১৭৭১ সালে, মৌলভী সৈয়দ কুদরতউল্লাহ তার জমিদারি ভূমি ব্যবহার করে মনু নদীর তীরে একটি বাজার স্থাপন করেছিলেন। তিনি ভোজ্যপণ্য যেমন ফলমূল ও শাকসবজী আমদানি শুরু করেছিলেন যাতে লোকেরা ক্রয়ের পাশাপাশি বিক্রি করাও সুযোগ পায়। এর অবস্থানগত কারণে এখানে ভূ ও স্থল পরিবহনের মাধ্যমে সহজে আসা যাওয়া করা যেত। সদর উপজেলা ১৮২২ সালে মৌলভীবাজার থানা নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১২ সালে জগাশি গ্রামে একটি ব্রিটিশবিরোধী বিক্ষোভ হয়, যা স্বামী দয়ানন্দ সংগঠিত করেছিলেন। ১৯১২ সালে ব্রিটিশবিরোধী খেলাফত আন্দোলন মৌলভীবাজারেও ছড়িয়ে পড়ে, এতে যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন চিত্তরঞ্জন দাশ, হুসেন আহমেদ মাদানী এবং সরোজিনী নাইডু। ১৯৩২ সালে, আলী আমজাদ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় একটি সরকারি বিদ্যালয় হিসাবে চালু হয়।
জৈন্তাপুর উপজেলায় ইউনিয়ন ৬টি ,
ইউনিয়নসমূহ:
পাহাড়-টিলায় বেস্টিত জৈন্তাপুর উপজেলা সারী নদী এবং বরগাং উল্লেখযোগ্য দুটি নদী। এছাড়াও জৈন্তাপুর উপজেলাধীন হরিপুর এ কাপনা নদী অবস্থিত। সারী নদীর অপার সৈন্দর্য্য দেখতে প্রতিদিন হাজারও দর্শক সারীঘাট নামক এলাকায় ভীড় জমান।
চা শিল্পের জন্য শ্রীমঙ্গলের সুনাম ও পরিচিতি বিশ্বব্যাপী। ৪২৫ দশমিক ১৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ জনপদের সাথে রেল ও সড়কপথে যোগাযোগ রয়েছে সারাদেশের। চা, রাবার, লেবু, পান, আনারস ও মূল্যবান কাঠের জন্য শ্রীমঙ্গলের খ্যাতি ব্যাপক। দেশি-বিদেশি পর্যটকের পদভারে সারাবছর মুখরিত থাকে।
কুলাউড়া, চা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। মৌলভীবাজার জেলায় চা বাগানের সংখ্যা অনুপাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পরে কুলাউড়ার অবস্থান। কুলাউড়ায় রাবার, কমলা, আনারস, আম, কাঁঠাল এবং বাঁশ উৎপাদিত হয়।
কুলাউড়ায় পাক বাহিনীর প্রবেশ ও নির্মম গণহত্যা: সারা বাংলায় পাকিস্তানি সামরিক জান্তারা অত্যাচার নিপীড়ন শুরু করলেও কুলাউড়া থানায় তারা প্রথম আসে ৭ মে ১৯৭১ সালে। পাকিস্তানি সৈন্যেরা মৌলভীবাজার থেকে কুলাউড়া প্রবেশ পথে কাপুয়া ব্রিজের কাছাকাছি আসলে তাদের গতিরোধ করতে অকুতোভয় বীর সৈনিক জয়চন্ডী