জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৯.১৭%, অকৃষি শ্রমিক ২.৫৮%, শিল্প ০.৮৩%, ব্যবসা ১০.৩৮%, পরিবহন ও যোগাযোগ ৩.২৪%, চাকরি ৬.৭৭%, নির্মাণ ০.৫৯%, ধর্মীয় সেবা ০.৪০%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৫৯% এবং অন্যান্য ৫.৪৫%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৬৪.৫৮%, ভূমিহীন ৩৫.৪২%। শহরে ৪৫.৬২% এবং গ্রামে ৬৬.৫১% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, আখ, গম, তিল, পান, ডাল, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলূপ্তপ্রায় ফসলাদি তামাক।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, নারিকেল, সুপারি।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার চিংড়ি ঘের ১০০০০, হাঁস-মুরগি।
শিল্প ও কলকারখানা আইস ফ্যাক্টরি, বিড়ি কারখানা, স’ মিল, রাইস মিল।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, সূচিশিল্প, বাঁশের কাজ, কাঠের কাজ, বেতের কাজ, নকশি কাঁথা, নকশি পাখা, খেজুর পাতার পাটি।
হাটবাজার ও মেলা: হাটবাজার ৩৩, মেলা ৪। চুনখোলা হাট(মোল্লাহাটের ঐতিহ্যবাহী সবথেকে বড় হাট), উদয়পুর গরুর হাট,গাড়ফা হাট,চরকুলিয়া হাট, নগরকান্দি হাট, গাংনী হাট, নাশুয়াখালি হাট, কোদালিয়া হাট ও চাঁদের হাট এবং পদ্মডাঙ্গার কালী পূজার মেলা, ঐতিহ্যবাহী চুনখোলার ফুলগাছা মেলা,উল্লেখযোগ্য। প্রধান রপ্তানিদ্রব্য পান, আখ, খেজুর গুড়, নারিকেল, সুপারি, কলা, পেঁপে,টমেটো, করলা,চিংড়ী মাছ।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের একটি উপকূলীয় জেলা বাগেরহাট। প্রাচীন সমতটের এই জনপদের সমৃদ্ধির ইতিহাস উপমহাদেশের বহু প্রাচীন জনপদের সমকালীন ও সমপর্যায়ের। বর্তমানে খুলনা বিভাগের অন্তর্গত বাগেরহাট শহরের পূর্ব নাম ছিল 'খলিফাতাবাদ'।
বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী খাবারের কথা আসলেই সবার প্রথমে আসে চুই ঝালের কথা। চুই ঝালে গরুর মাংস কিংবা খাসির মাংস, একনামে বিখ্যাত! খুলনা যাবেন আর চুই ঝালের তরকারি খাবেন না তা একদম হবে না। চুই বাংলাদেশের একটি অপ্রচলিত মশলা জাতীয় ফসল।
বিখ্যাত বাগেরহাট দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের এই ঐতিহাসিক জেলাটি মূলত উৎপাদনে এগিয়ে থাকা চিংড়ি ও সুপারির জন্য বিখ্যাত। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দর্শনীয় স্থান ষাট গম্বুজ মসজিদ এই জেলায় অবস্থিত। এছাড়া দেশে চিংড়ি এবং সুপারি উৎপাদনে সবার শীর্ষে এই জেলা।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাগেরহাট প্রথম প্রবেশ করে ২৪ এপ্রিল ১৯৭১ শনিবার। মুক্তিযুদ্বের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়।