The Ballpen
রাজাপুর উপজেলার ঐতিহ্য - theballpen

রাজাপুর উপজেলার ঐতিহ্য

24th Dec 2022 | ঝালকাঠি জেলা |

সবার প্রিয় শীতল পাটি শিল্পঃ আনুমানিক আড়াই থেকে তিনশত বৎসর যাবৎ বংশ পরস্পরায় এটি চলে আসছে। রাজাপুর উপজেলার বিশেষ কয়েকটি এলাকায় এ শিল্পের প্রসার। শুধু রাজাপুরই এর সুনাম ছিল না। জীবনানন্দের ঐতিহ্যবাহী রুপসী বাংলায় জন্ম অনেক জ্ঞানী-গুনীর। তাদের স্বপ্নের ঘর সাজানোর প্রধান আসবাব শীতলপাটি। দিনের ক্লান্তি মুছে দেয় একটি সুন্দর পরিপাটি শয়নকক্ষ, আরামদায়ক শষা এনে দেয় সুখ নিন্দ্রা।

শীতল পাটির মূল্যঃ

৫ফুট x ৭ফুট মাপের একটি শীতল পাটির মূল্যঃ-১,০০০ থেকে ১,৬০০ টাকা।

৫ফুট x ৬ফুট মাপের একটি শীতল পাটির মূল্যঃ-৮০০ থেকে ১,২০০ টাকা।

৫ফুট x ৪.৫ফুট মাপের একটি শীতল পাটির মূল্যঃ-৮০০ থেকে ১,০০০ টাকা।

তাঁত শিল্পঃ আনুমানিক দেড় থেকে দুইশত বৎসর ধরে রাজাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ শিল্পের সুনাম ছিল। গোটা দেশেই রাজাপুর উপজেলার তাঁত শিল্প বিশেষ করে গামছার সুনাম ছিল। সুতা হল এ শিল্পের প্রধান উপকরণ। তাই সুতার মূল্য বৃদ্ধি ও পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় এ শিপ্পেল সঙ্গে জড়িত পরিবারগুলো মূলধনের অভাবে তাদের উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও সে চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। রাজাপুরের আলগী, কৈবর্ত্তখালীসহ আঙ্গারিয়ার তাঁতি পরিবারগুলোর। মাত্র ১০ থেকে ১৫ বছর পূর্বেও এ সব পরিবারের মহিলারা বেলভেটের শাড়ী, হাজার বুটি শাড়ী, ঝাপাশাড়ী এসব শাড়ী ছাড়াও গামছা, লুঙ্গী,মশারী এমনকি চাদরও তৈরি করত।

পান বরজঃ রাজাপুর উপজেলার পানের চাষ দীর্ঘ দিনের। আনুমানিক একশ থেকে দেড়শ বছরের পুরোনো এতিহ্য মিশে আছে এ পান চাষের সাথে। পান মানে তাম্বুল। যার কথা লেখা আছে মধ্যযুগগের একমাত্র সাহিত্য শ্রীকৃষ্ণকীর্তন নাম কাব্যে। এ কাব্যের তাম্বুল খন্ডে তাম্বুলের (পান) কথা বিধৃত হয়েছে। শ্রীকৃষ্ণ রাধার রুপে মুগ্ধ হয়ে বড়াইয়ের মাধ্যমে রাধার কাছে পান পাঠিয়ে দেয়। এ থেকে প্রমাণ হয় যুগে যুগে পান নারী পুরুষের ভালবাসার সেতু বন্ধন হয়ে আছে। আজও গ্রাম বাংলায় অতিথি আপ্যায়নের সামগ্রী হিসেব এক চিলতে পানের জুড়ি নেই। শুধু তাই নয় বাংলার ঘরে ঘরে উৎসব আনন্দে পানের ডালা সাজানোর প্রতিযোগিতা চলে। একটি পানের খিলকি দিয়ে প্রকাশ করা হয় ভালবাসার অনুভূতি।





Related

ঝালকাঠি জেলা কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

১৯৮৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে ঝালকাঠি জেলা প্রতিষ্ঠিত হলে ঝালকাঠি শহরকে জেলা শহরের মর্যাদা দেওয়া হয়



Related

মুক্তিযুদ্ধের সময় ঝালকাঠি কত নং সেক্টরে ছিল?

একাত্তরের ২৩ নভেম্বর ৯নং সেক্টরের মধ্যে এ জনপদ সবার প্রথম হানাদার মুক্ত হয়েছিলো।



Related

ঝালকাঠি কিসের জন্য বিখ্যাত

নদী বন্দরের জন্য ঝালকাঠি সবসময় ইউরোপীয়দের আকর্ষণ করেছে। ফলে বিভিন্ন সময়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, ডাচ ও ফরাসিরা এখানে ব্যবসা কেন্দ্র খুলেছিল। বাণিজ্যিক গুরুত্বের জন্য ঝালকাঠিকে দ্বিতীয় কলকাতা বলা হত। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ঝালকাঠি সদর উপজেলার রেজাউল করিম ২৪ সদস্য বিশিষ্ট মানিক বাহিনী গড়ে তোলেন।



Related

ঝালকাঠির বিখ্যাত খাবার

ঝালকাঠির জনপ্রিয় খাবার: ঝালকাঠি প্রাকৃতিক ফল যেমন আম, কলা, জলপাই, কাঠাল, তাল, লিচু, নারিকেল, আমড়া, পেয়ারা।



Related

ঝালকাঠি জেলার ভৌগোলিক উপাত্ত

শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২২.৬৪০৮৯৩° উত্তর ৯০.১৯৮৮০৩° পূর্ব। সমুদ্র সমতল থেকে শহরটির গড় উচ্চতা ১১ মিটার। ঝালকাঠী শহর ঢাকা থেকে ১৯৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং বরিশাল বিভাগীয় শহর থেকে ২০ কি.মি. পশ্চিমে সুগন্ধা নদীর তীরে অবস্থিত। সুগন্ধা নদী থেকে বাসন্ডা খাল নামে একটি শাখা নদী উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়ে শহরকে দু'ভাগে বিভক্ত করেছে। শহরের ভিতরে আরও ১২টি খাল প্রবহমান রয়েছে।