The Ballpen
মোল্লাহাট মোল্লাহাটের উৎপত্তি ও নামকরণ - theballpen

মোল্লাহাট মোল্লাহাটের উৎপত্তি ও নামকরণ

23rd Dec 2022 | বাগেরহাট জেলা |

মোল্লাহাট উপজেলার নামকরণ সমন্ধে বিশেষ কোন তথ্য নাই। তবে এই উপজেলার নাম কেন মোল্লাহাট হল সেই সমন্ধে এলাকার মুরব্বিদের মুখে যা শোনা যায় তা হল বর্তমানে মোল্লাহাট থানা যেখানে অবস্থিত সেখান থেকে পূর্বদিকে চুনখোলা ইউনিয়নের শাসনে বনিয়াদী মোল্লাবাড়ি ছিল। যেখানে দক্ষিণ শাসন প্রাইমারী বিদ্যালয়টি অবস্থিত তার নিকটবর্তী কোথাও মোল্লাহাট থানা অবস্থিত ছিল, আবার কারো মতে প্রাইমারী বিদ্যালয়টি থেকে তিন পাইল দুরে অর্থাৎ উদয়পুরে উত্তর পাড়ায় মোল্লা বংশের বেশ খানিক নামকাম ও প্রভাব ছিল সেখানে প্রথম মোল্লাহাট থানা ছিল। মোট কথা এদেশে বৃটিশের আগমনের পূর্বে মোল্লাহাট থানা দুই জায়গায় যে কোন স্থানে অবস্থিত ছিল। বৃটিশ আগমনের পর যখন আঠারো বাকী নদীর স্রোত

কমে গিয়েছিল তখন মধুমতি নদীর তীরে মোল্লাহাট থানাটি অবস্থান করে।

বহুযুগ আগে ভারত উপমহাদেশে বিবাহ বা নিকাহ পড়াতে মৃত ব্যক্তির সৎকার্য সমাধান কল্পে মসজিদ বা ইদগাহে নামাজের ইমামতি কাজে এবং আরো বহুবিদ মুসলিম ধর্মীয় কাজের জন্য মুসলমান সমাজে একটি পরায়ন দল বেসরকারীভাবে সংঘবদ্ধ ছিলেন। তারা হযরত মুহাম্মদ(সং) এর বিধি বিধান অনুযায়ী চলতেন ও অন্যদের চলার বা মানার জন্য সৎ পরামর্শ ও উপদেশ দিতেন এবং মুসলমান সমাজের উন্নতির জন্য অনেক সংস্কারমুলক কাজ করতেন। তা ছাড়া মসজিদ বা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় একাগ্রতা প্রকাশ ও ইসলাম ধর্মীয় বহুবিদ কাজে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতেন। সম্ভবতঃ সেই শ্রেনী ভূক্ত দলটি যুগের গতি পেরিয়ে আধুনিক কালে মোল্লা শ্রেনীভূক্ত সম্প্রদায়ে প্রতিষ্ঠিত। বাংলা ভাষায় একটি প্রবাদ আছে মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত । মোল্লা শ্রেনী ভূক্ত ব্যক্তিবর্গ যে সব সময় মসজিদকে কেন্দ্র করে মসজিদ সম্পর্কিত বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত থাকতেন, উল্লিখিত প্রবাদ বাক্যটিই তার যথার্থ প্রমাণ।

সেই মোল্লা বংশের এক বিশিষ্ট ব্যক্তি যার দাম্ভিকতায় এলাকার বাঘ মহিষ এক ঘাটে পানি পান করত, যার ধন ও ঐশ্বর্যে আঞ্চলিকতার প্রভাব ছিল। যার যশ ও মান অত্র এলাকার পথে প্রাত্মরে ও জনমনে গেঁথে থাকতো, যার হুংকারে সাত গ্রামের লোক ভয়ে থর থর করে কাঁপতো। কথিত আছে সেই প্রভাবশালী ধনবান ও দাম্ভিক ব্যক্তি হাজী মুহাম্মদ তমিজ উদ্দিন মোল্লা নামে খ্যাত। এই তমিজ উদ্দিন মোল্লার বংশধরগণ আজও মোল্লাহাট উপজেলার কাহালপুর ও বাশাবাড়ী গ্রাম সহ বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছে। সম্ভবতঃ এই মোল্লা বংশেরনাম অনুসারেই অত্র এলাকার নাম করণ হয়েছে‘‘মোল্লাহাট’’। যা আজও কাগজে কলমে মোল্লাহাট নামটি অলিখিত শাসনতন্ত্রের মত মৌজা শুন্য হয়ে পরিচিত।





Related

বাগেরহাট কত সালে জেলা হয়?

১৯৮৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাট মহকুমা জেলায় উন্নীত হয়



Related

বাগেরহাট জেলা কোন জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল?

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের একটি উপকূলীয় জেলা বাগেরহাট। প্রাচীন সমতটের এই জনপদের সমৃদ্ধির ইতিহাস উপমহাদেশের বহু প্রাচীন জনপদের সমকালীন ও সমপর্যায়ের। বর্তমানে খুলনা বিভাগের অন্তর্গত বাগেরহাট শহরের পূর্ব নাম ছিল 'খলিফাতাবাদ'।



Related

বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার

বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী খাবারের কথা আসলেই সবার প্রথমে আসে চুই ঝালের কথা। চুই ঝালে গরুর মাংস কিংবা খাসির মাংস, একনামে বিখ্যাত! খুলনা যাবেন আর চুই ঝালের তরকারি খাবেন না তা একদম হবে না। চুই বাংলাদেশের একটি অপ্রচলিত মশলা জাতীয় ফসল।



Related

বাগেরহাট কিসের জন্য বিখ্যাত

বিখ্যাত বাগেরহাট দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের এই ঐতিহাসিক জেলাটি মূলত উৎপাদনে এগিয়ে থাকা চিংড়ি ও সুপারির জন্য বিখ্যাত। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দর্শনীয় স্থান ষাট গম্বুজ মসজিদ এই জেলায় অবস্থিত। এছাড়া দেশে চিংড়ি এবং সুপারি উৎপাদনে সবার শীর্ষে এই জেলা।



Related

বাগেরহাট জেলার সেক্টর কমান্ডার কে ছিলেন?

পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাগেরহাট প্রথম প্রবেশ করে ২৪ এপ্রিল ১৯৭১ শনিবার। মুক্তিযুদ্বের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়।