কৃষি নির্ভর
এসব জমিতে ধান, গম, পাট, ভুট্টা,তামাক, পিঁঁয়াজ, রসুন, মরিচ, ডাল, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপি এবং বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপন্ন হয়ে থাকে। এ জেলায় বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন আম, কলা, কাঁঠাল প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয়ে থাকে। এ জেলার সুস্বাদু আমের সুনাম রয়েছে।
মোট কৃষি জমি ৬০,১৮৩ হেক্টর, নীট ফসলী জমি ৬০,০২৪ হেক্টর। এক ফসলী জমি ৩,১৫৩হেক্টর, দুই ফসলী জমি ৩০,৯১৩ হেক্টর, তিন ফসলী জমি ২৫,৮৩৮ হেক্টর, তিনের অধিক ৩২০ হেক্টর। মোট ফসলী জমি ১,৪৩,১৭২ হেক্টর, ফসলের নিবিড়তা ২৩৮.৫২%।কৃষি ব্লকের সংখ্যা ৫৬টি, কৃষি বিষয়ক পরামর্শ কেন্দ্র ৫৬টি, সয়েলমিনিল্যাব ১৪টি, বিএডিসি বীজ ডিলার ২৩ জন, বিসিআইসি সার ডিলার ৩০ জন, কোল্ড ষ্টোর ০৩টি। নাসারী সংখ্যা সরকারি ০২ টি বেসরকারী ২২০টি।
সেচাধীনজমি ৫৯,৮৫৯ হেক্টর। গভীর নলকুপ মোট ৯৩টি (বিদ্যুৎ চালিত ৯১টি, ডিজেলচালিত ০২টি), অগভীর নলকুপ মোট ৩০,০২২টি (বিদ্যুৎ চালিত ১,৭১৫টি, ডিজেল চালিত২৮,৩০৭টি), পাওয়ার পাম্প মোট ১০টি (বিদ্যুৎ চালিত ০৪টি, ডিজেল চালিত০৬টি)।
পরিস্থিতিখাদ্যশস্যেরবাৎসরিক চাহিদা ১,৪৪,৩৫০ মেট্রিক টন, উৎপাদন ২,২৫,৭৮৩ মেট্রিক টন (দানাদার), উদ্বৃত্ত ৮১,৪৮৩ মেট্রিক টন। প্রধানত ধান, পাট, গম, আলু, কচু, মসুর, ভুট্টা, সরিষা, পান, কলা, আনারস, কাঁঠাল ও শীতকালীন শাকসব্জী উৎপন্ন হয়।
দপ্তরজেলাপশু হাসপাতাল ০১টি, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ০৩টি, পশু চিকিৎসালয় ০১টি, জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র নাই, কৃত্রিম প্রজনন উপকেন্দ্র ০৩টি, কৃত্রিম প্রজনন পয়েন্ট ১২টি।গবাদি পশুর খামার ১৬৫৬টি, ছাগলের খামার ১৩২টি, ভেড়ার খামার ১৬৯টি, মুরগী খামার ৪৮৭টি (লেয়ার ১০৬টি, ব্রয়লার ৩৮১টি) । গরু ১১,৪৭,৭৮৯টি, মহিষ ২০,৭৮৩টি, ছাগল ২২,৬,২৯৮টি, ভেড়া ১০,৮৮০টি, ঘোড়া ৭৯০টি।পশু সম্পদ কার্যক্রম সংশ্লিষ্টএনজিও- ওয়ার্ল্ড ভিশন, সোসিও ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন
১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময়ে করিমপুর,তেহট্ট ও চাপড়া ভারতে অন্তর্ভুক্ত হয়, শুধুমাত্র গাংনী ও মেহেরপুর সদর নিয়ে মেহেরপুর মহাকুমা গঠিত হয়। ১৯৮৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মেহেরপুর পূর্ণাঙ্গ জেলার মর্যাদা লাভ করেন। ২০০০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মেহেরপুর সদর উপজেলা বিভক্ত হয়ে মুজিবনগর উপজেলার সৃষ্টি হয়।
স্বাধীন বাংলাদেশের সূতিকাগার হচ্ছে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এই জায়গার নামকরণ করা হয় 'মুজিবনগর'। বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ গর্বের সঙ্গে এই নামকরণ করেছিলেন। তখন সরকারি নথিতে লেটার হেডে লেখা থাকত 'গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, মুজিবনগর'।
মুজিবনগর সরকার (যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ অস্থায়ী সরকার বা প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার নামেও পরিচিত) মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল জনগনের রায়ে নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল এই সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা বৈদ্যনাথতলায় (বর্তমান মুজিবনগর) শপথ গ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর ১০ এপ্রিল এ সরকার গঠিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে।