রাজস্থলী উপজেলার নামকরণ নিয়ে তেমন জটিল কোন ইতিহাস নাই, তবে এলাকার গুণীজনের ভাষ্যমতে রাখাইন প্রদেশের রাজা, বর্মী বারান্ডং সেনাপতির কাছে পরাজিত হয়ে বাংলাদেশে আসার পর এই বুধুঝিই (রাজস্থলীর পূর্ব নাম) এসেছিলেন তার নিজ রাজ্য গড়তে। তাঁর নিজের প্রথা অনুযায়ী রাজ্য গড়ার আগে কলাগাছ রোপণ করে দেখা হয়। যত বেশি কলার কান্ধি তত রাজার রাজ্যভিষেক হবে ঐ রাজ্যে। এই নিয়ম মেনে কলা গাছটি রাজস্থলী উপজেলার ১নং ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের খাগড়াছড়ি পাড়ায় রোপণ করা হয়। কিন্তু কলার ছড়ায় কান্ধি কম হওয়ায় তিনি এই স্থান ত্যাগ করে বান্দরবান উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। যাবার বেলায় ঐ কলা গাছে রাজার ছোট থলে রয়ে যায়। তখন থেকে রাজারথলে নামকরণ হয় এবং পরে তা রাজারথলে থেকে রাজারথলি ও বর্তমান রাজস্থলী নামকরণ করা হয়।
রাঙ্গামাটি জেলার মোট আয়তন ৬১১৬.১৩ বর্গ কিলোমিটার। রাঙ্গামাটি জেলার আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশের বৃহত্তম জেলা।
রাঙ্গামাটি জেলায় ১০ টি উপজেলা রয়েছে-
রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতমঃ
১৯৮৯ সনে পার্বত্য জেলাসমূহের বিভিন্ন অনগ্রসর সংখ্যালঘু গোষ্ঠি অধ্যুষিত রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সর্বাঙ্গীণ উন্নয়নকল্পে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ ১৯৮৯ (১৯৮৯ সনের ১৯নং) অনুযায়ী রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ স্থাপিত হয়।
কাপ্তাইয়ের দর্শনীয় স্থান কাপ্তাই হ্রদ। বাংলাদেশের বৃহত্তম কৃত্রিম এ হ্রদ রাঙ্গামাটি জেলার রাঙ্গামাটি সদর, কাপ্তাই, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল, বাঘাইছড়ি, লংগদু ও নানিয়ারচর উপজেলা জুড়ে বিস্তৃত। 2 কর্ণফুলি কাগজ কল। চন্দ্রঘোনায় কর্ণফুলি নদীর তীরে অবস্থিত এ কাগজ কলটি বাংলাদেশের বৃহত্তম কাগজ কল।