হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলা একটি জনবহুল উপজেলা হিসেবে পরিচিত। ১৮০৪ সালে মাধবপুর থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে এ উপজেলার নামকরণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য কোথাও পাওয়া যায়নি। জনশ্রুতি রয়েছে যে, মহাদেব নামে একজন সাধক ছিলেন এবং তাঁর অনেক ভক্তবৃন্দ ছিল। জনগণের ভাষ্যমতে তাঁরই নামে প্রথমে মহাদেবপুর তারপর মহাদেবপুর থেকে মাধবপুর নামকরণ হয়েছে। এরপরে আরো জানা যায় যে, প্রায় ১৫০ বছর পূর্বে প্রয়াত জমিদার সিদ্ধেশ্বরী রায় প্রসাদ চৌধুরী কর্তৃক মাধবপুর নামক স্থানে এলাকার প্রজাদের সুবিধার্থে পুকুর কেটে মাটি ভরাট করে এ মাধবপুর বাজার প্রতিষ্ঠা করেন। মূলত মাধবপুর বাজারটি সোনাই নদীর তীরে অবস্থিত। ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ থেকে সোনাই নদীর উৎসস্থল। সোনাই নদীর দক্ষিণ অংশ বি-বাড়ীয় জেলা যা পূর্বে ত্রিপুরা এবং সোনাই নদীর উত্তর অংশ আসাম প্রদেশের অংশ ছিল। তখনকার বৃটিশ আমলে সোনাই নদীর তীরে পুলিশ ফাড়ী স্থাপিত হয়। ১৯৪৭ সনে ভারত-পাকিস্থান বিভক্ত হওয়ার পর সিও (উঃ) অফিস প্রথম কার্যালয় নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ইটাখোলা গ্রামের রশীদ মজুমদারের বাড়ীতে স্থাপিত হয়। পরবর্তী কালে আনুমানিক ১৯৬৬ সালে মজুমদার বাড়ী থেকে মাধবপুরে সিও (উঃ) অফিস স্থানান্তর হয় এবং মাধবপুর গ্রামের নামানুসারে মাধবপুর থানা এবং মাধবপুর থানা থেকে ১৯৮৩ সনের ০১ আগষ্ট তারিখে মাধবপুর উপজেলায় উন্নীত হয়। এখনো উপজেলা ভূমি অফিস জগদীশপুর গ্রামে উপজেলা থেকে প্রায় ১২ কিঃ মিঃ দূরে অবস্থিত এবং সাব-রেজিস্টার অফিস চারাভ্ঙ্গা গ্রামে অবস্থিত যা অফিস ০২ টি বৃটিশ শাসনামলে স্থাপিত হয়েছিল।
মৌলভীবাজার এর অর্থনীতির প্রধান ভীত হলো চা শিল্প ও রাবার শিল্প । এ জেলায় প্রচুর পরিমানে চা ও রাবার উৎপাদিত হয় । এ ছাড়াও এ জেলার অর্থনীতিতে এই জেলার পর্যটন শিল্পও বিশেষ ভাবে উল্ল্যেখযোগ্য, তা ছাড়াও এখানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় শিল্প যা মৌলভীবাজার জেলার অর্থনীতিকে করছে সমৃদ্ধশালী ।
হবিগঞ্জ জেলার আর দশটি সাধারণ মানুষ ভাত মাছ খেলে এখানকার একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী মূলত প্রধান খাবার হিসেবে "ছিকর" নামের একটি খাবার গ্রহণ করে থাকে। অবাক করার বিষয় হল এটি এটেল মাটি দ্বারা নির্মিত একটি খাবার। প্রথমে স্বচ্ছ মিহি এটেল মাটি রোদে শুকোতে হয়।
বাহুবল উপজেলা প্রাকৃতিক বৈচিত্রে ভরপুর উপজেলা। এই উপজেলায় একই সাথে পাহাড়ী টিলা সমতল ভহমি এবং হাওড় অঞ্চল নিয়ে গঠিত। এই উপজেলায় ৭টি চা-বাগান উপজেলাকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয় করে তোলেছে। তা ছাড়া এইখানে নির্মাণাধীন ৫ তারকা বিশিষ্ট দি প্যালেস আকর্ষনের বিষয় বসত্মত্মুতে পরিণত হয়েছে।
নবীগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম গ্যাস ফিল্ড বিবিয়ানা । এটি কে পি আই শ্রেণীর স্থাপনা যা ৪ নং দীঘলবাক ইউনিয়ন ও ৩ নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নে অবস্থিত। ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জের সৈয়দপুর বাজার হতে মাত্র ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে পাকা সড়কে ধরে গেলেই বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড দেখতে পাওয়া যায় ।
১৯৪৭ সালের ১৩ই আগস্ট পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পূর্বদিন পর্যন্ত সিলেট আসামের একটি জেলা হিসেবে গণ্য ছিল। অর্থাৎ এই সময়ে নবীগঞ্জ আসাম প্রদেশের একটি জেলা হিসেবে সিলেটের অন্তর্ভুক্ত ছিল।