মৌলভীবাজার বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে একটি ঐতিহ্য মন্ডিত জেলা। দেশের কৃষ্টি, সভ্যতা, সংস্কৃতিতে এ জেলার গুরুত্ব অপরিসীম।আকর্ষণীয় অনন্য বৈশিষ্টের কারণে মৌলভীবাজার জেলা পর্যটন শিল্পের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মৌলভীবাজার জেলায় রয়েছে বৈচিত্র্যময় পরিবেশ, চা বাগান সমূহের দৃষ্টি নন্দন দৃশ্য এবং মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। আদিবাসীদের স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য, অভ্যন্তরীণ উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, অবকাঠামোগত সুবিধা, প্রাকৃতিক অপার সৌন্দর্য সমাহারে এ জেলাটি অন্যান্য জেলার তুলনায় অনেকটাই ভিন্ন। এ ভিন্নতা ছাড়াও মৌলভীবাজার জেলার অন্যান্য আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে হযরত শাহ মোস্তফা (র:) এর মাজার শরীফ, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ, পৃথিমপাশা নবাববাড়ী, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনষ্টিটিউট, মনু ব্যারেজ, মাধবপুর চা-বাগান লেক, মনিপুরী পল্লী, প্রাকৃতিক গ্যাস ট্রান্সমিশন প্লান্ট, কমলা/লেবু/আনারস বাগান ইত্যাদি।
পাহাড়, টিলা, সংরক্ষিত বনাঞ্চল, হাওড়/বাওড়/বিল, ঝর্ণা, নদ-নদী পরিবেষ্টিত এবং জীব বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ এ জেলা ইকো ট্যুরিজমের (Eco-Tourism)জন্য খুবই উপযোগী। এ কারণে এখানে প্রতি বছর বহু সংখ্যক দেশী-বিদেশী পর্যটক ভ্রমণ করেন। কিন্ত পর্যটকদের চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, আবাসন, বিনোদন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকার কারণে পর্যটকগণ অনেকক্ষেত্রে নিরাশ হন। এক্ষেত্রে একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সহজেই এ জেলাকে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য আরো উপযোগী করে গড়ে তোলা যায়। এ লক্ষ্যে বিনোদনের ব্যবস্থা অন্তর্ভূক্ত করে শ্রীমঙ্গল উপজেলা, কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মনিপুরী পল্লী, খাসিয়া পল্লী, বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত মাধবকুন্ড জলপ্রপাত, হাকালুকি হাওড় এবং চা বাগানসহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থানকে সম্পৃক্ত করে একটি প্যাকেজ তৈরী করা সম্ভব হলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ জেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
জৈন্তাপুর উপজেলায় ইউনিয়ন ৬টি ,
ইউনিয়নসমূহ:
পাহাড়-টিলায় বেস্টিত জৈন্তাপুর উপজেলা সারী নদী এবং বরগাং উল্লেখযোগ্য দুটি নদী। এছাড়াও জৈন্তাপুর উপজেলাধীন হরিপুর এ কাপনা নদী অবস্থিত। সারী নদীর অপার সৈন্দর্য্য দেখতে প্রতিদিন হাজারও দর্শক সারীঘাট নামক এলাকায় ভীড় জমান।
চা শিল্পের জন্য শ্রীমঙ্গলের সুনাম ও পরিচিতি বিশ্বব্যাপী। ৪২৫ দশমিক ১৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ জনপদের সাথে রেল ও সড়কপথে যোগাযোগ রয়েছে সারাদেশের। চা, রাবার, লেবু, পান, আনারস ও মূল্যবান কাঠের জন্য শ্রীমঙ্গলের খ্যাতি ব্যাপক। দেশি-বিদেশি পর্যটকের পদভারে সারাবছর মুখরিত থাকে।
কুলাউড়া, চা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। মৌলভীবাজার জেলায় চা বাগানের সংখ্যা অনুপাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পরে কুলাউড়ার অবস্থান। কুলাউড়ায় রাবার, কমলা, আনারস, আম, কাঁঠাল এবং বাঁশ উৎপাদিত হয়।
কুলাউড়ায় পাক বাহিনীর প্রবেশ ও নির্মম গণহত্যা: সারা বাংলায় পাকিস্তানি সামরিক জান্তারা অত্যাচার নিপীড়ন শুরু করলেও কুলাউড়া থানায় তারা প্রথম আসে ৭ মে ১৯৭১ সালে। পাকিস্তানি সৈন্যেরা মৌলভীবাজার থেকে কুলাউড়া প্রবেশ পথে কাপুয়া ব্রিজের কাছাকাছি আসলে তাদের গতিরোধ করতে অকুতোভয় বীর সৈনিক জয়চন্ডী