বৃহৎশিল্প:
চা শিল্পঃ
চা বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান শিল্প। বাংলাদেশের মোট ১৬৩টি চা-বাগানের মধ্যে মৌলভীবাজার জেলায় ৯২টি চা বাগান রয়েছে। এজন্য মৌলভীবাজার জেলাকে বাংলাদেশের চা রাজধানী বলা হয়। চা-বাগানগুলোর মধ্যে মাধবপুর চা-বাগান, সাতগাঁও চা-বাগান, রাজনগর চা-বাগান, মাথিউড়া চা-বাগান, সমনভাগ চা-বাগান, দেউন্দি চা-বাগান, ইস্পাহানি গাজীপুর চা-বাগান, জেরিন চা-বাগান, ফিনলে চা-বাগান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
মাঝারী শিল্পঃ
জেলায়মোট ১০৩২ টি মাঝারী শিল্প রয়েছে । তন্মধ্যে বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত আগরআতর শিল্প এবং প্রায় সবগুলো উপজেলায় অবস্থিত প্রাকৃতিক রাবার শিল্পউল্লেখযোগ্য ।
কুটির শিল্পঃ
জেলায় মোট ৪৫৭৫ টি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প রয়েছে । তন্মধ্যে শীতলপাটি, বেত, কাঠ ও বাঁশ শিল্প উল্লেখযোগ্য।
জেপিএল ফার্ণিচারঃ
মৌলভীবাজার জেলার বিসিক শিল্প নগরীতে জেপিএল ফার্ণিচারের কারখানা অবস্থিত। উক্ত উন্নতমানের সিজন ও ট্রিটেড কাঠের বিভিন্ন ডিজাইনের দরজা ও ফার্ণিচার তৈরী হয়। উক্ত ফ্যাক্টরী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিম্ন-লিখিত সাইটে লগ-ইন করুন :
জৈন্তাপুর উপজেলায় ইউনিয়ন ৬টি ,
ইউনিয়নসমূহ:
পাহাড়-টিলায় বেস্টিত জৈন্তাপুর উপজেলা সারী নদী এবং বরগাং উল্লেখযোগ্য দুটি নদী। এছাড়াও জৈন্তাপুর উপজেলাধীন হরিপুর এ কাপনা নদী অবস্থিত। সারী নদীর অপার সৈন্দর্য্য দেখতে প্রতিদিন হাজারও দর্শক সারীঘাট নামক এলাকায় ভীড় জমান।
চা শিল্পের জন্য শ্রীমঙ্গলের সুনাম ও পরিচিতি বিশ্বব্যাপী। ৪২৫ দশমিক ১৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ জনপদের সাথে রেল ও সড়কপথে যোগাযোগ রয়েছে সারাদেশের। চা, রাবার, লেবু, পান, আনারস ও মূল্যবান কাঠের জন্য শ্রীমঙ্গলের খ্যাতি ব্যাপক। দেশি-বিদেশি পর্যটকের পদভারে সারাবছর মুখরিত থাকে।
কুলাউড়া, চা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। মৌলভীবাজার জেলায় চা বাগানের সংখ্যা অনুপাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পরে কুলাউড়ার অবস্থান। কুলাউড়ায় রাবার, কমলা, আনারস, আম, কাঁঠাল এবং বাঁশ উৎপাদিত হয়।
কুলাউড়ায় পাক বাহিনীর প্রবেশ ও নির্মম গণহত্যা: সারা বাংলায় পাকিস্তানি সামরিক জান্তারা অত্যাচার নিপীড়ন শুরু করলেও কুলাউড়া থানায় তারা প্রথম আসে ৭ মে ১৯৭১ সালে। পাকিস্তানি সৈন্যেরা মৌলভীবাজার থেকে কুলাউড়া প্রবেশ পথে কাপুয়া ব্রিজের কাছাকাছি আসলে তাদের গতিরোধ করতে অকুতোভয় বীর সৈনিক জয়চন্ডী