কৃষি ৫১.১৭%, কৃষি শ্রমিক ২০.৬৭%, মজুরী শ্রমিক ৩.১৮%, ব্যবসা ৭.৫২%, চাকরি ৭.১৩%, মাছ ধরা ২.৫% এবং অন্যান্য ৭.৮৩%। ২৬১৫৯,৪৫ হেক্টর জমি ব্যবহার আবাদি জমি, পতিত জমি ২৩৭,৫৬ হেক্টর, একক ফসল ৪২%, ডবল ফসল ৫০%, তিন ফসলি ৮%. সেচের আওতায় আবাদি জমি ৭৪%। কৃষকদের মধ্যে ভূমি নিয়ন্ত্রণ, ২৯%, ৩২,৮২%, ক্ষুদ্র ২৭% মাঝারি এবং ৪.০৯% সমৃদ্ধ, ৭.০৯% প্রান্তিক ভূমিহীন ; মাথা প্রতি ০.১৪ হেক্টর আবাদি জমি।
প্রধান ফসল ধান, গম, মিষ্টি আলু, ডাল, বেগুন, পান। বিলুপ্ত বা প্রায় বিলুপ্ত শস্য পাট, তামাক, সরিষা, চীনাবাদাম, রসুন, আখ, অড়হর, চীন, কাউন। প্রধান ফল আম, কাঁঠাল, কলা, জাম, নারিকেল, লিচু, খেজুর, সুপারি, আমড়া।
এখানে ময়দা কল ১ টি, রাইস মিল ২৫টি, বরফকল ৫টি, কল ৪০, নাড়ি কল ২টি এবং চিড়াকল ১টি রয়েছে।
হাট-বাজারঃ- মুলাদী বন্দর হাট, খাশেরহাট, নাজিরপুর বন্দর, নাতিরহাট, বানিমর্দ্দন, সোনামদ্দিন, রামারপোল, কুতুবপুর, কাজিরহাট, প্যাদারহাট, বাহাদুরপুর নতুন বাজার, শের-ই-বাংলা বন্দর নোমরহাট, মাদ্রাসা বাজার, মোন্তাজপুর বাজার ইত্যাদি।
মেলাঃ- পাতারচর (পাইতিখলা) মীর কুতুব শাহ-র মেলা, কাজিরচর আদম আলী ফকির মেলা, মুন্সি বারী মেলা যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মেলা।
তৎকালীন সময়ের প্রভাবশালী জমিদার আগা বাকের খানের নামানুসারে এ জেলার নামকরণ হয়। ১৮০১ সালের ১লা মে স্যার জন শ্যোর এ জেলার সদর দপ্তর বর্তমানে বরিশাল শহরে স্থানান্তরিত করেন। পরবর্তীতে বরিশাল নামেই এ জেলা পরিচিতি পায়। ১৮১৭ সালে এই জেলা একটি কালেক্টরেটে পরিণত হয়।
পাকিস্তান আমলেই পটুয়াখালী মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৮৪ সালে বাকি চারটি মহকুমা জেলায় রূপান্তরিত হয় এবং বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা ও ঝালকাঠী এই ছয়টি জেলা নিয়ে ১৯৯৩ সালের ১লা জানুয়ারি বরিশাল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়।
সাক্ষরতার হারের এ চিত্র উঠে এসেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জনশুমারি ও গৃহগণনা, ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে। জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাক্ষরতার হারে সবচেয়ে এগিয়ে ঢাকা বিভাগ, হার প্রায় ৭৯। এর পরে রয়েছে বরিশাল, ৭৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বরিশাল জেলা আমড়া এর জন্য বিখ্যাত। তাছাড়া বরিশালকে বাংলার ভেনিস বলা হয়।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৮৪ সালে বাকি চারটি মহকুমা জেলায় রূপান্তরিত হয় এবং বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা ও ঝালকাঠী এই ছয়টি জেলা নিয়ে ১৯৯৩ সালের ১লা জানুয়ারি বরিশাল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়।