শিল্প:
মাগুরা জেলা শিল্পে তেমন উন্নত নয়। এখানকার বৃহৎ টেক্সটাইল মিল মাগুরা টেক্সটাইল মিলটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। আড়পাড়া টেক্সাটাইল মিলে গেঞ্জি,
ছাতার কাপড় ইত্যাদি তৈরি হয়। দেশের বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান জিকিউ বলপেনের একটি ইউনিট মাগুরায় ছয়ঘরিয়ায় অবস্থিত এবং নিশং জুট মিলটি
ইছাখাদায় অবস্থিত। এছাড়াও বিস্কুট, চানাচুর, সাবান প্রভৃতি নানাবিধ কুঠির শিল্প মাগুরাতে অবস্থিত।
শিল্প সংক্রান্ত তথ্য :
বৃহৎ শিল্পের সংখ্যা : ৪টি
মাঝারি শিল্পের সংখ্যা : ২টি
ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্পের সংখ্যা : ২,৮৮১টি
বাণিজ্য :
মাগুরা জেলায় বর্তমানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সবজি এবং ফলমূল উৎপাদন হচ্ছে। এখানে উৎপাদিত শাক সবজি, কাচামরিচ রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় হয়।
কাঁচামাল কেনা বেচার জন্য মাগুরা শহরের ঢাকার রোডে একটি বৃহত্ত কাঁচাবাজার গড়ে উঠেছে। মাগুরা সদর উপজেলার হাজীপুর এলাকায় প্রচুর লিচু উৎপন্ন হয়। এছাড়া
মাগুরাতে প্রচুর কলা উৎপন্ন হয়। পাট বিক্রয়ের স্থল হিসেবে শ্রীপুর উপজেলার লাঙ্গলবাধ হাট এবং মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর হাট বিশেষভাবে পরিচিত।
১৮৪৫ সালে মাগুরা মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হলেও মাগুরা সদরে থানা স্থাপিত হয় আরও অনেক পরে, ১৮৭৫ সালের ১৬ নভেম্বর । অবশ্য এর আগে ১৮৬৭ সালে শালিখা, ১৮৭৯ সালের ২৮ শে জানুয়ারি শ্রীপুর এবং ১৮৬৯ সালের ২৪ নভেম্বরমহম্মদপুর থানা স্থাপিত হয়। এই চারটি থানা নিয়ে প্রায় ১৪০ বছর মাগুরা যশোর জেলার মহকুমা হিসেবে বজায় থাকে।
মাগুরা, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১ (বাসস) : মাগুরা মুক্ত দিবস আগামীকাল ৭ ডিসেম্বর।। ১৯৭১ সালের এ দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার মুক্ত হয় মাগুরা।
মাগুরা রসমালাই এর জন্য বিখ্যাত। যদিও রসমালাই মাগুরার বিখ্যাত খাবার কিভাবে হলো বা এর কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায়না। মাগুরার বিখ্যাত খাবার যদিও রসমালাই তবুও অণ্যান্য বিভিন্ন খাবারের সুনাম রয়েছে। তবে লোকমুখে বেশি শুনা যায় মাগুরার জেলার বিখ্যাত খাবারের নাম রসমালাই।
বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে এক সমৃদ্ধ জনপদের নাম মাগুরা। ১৭৮৬ সালে ব্রিটিশ আমলে বাংলা প্রদেশের প্রথম গঠিত জেলা যশোর। কিন্তু একজন জেলা কর্মকর্তার পক্ষে এ বৃহৎ জেলার আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণ ও প্রশাসনিক কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। মুলত মগ জলদস্যুদের হাত থেকে এ জেলার উত্তরাঞ্চলের জন সাধারণকে রক্ষা করার জন্যই ১৮৪৫ সালে যশোর জেলার প্রথম মহকুমা করা হয় মাগুরাকে। মহকুমা গঠন করার পর প্রথম মহকুমা অফিসার হিসেবে আসেন মিঃ ককবার্গ। মহকুমা হবার আগে মাগুরা অঞ্চল ভূষণা ও মহম্মদপুর নামেই সুবিখ্যাত ছিল। পাল রাজত্বের সময় এ অঞ্চলের উত্তর ও উত্তর পূর্ব অংশ শ্রীপুর ও রাজাপুর নামে পরিচিত ছিলো।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব অংশ ভূষনা। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হবার পর প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসাবে মাগুরাকে ১৯৮৪ সালে মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত করা হয়। প্রথম ডেপুটি কমিশনার নিয়োগ করা হয় অরবিন্দু করকে। মাগুরা জেলা মোট ৪টি থানা নিয়ে গঠিত। যথা মাগুরা সদর , শ্রীপুর , শালিখা, ও মহম্মদপুর যা ২টি সংসদীয় যথা মাগুরা-১ (জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা) ও মাগুরা-২ (জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা) নির্বাচনী এলাকায় বিভক্ত।