মণিরামপুরে মানুষের জীবিকা প্রধানত কৃষিনির্ভর। এখানে কৃষিতে ৪৫.৬%, কৃষি শ্রমিক হিসেবে ২৮.৩৬%, পরিবহনে ২.৪৪%, দিন মজুর হিসেবে ১.৯৯%, ব্যবসা বাণিজ্যে ৯.৫১%, চাকুরীতে ৩.৯৪%, শিল্পে ২% এবং অন্যান্য পেশাতে ৬.১৬% মানুষ নিয়োজিত।
এ অঞ্চলে উৎপাদিত প্রধান শস্য হলো ধান, পাট, আলু, সরিষা ও ঋতুকালীন তরিতরকারি। মোট আবাদি জমির পরিমাণ ১,০৯,৮৯৪ একর। বিলুপ্ত অথবা প্রায় বিলুপ্ত ফসলের মধ্যে রয়েছে মসীনা, নীল, এবং অরহর। এখানে প্রচুর পরিমাণে আম, কাঁঠাল, পেঁপে এবং কলা সহ অন্যান্য ঋতুকালীন ফল পাওয়া যায়। শিল্প প্রধান অঞ্চল না হলেও মণিরামপুর উপজেলায় কয়েকটি চাউল কল, আটা কল ও বরফ কল আছে। কুঠির শিল্প যেমন– তাঁত, স্বর্ণকার, কামার, কুম্ভকার, মাটির কাজ, দর্জি এবং ওয়েল্ডিং-ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অবদান রাখে।
মোট হাট–বাজারের সংখ্যা ৬০টি। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নেহালপুর, মণিরামপুর, ঢাকুরিয়া এবং চীনেটোলা।
যশোর জেলা খই, খেজুর গুড় ও জামতলার মিষ্টির জন্য বিখ্যাত। তাছাড়া যশোর জেলাটিকে বাংলাদেশের ফুলের রাজধানী বলা হয়।
যশোরের বিখ্যাত খাবার হকদানা, ছাক্কা, ডিমের খাট্টা, কাঁঠালের বিচি দিয়ে কুকড়োর (মুরগি) মাংস, চুই ঝাল খাসির মাংস যশোর অঞ্চলের শত বছরের রান্নার ইতিহাসকে সমুজ্জ্বল রেখেছে। যশোরের প্রায় সবার প্রিয় খাবার ঘাটকোল। প্রচলিত নাম ঘেঁটকচু।হকদানা, ছাক্কা, ডিমের খাট্টা, কাঁঠালের বিচি দিয়ে কুকড়োর (মুরগি) মাংস, চুই ঝাল খাসির মাংস যশোর অঞ্চলের শত বছরের রান্নার ইতিহাসকে সমুজ্জ্বল রেখেছে। যশোরের প্রায় সবার প্রিয় খাবার ঘাটকোল। প্রচলিত নাম ঘেঁটকচু।
জামতলার মিষ্টি হলো বাংলাদেশের যশোর জেলার জামতলা বাজারে উৎপন্ন একটি বিখ্যাত মিষ্টি। এটি ছানা দিয়ে তৈরি গোলাকৃতির একটি মিষ্টি যা ঘন চিনির রসে ডুবানো থাকে। এই মিষ্টি রসগোল্লার একটি প্রকরণ। এটি দেখতে কিছুটা লালচে বা বাদামী রংয়ের হয়ে থাকে। জামতলা বাজারের সাদেক আলী নামক জনৈক ব্যক্তি এই মিষ্টি তৈরি করেন বলে এটি সাদেক গোল্লা নামেও পরিচিত।
যশোর কে ফুলের রাজধানী বলা হয় কেননা যশোরের গদখালি থেকে বাংলাদেশের ৮০% ফুল সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশের সব থেকে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল যশোরে অবস্থিত। যশোরে বহু ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। ব্রিটিশ আমলে যশোর বিমানবন্দর নির্মিত হয়েছিল যা এখন আন্তর্জাতিকীকরণের কাজ চলছে।
ষোড়শ শতাব্দীর শেষ ভাগে গৌড়ের শাসনকর্তা দাউদের একজন বিশ্বস্ত সহযোগী শ্রীহরি ১৫৭৪ সালের যশোরের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং স্বাধীন যশোর রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন।