রাজনগরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সর্ম্পকে প্রাচীনকালের তাম্রলিপিতে কিছু তথ্য পাওয়া যায় বলে জানা যায়।প্রাচীন ইটারাজ্যের রাজধানী ছিল ‘ভূমিউড়া’ গ্রাম। সিলেট বিভাগের অন্যান্য স্থানের চেয়ে রাজনগর ছিল অনেক অগ্রসর ও উন্নত সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ। অনেক কৃতি সন্তানের জন্ম এই রাজনগরে। সিলেট অঞ্চলের প্রথম দৈনিক পত্রিকা ‘বলাকা’র সম্পাদক শ্রী কালীপ্রসন্ন সিংহের বাড়ি রাজনগরে।আরেক প্রখ্যাত সাংবাদিক- শ্রী গৌরিশঙ্কর ভট্টাচার্যের বাড়ি রাজনগরের পাঁচগায়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী শ্রীমতি লীলা নাগের বাড়ি রাজনগর উপজেলায়।বৃটিশ বিরোধী আন্দেলনে তিনি ১০ বছরের বেশী সময় জেল খেটেছেন। লীলা নাগ 'জয়শ্রী' নামে মহিলাদের জন্য একটি পত্রিকাও প্রকাশ করেছিলেন।১৯৩২সালে পাঁচগায়ে কাঁর মায়ের নামে 'কুঞ্জলতা প্রাথমিক বিদ্যালয়' চালু করেন।
প্রাচীনকাল থেকে পাঁচগাও এলাকা ছিল জাহাজ ও যুদ্বাস্ত্র নির্মাণের জন্য বিখ্যাত।সতের শতকে রাজনগরের 'জনার্দ্ধন কর্মকারের' খ্যাতি ছিল উপমহাদেশব্যাপি।তিনি ঢাকার কালে জমজম(সদরঘাটের কামান বলে খ্যাত) ও বিবি মরিয়ম নামে কামান দুটি তৈরী করেন।মুর্শিদাবাদের জাহানকোষা তোপও তাঁর নির্মাণ।এক সময়ে সিলেট অঞ্চলের লৌহ শিল্প নিয়ন্ত্রন করতেন রাজনগরের শিলাপীরা।
ঐতিহাসিকেরা ধারণা করেন সিলেটি নাগরী সাহিত্যের প্রাণকেন্দ্র ছিল এই রাজনগর।মহাকবি শাহ শেখ চান্দ এবং মধ্যযুগের খ্যাতনামা কবি সৈয়দ শাহনুরের জন্ম রাজনগরে।নাগরী সাহিত্যের প্রাণপুরুষ সৈয়দ সাদেক আলীর মাজার রয়েছে মনসুরনগরের তাহারলামু গ্রামে।
সিলেট শহরের ক্বিনব্রিজের নীচে যে ঐতিহাসিক‘সারদা হল’ আছে তার সাথে রাজনগরের এক মহান ব্যাক্তির স্মৃতি জরিত। ‘শ্রী সারদা চরণ শ্যাম ‘রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ গ্রামের লোক ছিলেন।প্রথম সিলেটি হিসাবে ১৮৯৬ সালে তিনি 'ইন্দেশ্বর টি এন্ড ট্রেডিং কোম্পানির' মাধ্যেমে বাঙালীদের মধ্য থেকে চা চাষের উদ্যোগ নেন।
জৈন্তাপুর উপজেলায় ইউনিয়ন ৬টি ,
ইউনিয়নসমূহ:
পাহাড়-টিলায় বেস্টিত জৈন্তাপুর উপজেলা সারী নদী এবং বরগাং উল্লেখযোগ্য দুটি নদী। এছাড়াও জৈন্তাপুর উপজেলাধীন হরিপুর এ কাপনা নদী অবস্থিত। সারী নদীর অপার সৈন্দর্য্য দেখতে প্রতিদিন হাজারও দর্শক সারীঘাট নামক এলাকায় ভীড় জমান।
চা শিল্পের জন্য শ্রীমঙ্গলের সুনাম ও পরিচিতি বিশ্বব্যাপী। ৪২৫ দশমিক ১৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ জনপদের সাথে রেল ও সড়কপথে যোগাযোগ রয়েছে সারাদেশের। চা, রাবার, লেবু, পান, আনারস ও মূল্যবান কাঠের জন্য শ্রীমঙ্গলের খ্যাতি ব্যাপক। দেশি-বিদেশি পর্যটকের পদভারে সারাবছর মুখরিত থাকে।
কুলাউড়া, চা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। মৌলভীবাজার জেলায় চা বাগানের সংখ্যা অনুপাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পরে কুলাউড়ার অবস্থান। কুলাউড়ায় রাবার, কমলা, আনারস, আম, কাঁঠাল এবং বাঁশ উৎপাদিত হয়।
কুলাউড়ায় পাক বাহিনীর প্রবেশ ও নির্মম গণহত্যা: সারা বাংলায় পাকিস্তানি সামরিক জান্তারা অত্যাচার নিপীড়ন শুরু করলেও কুলাউড়া থানায় তারা প্রথম আসে ৭ মে ১৯৭১ সালে। পাকিস্তানি সৈন্যেরা মৌলভীবাজার থেকে কুলাউড়া প্রবেশ পথে কাপুয়া ব্রিজের কাছাকাছি আসলে তাদের গতিরোধ করতে অকুতোভয় বীর সৈনিক জয়চন্ডী