সচরাচর সারা দেশে প্রচলিত বিভিন্ন খেলাধূলা যেমন-ফুটবল, ক্রিকেট, হা-ডু-ডু, ব্যাডমিন্টন, গোল্লাছুট, ইত্যাদি বিভিন্ন খেলাধূলা মহেশখালীতে প্রচলিত ও সুপারিশ। তাছাড়াও মহেশখালীতে একটি ব্যতিক্রমধর্মী খেলা প্রসিদ্ধ। তার নাম হলো বলি খেলা। এই খেলাটি এখানকার ঐতিহ্য। বছরের একটি নির্দিষ্ট দিনে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে দুই জন মোটা স্বাস্থ্যের খেলোয়ার পরস্পরের মোকাবেলা করে থাকে। এলাকার লোকজন প্রাণভরে সেই ঐতিহ্যবাদী খেলাটি উপভোগ করে থাকে।
বাংলা নববর্ষ ‘পহেলা বৈশাখ’ নানা রঙ্গে-ঢঙ্গে বৈচিত্র্যময় সাজে, পোস্টার, ব্যানার, ফেষ্টুন এবং বিভিন্ন ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যেমন গান, নাচ, খেলাধূলা, কৌতুক অভিনয় ইত্যাদি পাশাপাশি ভোরবেলায় পান্তা ইলিশ এর মধ্য দিয়ে দিনভর পালিত হয়ে থাকে।
কক্সবাজারের প্রাচীন নাম পালংকী । একসময় এটি প্যানোয়া নামে পরিচিত ছিল। প্যানোয়া শব্দটির অর্থ ‘হলুদ ফুল’।অতীতে কক্সবাজারের আশপাশের এলাকাগুলো এই হলুদ ফুলে ঝকমক করত। এটি চট্টগ্রাম থেকে ১৫৯ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত।
ইংরেজ অফিসার ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স ১৭৯৯ খ্রিঃ এখানে একটি বাজার স্থাপন করেন । কক্স সাহেবের বাজার হতে কক্সবাজার নামের উৎপত্তি
কক্সবাজার জেলা পৌরসভা : ৪টি
২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী কক্সবাজার জেলার মোট জনসংখ্যা ২২,৮৯,৯৯০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১১,৯৭,০৭৮ জন এবং মহিলা ১০,৯২,৯১২ জন। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ৯২০ জন।
কক্সবাজার জেলার ধর্মবিশ্বাস-২০১১
ইসলাম (৯৩%)
হিন্দু ধর্ম (৫%)
বৌদ্ধ ধর্ম (১.৮%)
খ্রিস্ট ধর্ম (০.২%)
ধর্মবিশ্বাস অনুসারে এ জেলার মোট জনসংখ্যার ৯৩% মুসলিম, ৫% হিন্দু এবং ২% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে ২০°৩৫´ থেকে ২১°৫৬´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৫০´ থেকে ৯২°২৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে কক্সবাজার জেলার অবস্থান। রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ৪০২ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ১৪৩ কিলোমিটার। এ জেলার উত্তরে চট্টগ্রাম জেলা; পূর্বে বান্দরবান জেলা, নাফ নদী ও মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ এবং দক্ষিণে ও পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।