সম্রাট আকবরের সেনাপতি শাহবাজ খান পুর্তগীজ ও মগ আরাকান জলদস্যুদের কবল থেকে সাধারণ বিরাট সেনাবাহিনী ও স্থানীয় যুবকদের নিয়ে পুর্তগীজ-মগ ও আরাকান জলদস্যুদের উপর আক্রমণ করে এবং তাদেরকে উত্তর শাহবাজপুর (বর্তমান ভোলা জেলা) থেকে বিতাড়িত করেন। ১৫৮৫ সালে তিনি চলে যান। পরে শাহবাজ খানের স্মৃতি বিজড়িত স্থান হিসাবে মেঘনা-তেঁতুলিয়া-ইলিশা-মাসকাঁটা কালবদরের মাঝ খানের নদী কন্যা দ্বীপটির নাম শাহবাজপুর নামে পরিচয়। পরে ইলিশা নদীর উত্তর অংশ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা-মুলাদী) নিয়ে গঠিত হয় উত্তর শাহবাজপুর। শাহবাজ খান চলে যাওয়ার বেশ কিছু কাল পর আবার শুরু হয় আরাকান ও পুর্তগীজ জলদস্যুদের অত্যাচার এবং সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময়ে মুঘল সেনাপতি আগা মেহেদীকে পাঠান শাহবাজপুর।
আগা মেহেদী ও তার বাহিনী উত্তর শাহবাজপুর (বর্তমান মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা, ভোল জেলার রামদাশপুর ইউনিয়নের যে কোন স্থানে) আস্তানা করেন এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুর্তগীজ ও আরাকানদের এই অঞ্চল থেকে বিতাড়িত করেন। পরে আঘা মেহেদী নামে উত্তর শাহবাজপুরের একাংশের নাম করা হয় মেহেদীগঞ্জ যার বিবর্তিতরূপ মেহেন্দিগঞ্জ। আগা মেহেদী চলে যাওয়ার কিছুকাল পর আবার শুরু হয় পুর্তগীজ এবং আরাকনদের উৎপাত— এবার তিনি ফিরে এসে এ অঞ্চল থেকে পুরোপুরি নিশ্চহ্ন করেন। পরে তিনি সুবেদার হিসেবে এই এলাকায় থেকে যান এবং সংগ্রাম কেল্লা থেকে একটু দূরে সরে উলানিয়া নামক স্থানে তার উত্তরসুরীরা স্থানীয়ভাবে বাসস্থান নির্মাণ করেন ও বসবাস শুরু করেন। যা এখন উলানিয়া জমিদার বাড়ি নামে পরিচিত।
তৎকালীন সময়ের প্রভাবশালী জমিদার আগা বাকের খানের নামানুসারে এ জেলার নামকরণ হয়। ১৮০১ সালের ১লা মে স্যার জন শ্যোর এ জেলার সদর দপ্তর বর্তমানে বরিশাল শহরে স্থানান্তরিত করেন। পরবর্তীতে বরিশাল নামেই এ জেলা পরিচিতি পায়। ১৮১৭ সালে এই জেলা একটি কালেক্টরেটে পরিণত হয়।
পাকিস্তান আমলেই পটুয়াখালী মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৮৪ সালে বাকি চারটি মহকুমা জেলায় রূপান্তরিত হয় এবং বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা ও ঝালকাঠী এই ছয়টি জেলা নিয়ে ১৯৯৩ সালের ১লা জানুয়ারি বরিশাল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়।
সাক্ষরতার হারের এ চিত্র উঠে এসেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জনশুমারি ও গৃহগণনা, ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে। জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাক্ষরতার হারে সবচেয়ে এগিয়ে ঢাকা বিভাগ, হার প্রায় ৭৯। এর পরে রয়েছে বরিশাল, ৭৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বরিশাল জেলা আমড়া এর জন্য বিখ্যাত। তাছাড়া বরিশালকে বাংলার ভেনিস বলা হয়।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৮৪ সালে বাকি চারটি মহকুমা জেলায় রূপান্তরিত হয় এবং বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা ও ঝালকাঠী এই ছয়টি জেলা নিয়ে ১৯৯৩ সালের ১লা জানুয়ারি বরিশাল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়।