সাতক্ষীরা হাউজ-জেলা প্রশাসকের বাংলো, যশোর
¨কালেক্টরেট ভবন, দড়াটানা, যশোর
¨যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, উপশহর, যশোর
¨মারকাজ মসজিদ, উপশহর, যশোর
¨শতাব্দী প্রাচীন যশোর পৌরসভা, লালদীঘি পুকুর পাড়
¨রামনারায়ন পাবলিক লাইব্রেরী,
¨নক্সী কাঁথা ও যশোর স্টীচ
¨যশোর ইন্সটিটিউট পাবলিক লাইব্রেরী, টাউন হল ময়দান সংলগ্ন
¨খেজুরের গুড়সহ রসের পিঠা, পায়েশ এ জনপদের মিষ্ঠান্ন ঐতিহ্য
¨যশোরের কই মাছ
কালেক্টরেট ভবন
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে যশোর কালেক্টরেটের নাম ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে। যশোর কালেক্টরেট স্থাপিত হয় ১৭৮৬ সালে। ১৭৮১ সালে জেলা ঘোষনার পর প্রথম জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন Mr. Tilman Henckell (1781-1789) জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কালেক্টরেটের দায়িত্ব পান। যশোর কালেক্টরেট নিজস্ব ভবন তৈরী হয় ১৮০১ সালে। কালেক্টরেট ভবনটি দড়াটানা, যশোর এ অবস্থিত। এটি শহরের প্রাচীনতম স্থাপনারগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি। এই ভবনের সাথে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ২০০ বছরের ইতিকথা। ভবনটি বর্তমানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। বর্তমান ভবনের একতলা স্থাপিত হয় ১৮৮৫ সালে এবং দোতলা নির্মিত হয় ১৯৮২ সালে। গবেষকরা রেকর্ড রুমে পেতে পারেন সিপাহী বিদ্রোহ ও নীল বিদ্রোহের নথি ও নজির তূল্য মামলা।
খেজুরের রস ভান্ডার, যশোর
ঋতু বৈচিত্রের বাংলাদেশে শীত যেন অসে খেজুরের রস আর শীতের পিঠার বার্তা নিয়ে। আর এই শীতকে উপভোগ করতে যশোরের খেজুরের রস ও গুড়ের বিকল্প নেই। ধেজু এর রস ভান্ডার যশোরে রয়েছে ৪৬২৫২৫ টি খেজুর গাছ। যার প্রতিটিতে গাছি শীতের শুরুতেই বাড় ঝুলিয়ে দেয়। শীত কালীন এ চিত্র যেন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে আরো সমৃদ্ধ করে। ৪৮৬.২০ হেক্টর জমির খেজুর গাছে আনুমানিক ২৩১২৬২৫০ কেজি রস অহোরিত হয় যা থেকে উৎপাদিত গুড়ের পরিমান ৩৭,০০,২০০ কেজি। যশোররের রসের স্বাদ যেমন সুমিষ্টি তেমনি এর তৈরী গুড় ও স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। তাই যশোর যেন খেজুরের রস ভান্ডার হিসেবেই সর্বাধিক পরিচিত।
যশোর জেলা খই, খেজুর গুড় ও জামতলার মিষ্টির জন্য বিখ্যাত। তাছাড়া যশোর জেলাটিকে বাংলাদেশের ফুলের রাজধানী বলা হয়।
যশোরের বিখ্যাত খাবার হকদানা, ছাক্কা, ডিমের খাট্টা, কাঁঠালের বিচি দিয়ে কুকড়োর (মুরগি) মাংস, চুই ঝাল খাসির মাংস যশোর অঞ্চলের শত বছরের রান্নার ইতিহাসকে সমুজ্জ্বল রেখেছে। যশোরের প্রায় সবার প্রিয় খাবার ঘাটকোল। প্রচলিত নাম ঘেঁটকচু।হকদানা, ছাক্কা, ডিমের খাট্টা, কাঁঠালের বিচি দিয়ে কুকড়োর (মুরগি) মাংস, চুই ঝাল খাসির মাংস যশোর অঞ্চলের শত বছরের রান্নার ইতিহাসকে সমুজ্জ্বল রেখেছে। যশোরের প্রায় সবার প্রিয় খাবার ঘাটকোল। প্রচলিত নাম ঘেঁটকচু।
জামতলার মিষ্টি হলো বাংলাদেশের যশোর জেলার জামতলা বাজারে উৎপন্ন একটি বিখ্যাত মিষ্টি। এটি ছানা দিয়ে তৈরি গোলাকৃতির একটি মিষ্টি যা ঘন চিনির রসে ডুবানো থাকে। এই মিষ্টি রসগোল্লার একটি প্রকরণ। এটি দেখতে কিছুটা লালচে বা বাদামী রংয়ের হয়ে থাকে। জামতলা বাজারের সাদেক আলী নামক জনৈক ব্যক্তি এই মিষ্টি তৈরি করেন বলে এটি সাদেক গোল্লা নামেও পরিচিত।
যশোর কে ফুলের রাজধানী বলা হয় কেননা যশোরের গদখালি থেকে বাংলাদেশের ৮০% ফুল সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশের সব থেকে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল যশোরে অবস্থিত। যশোরে বহু ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। ব্রিটিশ আমলে যশোর বিমানবন্দর নির্মিত হয়েছিল যা এখন আন্তর্জাতিকীকরণের কাজ চলছে।
ষোড়শ শতাব্দীর শেষ ভাগে গৌড়ের শাসনকর্তা দাউদের একজন বিশ্বস্ত সহযোগী শ্রীহরি ১৫৭৪ সালের যশোরের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং স্বাধীন যশোর রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন।