পীর খানজান আলী (রাঃ)-এর স্মৃতি বিজড়িত বাগেরহাটের ইংরেজ বিরোধী লড়াকু সৈনিক বীর যোদ্ধা শহীদ রহিমিউল্লাহর আবা্সভূমি সুন্দরবনের সৌন্দর্যমন্ডিত ঘেরা পানগুছি নদী বিধৌত দক্ষিণ বাংলার অবহেলিত এক জনপদের নাম মোরেলগঞ্জ উপজেলা। ঐতিহ্যবাহী বাগেরহাট জেলার প্রধান ব্যবসায় কেন্দ্র এককালের ছো্ট কলিকাতা নামে খ্যাত এই মোরেলগঞ্জ। ১টি পৌরসভা, ১৬টি ইউনিয়ন, ১৮৩টি গ্রাম ও ৫০টি হাটবাজার সমন্বয়ে গটিত প্রায় ৪ লক্ষ জনসাধারণ অধ্যুষিত ৪৪০ বর্গ কিলোমিটার আয়তন নিয়ে গঠিত দেশের ২য় বৃহত্তম উপজেলার নাম মোরেলগঞ্জ। যার নামকরণ হয় ১৮৪৯ সালে এবং উপজেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ৭ নভেম্বর ১৯৮২ সালে। এ উপজেলায় কী আছে কী নেই কী প্রয়োজন, কিভাবে এ প্রয়োজন মিটান যায় প্রভূতির পরিসংখ্যান ও বিভিন্ন তথ্যের উপর ভিত্তি করেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রস্ত্তত ও বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। মোরেলগঞ্জ ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পদ ও প্রকৃতি এবং আর্থসামাজিক রাজনৈতিক দিক থেকে এ জনপদের রয়েছে বিস্ময়কর স্বাতন্ত্র্য। একটি এলাকার সার্বিক অবস্থানকে জানতে হলে নজর দিতে হবে সেই এলাকার সার্বিক তথ্যের উপর। কেননা পরিসংখ্যান হচ্ছে চলমান অর্থনৈতিক সামাজিক ও রাজনৈতিক দর্পণ যা ভবিষ্যৎ দিক নির্দেশনার ইঙ্গিতবহন করে। সেদিক থেকে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পরিসংখ্যান মাতৃভূমির ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে এ প্রত্যাশা নিয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলার তথ্যাদি তুলে ধরা হল।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের একটি উপকূলীয় জেলা বাগেরহাট। প্রাচীন সমতটের এই জনপদের সমৃদ্ধির ইতিহাস উপমহাদেশের বহু প্রাচীন জনপদের সমকালীন ও সমপর্যায়ের। বর্তমানে খুলনা বিভাগের অন্তর্গত বাগেরহাট শহরের পূর্ব নাম ছিল 'খলিফাতাবাদ'।
বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী খাবারের কথা আসলেই সবার প্রথমে আসে চুই ঝালের কথা। চুই ঝালে গরুর মাংস কিংবা খাসির মাংস, একনামে বিখ্যাত! খুলনা যাবেন আর চুই ঝালের তরকারি খাবেন না তা একদম হবে না। চুই বাংলাদেশের একটি অপ্রচলিত মশলা জাতীয় ফসল।
বিখ্যাত বাগেরহাট দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের এই ঐতিহাসিক জেলাটি মূলত উৎপাদনে এগিয়ে থাকা চিংড়ি ও সুপারির জন্য বিখ্যাত। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দর্শনীয় স্থান ষাট গম্বুজ মসজিদ এই জেলায় অবস্থিত। এছাড়া দেশে চিংড়ি এবং সুপারি উৎপাদনে সবার শীর্ষে এই জেলা।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাগেরহাট প্রথম প্রবেশ করে ২৪ এপ্রিল ১৯৭১ শনিবার। মুক্তিযুদ্বের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়।