ক্রীড়াংগণেযশোর সদর উপজেলাইতিহাস গৌরবোজ্জল। বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় খেলোয়াড়রা জাতীয় ওআন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। ১৯৪৯ সালে জেলা ক্রীড়াসংস্থার জন্ম এবং সেখান থেকেই শামসুল হুদা স্টেডিয়ামটির সূত্রপাত। জেলাক্রীড়া সংস্থারস্টেডিয়ামটি তৈরী ও সংস্কারে সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল কুদ্দুস, শাহএকরামুল হক, গোলাম মোস্তফা, বজলুর রহমান, তবিবর রহমান, আলমগীর সিদ্দিকী, শামসুল হুদা, সুধীর বাবু, সতীশ দত্ত, চিত্তরঞ্জন সাহা, মন্ত্রী তরিকুলইসলাম ও শিল্পপতি আহাদ চৌধুরী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১৯৭৬ সালেস্টেডিয়ামটির আধুনিকায়ন শুরু হয়। ৯৪-৯৫ সালে প্যারাগন গ্রুপ ঢাকা এরব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমানের অর্থায়নে ভিআইপি গ্যালারী হয়। তাছাড়াওবর্তমানে যশোর শামসুল হুদা স্টেডিয়ামে যশোরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক এস এম আহাদ এর সহযোগিতায় তাঁর সহধর্মিনী মরহুমা আমেনা খাতুনের স্মরণেআধুনিক সুসজ্জিত ড্রেসিং রুম, প্রেস বক্স, কমেন্ট্রি বক্স, ভিআইপিকনফারেন্স রুম, অফিস রুম ও খেলোয়াড় গ্যালারীর সমন্বয়ে একটিআন্তর্জাতিকমানের ক্রিকেট গ্যালারী রয়েছে।
স্টেডিমটিতে নিয়মিত ক্রিকেট,ফুটবল,হকি খেলার চর্চা হয়ে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে জেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতামূলক খেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে।
বিনোদন
যশোর সদর উপজেলার বিডিহল ও টাউন হল ময়দানে প্রায়ই নাকট,গান,যাত্রা, সার্কাসসহ বিভিন্ন শিক্ষামূলক বিনোদন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়ে থাকে। এছাড়া বছরের বিশেষ সময় বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হয়। যেমন: বৈশাখী মেলা, বানিজ্য মেলা, বই মেলা,কৃষি মেলা, বৃক্ষ মেলা ইত্যাদি।
যশোর জেলা খই, খেজুর গুড় ও জামতলার মিষ্টির জন্য বিখ্যাত। তাছাড়া যশোর জেলাটিকে বাংলাদেশের ফুলের রাজধানী বলা হয়।
যশোরের বিখ্যাত খাবার হকদানা, ছাক্কা, ডিমের খাট্টা, কাঁঠালের বিচি দিয়ে কুকড়োর (মুরগি) মাংস, চুই ঝাল খাসির মাংস যশোর অঞ্চলের শত বছরের রান্নার ইতিহাসকে সমুজ্জ্বল রেখেছে। যশোরের প্রায় সবার প্রিয় খাবার ঘাটকোল। প্রচলিত নাম ঘেঁটকচু।হকদানা, ছাক্কা, ডিমের খাট্টা, কাঁঠালের বিচি দিয়ে কুকড়োর (মুরগি) মাংস, চুই ঝাল খাসির মাংস যশোর অঞ্চলের শত বছরের রান্নার ইতিহাসকে সমুজ্জ্বল রেখেছে। যশোরের প্রায় সবার প্রিয় খাবার ঘাটকোল। প্রচলিত নাম ঘেঁটকচু।
জামতলার মিষ্টি হলো বাংলাদেশের যশোর জেলার জামতলা বাজারে উৎপন্ন একটি বিখ্যাত মিষ্টি। এটি ছানা দিয়ে তৈরি গোলাকৃতির একটি মিষ্টি যা ঘন চিনির রসে ডুবানো থাকে। এই মিষ্টি রসগোল্লার একটি প্রকরণ। এটি দেখতে কিছুটা লালচে বা বাদামী রংয়ের হয়ে থাকে। জামতলা বাজারের সাদেক আলী নামক জনৈক ব্যক্তি এই মিষ্টি তৈরি করেন বলে এটি সাদেক গোল্লা নামেও পরিচিত।
যশোর কে ফুলের রাজধানী বলা হয় কেননা যশোরের গদখালি থেকে বাংলাদেশের ৮০% ফুল সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশের সব থেকে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল যশোরে অবস্থিত। যশোরে বহু ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। ব্রিটিশ আমলে যশোর বিমানবন্দর নির্মিত হয়েছিল যা এখন আন্তর্জাতিকীকরণের কাজ চলছে।
ষোড়শ শতাব্দীর শেষ ভাগে গৌড়ের শাসনকর্তা দাউদের একজন বিশ্বস্ত সহযোগী শ্রীহরি ১৫৭৪ সালের যশোরের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং স্বাধীন যশোর রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন।