বর্তমানে তথ্য-প্রযুক্তি বা কম্পিউটারের যুগে প্রত্যেক বস্ত্ত,ভৌত অবকাঠামো কিংবা ভৌগলিক স্থানকে সংখ্যাগত দিক দিয়ে বুঝানোর জন্য নামের প্রথম অক্ষর অনুসারে (Aথেকে Z পর্যন্ত) ধারাবাহিকতাভাবে কতগুলো স্বতন্ত্র পরিচিতি সংখ্যা (ID NO.)ব্যবহার করা হয়। এসব সংখ্যাগুলোকে ভৌগলিক পরিচিতি সংখ্যা (Geo Code No.) বলে। যেমনঃ- রাজশাহী বিভাগের জিও কোড নং = ১. বগুড়া জেলা =১০,শেরপুর উপজেলা = ৮৮। শেরপুর উপজেলাধীন বিভিন্ন ইউনিয়নের জিও কোড নং নিম্নরূপঃ-
কুসুম্বী ইউনিয় =৫৭, গাড়ীদহ ইউনিয় = ২৮, খামারকান্দি ইউনিয়ন = ৩৮, খানপুর ইউনিয়ন=৪৭, মির্জাপুর ইউনিয়ন = ৬৬, বিশালপুর ইউনিয়ন = ১৯, ভবানীপুর ইউনিয়ন= ১৭, সুঘাট ইউনিয়ন = ৯৫, সীমাবাড়ী ইউনিয়ন = ৮৫. শাহ-বন্দেগী ইউনিয়ন-এর জিও কোড নং প্রকাশিত হয় নি।
৮৮.৫০ ডিগ্রী পূর্ব থেকে ৮৮.৯৫ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশে এবং ২৪.৩২ ডিগ্রী উত্তর থেকে ২৫.০৭ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশে বগুড়া সদর উপজেলা অবস্থিত।
বগুড়ার উত্তরে গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট, উত্তর পশ্চিমে জয়পুরহাটের অংশবিশেষ,পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিমে নওগাঁ, দক্ষিণে নাটোর ও সিরাজগঞ্জের অংশবিশেষ এবং দক্ষিণ পূর্বে সিরাজগঞ্জের অবশিষ্ট অংশ বিদ্যমান। বগুড়ার পূর্বে জামালপুর থাকলেও এর স্থলভাগ সংযুক্তভাবে অবস্থিত নয়।
বগুড়া ভৌগোলিকভাবে ভূমিকম্পের বিপজ্জনক বলয়ে অবস্থিত। তাছাড়া বগুড়া জেলা বরেন্দ্রভূমির অংশবিশেষ যা ধূসর ও লাল বর্ণের মাটির পরিচিতির জন্য উল্লেখ্য।
বগুড়া জেলার জনসংখ্যা মোট: ৩৭,৩৪,৩০০ জন
পুরুষ:৪৯.৬০%
মহিলা:৫০.৪০%|উত্তরবঙ্গের ১৬ টি জেলার মধ্য জনসংখ্যায় বৃহত্তম জেলা হচ্ছে বগুড়া। এবং সারা বাংলাদেশে ষষ্ঠ বৃহত্তম জেলা।
খ্রিষ্টপূর্ব ৪র্থ শতকে বগুড়া মৌর্য শাসনাধীনে ছিল। মৌর্য এর পরে এ অঞ্চলে চলে আসে গুপ্তযুগ । এরপর শশাংক, হর্ষবর্ধন, যশোবর্ধন পাল, মদন ও সেনরাজ বংশ ।
সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবনের পুত্র সুলতান নাসির উদ্দিন বগড়া ১,২৭৯ থেকে ১,২৮২ পর্যন্ত এ অঞ্চলের শাসক ছিলেন। তার নামানুসারে এ অঞ্চলের নাম হয়েছিল বগড়া (English:Bogra)। ইংরেজি উচ্চারন 'বগড়া' হলেও বাংলায় কালের বিবতর্নে নামটি পরিবর্তিত হয়ে 'বগুড়া' শব্দে পরিচিতি পেয়েছে। ২ এপ্রিল ২০১৮ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) বৈঠকে বগুড়ার ইংরেজি নাম Bogura করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বগুড়া জেলার সংসদীয় আসন :৭টি