The Ballpen
রাজনগর উপজেলার ঐতিহাসিক পটভূমি - theballpen

রাজনগর উপজেলার ঐতিহাসিক পটভূমি

30th Dec 2022 | মৌলভীবাজার জেলা |

১১৯৫ সালে ত্রিপুরার রাজা এক ধর্মযজ্ঞ আয়োজন করেন। উত্তর-পশ্চিম ভারতের কনৌজের ‘ইটোয়া’ নামক স্থান থেকে নিধিপতি শর্মাকে আনা হয় সেই যজ্ঞের কাজ সুসম্পন্ন করার জন্য। নিধিপতি সে দায়িত্ব সুচারুরুপে পালন করার পর মহারাজা খুশি হয়ে তাকে ‘মনুকূল’ নামক বিশাল ভূখন্ড দান করেন।পরবর্তীতে নিধিপতি ইটোয়ার অধিবাসী হওয়ায় মনুকূল স্থানের নাম রাখেন ‘ইটা রাজ্য’।

নিধিপতি বাস করতেন ভূমিউড়া গ্রামে।তাঁরই পরবর্তী বংশধর ১.ভানু নারায়ন ২.ইন্দ্র নারায়ন ৩.ভানুমতি।১৫৪৫ খ্রি.ভানু নারায়ন ত্রিপুরার রাজা বিজয় মানিক্যর এক বিদ্রোহী সর্দার চন্দ্র সিংহকে পরাজিত করেন ও বন্দী করে মহারাজের নিকট প্রেরণ করেন। মহারাজ খুশি হয়ে ভানু নারায়নকে ‘রাজা’ উপাধি দান করেন।ভানু নারায়নই তাঁর রাজধানী ভুমিউড়া থেকে স্থানান্তর করেন ও এই এলাকার নাম রাখেন “রাজনগর”।ভানু নারায়নের ৫পুত্র – ১.সুবিদ নারায়ন ২.ব্রহ্ম নারায়ন ৩.ধর্ম নারায়ন ৪. বীরচন্দ্র নারায়ন ৫.রুপ নারায়ন।ভানু নারায়নের উত্তরাধীকার ‘সুবিদ নারায়নই’ ইটা রাজ্যের শেষ হিন্দু রাজা। ১৫৯৮ সালে খাজা ওসমানের সাথে এক যুদ্ধে সুবিদ নারায়ন পরাজিত ও নিহত হন। ভানু নারায়নের অপর উত্তরাধীকারী বন্দী হন ও পরবর্তীতে ধর্মান্তরিত হন।

ব্রিটিশ আমলে রাজনগর থানা হিসাবে ছিল।১৯৮৪ সালে উপজেলায় উন্নীত হয়।





Related

জৈন্তাপুর উপজেলায় ইউনিয়ন কয়টি ও কী কী?

জৈন্তাপুর উপজেলায় ইউনিয়ন ৬টি ,

ইউনিয়নসমূহ:

  • ১নং নিজপাট
  • ২নং জৈন্তাপুর
  • ৩নং চারিকাটা
  • ৪নং দরবস্ত
  • ৫নং ফতেপুর
  • ৬নং চিকনাগুল


Related

জৈন্তাপুর উপজেলায় নদ-নদী সমূহ কী কী?

পাহাড়-টিলায় বেস্টিত জৈন্তাপুর উপজেলা সারী নদী এবং বরগাং উল্লেখযোগ্য দুটি নদী। এছাড়াও জৈন্তাপুর উপজেলাধীন হরিপুর এ কাপনা নদী অবস্থিত। সারী নদীর অপার সৈন্দর্য্য দেখতে প্রতিদিন হাজারও দর্শক সারীঘাট নামক এলাকায় ভীড় জমান।



Related

শ্রীমঙ্গল কিসের জন্য বিখ্যাত

চা শিল্পের জন্য শ্রীমঙ্গলের সুনাম ও পরিচিতি বিশ্বব্যাপী। ৪২৫ দশমিক ১৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ জনপদের সাথে রেল ও সড়কপথে যোগাযোগ রয়েছে সারাদেশের। চা, রাবার, লেবু, পান, আনারস ও মূল্যবান কাঠের জন্য শ্রীমঙ্গলের খ্যাতি ব্যাপক। দেশি-বিদেশি পর্যটকের পদভারে সারাবছর মুখরিত থাকে।



Related

কুলাউড়া কিসের জন্য বিখ্যাত

 কুলাউড়া, চা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। মৌলভীবাজার জেলায় চা বাগানের সংখ্যা অনুপাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পরে কুলাউড়ার অবস্থান। কুলাউড়ায় রাবার, কমলা, আনারস, আম, কাঁঠাল এবং বাঁশ উৎপাদিত হয়।



Related

কুলাউড়া উপজেলায় হানাদার বাহিনী কত তারিখে প্রবেশ করে?

কুলাউড়ায় পাক বাহিনীর প্রবেশ ও নির্মম গণহত্যা: সারা বাংলায় পাকিস্তানি সামরিক জান্তারা অত্যাচার নিপীড়ন শুরু করলেও কুলাউড়া থানায় তারা প্রথম আসে ৭ মে ১৯৭১ সালে। পাকিস্তানি সৈন্যেরা মৌলভীবাজার থেকে কুলাউড়া প্রবেশ পথে কাপুয়া ব্রিজের কাছাকাছি আসলে তাদের গতিরোধ করতে অকুতোভয় বীর সৈনিক জয়চন্ডী