসেছে। কারো মতে ফারসি শব্দ 'কুশতহ' থেকে কুষ্টিয়ার নামকরণ হয়েছে যার অর্থ ছাই দ্বীপ। আবার সম্রাট শাহজাহানের সময় কুষ্টি বন্দরকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া শহরের উৎপত্তি বলেও একটি মত রয়েছে।
কুষ্টিয়া (মুজিবনগর) বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী। ১৮৬৯ সালে কুষ্টিয়ায় একটি পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। হ্যামিলটন'স গেজেট প্রথম কুষ্টিয়া শহরের উল্লেখ পাওয়া যায়। লালনের মাজার ছাড়াও এ জেলার শিলাইদহে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি ও মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা।