রাঙ্গুনিয়া উপজেলার প্রধান নদী কর্ণফুলী। ভারতের মিজোরাম প্রদেশের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলা দিয়ে কর্ণফুলী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বরকলের পর রাঙ্গামাটি সদর ও কাপ্তাই উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চন্দ্রঘোনা হয়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় প্রবেশ করে এ নদী উপজেলার প্রাণকেন্দ্র দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হয়।
ছাড়াও রাঙ্গুনিয়ার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ইছামতি নদী। রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে দক্ষিণ দিকে প্রবহমান এ নদী রাঙ্গুনিয়ার উত্তরাঞ্চলের ইউনিয়নগুলো অতিক্রম করে রোয়াজারহাটের নিকটবর্তী কর্ণফুলী নদীর সাথে মিশেছে। এ উপজেলায় শিলক খাল সহ আরো অসংখ্য ছোটোখাটো খাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলার মোট আয়তন ৫,২৮২.৯২ বর্গ কিলোমিটার (১,৩০৫,৪৩৮ একর)। আয়তনের দিক থেকে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা।
চট্টগ্রাম জেলার মোট জনসংখ্যা ৯১,৬৩,৭৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৫,৬৬,০৩৯ জন এবং মহিলা ৪৫,৯৭,০৭৬ জন এবং বাকি ৬৪৫ জন হিজড়া । জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১৭০০ জন।(২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী)
চট্টগ্রামের ধর্মবিশ্বাস-২০২২
ইসলাম (৮৭.৪৭%)
হিন্দু ধর্ম (১০.৭০%)
বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্ম (১.৮৩%)
ধর্মবিশ্বাস অনুসারে এ জেলার মোট জনসংখ্যার ৮৭.৪৭% মুসলিম, ১০.৭০% হিন্দু এবং ১.৮৩% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে ২১°৫৪´ থেকে ২২°৫৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°১৭´ থেকে ৯২°১৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে চট্টগ্রাম জেলার অবস্থান। রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ২৫৯ কিলোমিটার। এ জেলার দক্ষিণে কক্সবাজার জেলা; পূর্বে বান্দরবান জেলা, রাঙ্গামাটি জেলা ও খাগড়াছড়ি জেলা; উত্তরে ফেনী জেলা এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য এবং পশ্চিমে নোয়াখালী জেলা ও বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। এছাড়া দ্বীপাঞ্চল সন্দ্বীপ চট্টগ্রামের অংশ।
১৬৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলা গঠিত হয়। তিন পার্বত্য জেলা এ জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৬০ সালে পার্বত্য এলাকা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা গঠন করা হয়। পরবর্তীতে এ জেলা ভেঙ্গে কক্সবাজার জেলা গঠিত হয়।
১৬৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলা গঠিত হয়। তিন পার্বত্য জেলা এ জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৬০ সালে পার্বত্য এলাকা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা গঠন করা হয়।